জশনে জুলুস

জশনে জুলুস বা জশনে জুলুছ এর জশন "جشن" শব্দটি (فارسی, ফার্সি, [fɒːɾˈsiː] ()) ভাষার যার আভিধানিক অর্থ খুশি/উৎসব বা আনন্দ উদযাপন; জুলুস "جلوس" শব্দটি (العَرَبِيَّة [al ʕaraˈbijːa] ()আরবি জলসা শব্দের বহুবচন যার অর্থ বসা, উপবেশন, পদযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি। সুতরাং জশনে জুলুসের অর্থ আনন্দ মিছিল বা আনন্দ শোভাযাত্রা।[১]

জশনে জুলুস
অবস্থাসক্রিয়
ধরনইসলামি
তারিখ (সমূহ)১২ রবিউল আউয়াল
পুনরাবৃত্তিবার্ষিক
ঘটনাস্থলপ্রধানত চট্টগ্রাম (পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা)
স্থানাঙ্ক২২°২২′৩২″ উত্তর ৯১°৫০′১৪″ পূর্ব / ২২.৩৭৫৪৮৫° উত্তর ৯১.৮৩৭৩২০° পূর্ব / 22.375485; 91.837320
দেশবাংলাদেশ
প্রবর্তিত১৩৯৪ হিজরি, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ
প্রতিষ্ঠাতাসৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ
অংশগ্রহণকারীইসলামি পণ্ডিত, মুসলিম জনতা ও সমাজকর্মীরা
পৃষ্ঠপোষক(গণ)সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ, সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ, নূর মুহাম্মদ আল কাদেরী, পীর সাবির শাহ, সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ শাহ
আয়োজকআনজুমান ট্রাস্ট
ওয়েবসাইট
www.anjumantrust.org

ইসলামের শেষ নবি মুহাম্মাদের জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবীকে কেন্দ্র করে আনন্দ মিছিল বা শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপনই জশনে জুলুস নামে পরিচিত৷[১]১৯৭৪ সালে দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের তৈয়্যব শাহের নির্দেশ ও রূপরেখা অনুসরণে বাংলাদেশে জশনে জুলুস শুরু হয়।[২][১][৩]পরবর্তীতে সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ'র নেতৃত্বে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।[৪]

সম্প্রতি জশনে জুলুসের আয়োজক সংস্থা আনজুমান ট্রাস্ট এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস’ দাবি করে স্বীকৃতি পেতে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেছে।[৫][৬][৭]

ইতিহাস

ইসলামের প্রবর্তক ও নবী মুহাম্মাদের জন্মদিন উদযাপন করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৩ বছর পর থেকেই প্রতিবছর ইসলামি বর্ষপঞ্জির ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে আনজুমান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জশনে জুলুসের আয়োজন নিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। লাখো মানুষের ঢল নামে এই জুলুসে অংশগ্রহন করতে।[৮][৯][৩][১][১০][১১]বাংলাদেশে জশনে জুলুস শুরু হয় ১৯৭৪ সালে, দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের তৈয়্যব শাহের নির্দেশ ও রূপরেখা অনুসরণে।[১২][১][১৩][১৪]

১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল (১৩৯৪ হিজরি) সকালে আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নূর মুহাম্মদ আল কাদেরীর নেতৃত্বে কোরবানীগঞ্জের বলুয়ারদীঘি পাড় খানকাহ্‌-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া হতে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হয়েছিল জুলুসটি।[২]

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এই জুলুসের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা তৈয়্যব শাহ। ১৯৮৭ থেকে অন্তত ৩২ বারের অধিক জুলুসের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারই পুত্র সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ।[১৫]চট্টগ্রাম থেকে শুরু হলেও বর্তমানে এটি দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিত হয়।[১৬][১২][১৭][১৮]

বিভিন্ন জেলায় জশনে জুলুস

রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুসের আয়োজন করা হয়।[১৯][২০][২১][২২][২৩][২৪]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী