ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ কাতার ২০১৯ আলিবাবা ক্লাউড দ্বারা পরিবেশিত كأس العالم للأندية لكرة القدم قطر ٢٠١٩ | |
---|---|
![]() | |
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | ![]() |
শহর | দোহা |
তারিখ | ১১–২১ ডিসেম্বর |
দল | ৭ (৬টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ২ (১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ![]() |
রানার-আপ | ![]() |
তৃতীয় স্থান | ![]() |
চতুর্থ স্থান | ![]() |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৮ |
গোল সংখ্যা | ৩০ (ম্যাচ প্রতি ৩.৭৫টি) |
দর্শক সংখ্যা | ১,৬৬,৪২৬ (ম্যাচ প্রতি ২০,৮০৩ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | ![]() ![]() (প্রত্যেকে ৩ গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | ![]() |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | ![]() |
← ২০১৮ ২০২০ → |
২০১৯ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (স্পন্সরজনিত কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে আলিবাবা ক্লাউড দ্বারা পরিবেশিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ কাতার ২০১৯ নামে পরিচিত)[১] হলো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ১৬তম সংস্করণ, যেটি ফিফা দ্বারা সংগঠিত ৬টি মহাদেশীয় কনফেডারেশনের বিজয়ী ক্লাবদের মধ্যে আয়োজিত একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা; একই সাথে আয়োজক দেশের জাতীয় লীগের বিজয়ী ক্লাবও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। এই প্রতিযোগিতাটি ২০১৯ সালের ১১ই ডিসেম্বর হতে ২১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারে আয়োজিত হয়েছে।[২]
২০১৯ সালের ২১শে ডিসেম্বর তারিখে, লিভারপুল অতিরিক্ত সময়ে ফ্লামেঙ্গোকে ১–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জয়লাভ করে।
সম্প্রসারিত ক্লাব বিশ্বকাপের প্রস্তাব নিয়ে, ফিফা আয়োজক নির্ধারণ বিলম্বিত করে। ফিফার দ্বারা ২০১৮ সালের ১৫ই মার্চে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যদিও এটি পরে বিলম্বিত হয়েছিল।[৩] ২০১৯ সালের ২৮শে মে,[৪] ফিফা ঘোষণা করেছে যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজক ২০১৯ সালের ৩রা জুন তারিখে, ফ্রান্সের প্যারিসে ফিফা কাউন্সিল সভায় নিয়োগ দেওয়া হবে।[৫]
কাতারকে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ আয়জনের পূর্বে টেস্ট ইভেন্ট হিসাবে, ২০১৯ সালের ৩রা জুন তারিখে ২০১৯ এবং ২০২০ প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২১ সালে পুনর্নির্মাণের পূর্বে এর আসল বিন্যাসটি ধরে রাখবে।[৬]
নিম্নলিখিত দলগুলো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে।
ক্লাব | কনফেডারেশন | বাছাই | উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ | অংশগ্রহণ |
---|---|---|---|---|
সেমি-ফাইনালে প্রবেশ | ||||
![]() | কনমেবল | ২০১৯ কোপা লিবের্তাদোরেস বিজয়ী | ২৩ নভেম্বর ২০১৯[৭] | ১ম |
![]() | উয়েফা | ২০১৮–১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী | ১ জুন ২০১৯[৮] | ২য় (পূর্ববর্তী: ২০০৫) |
দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ | ||||
![]() | এএফসি | ২০১৯ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী | ২৪ নভেম্বর ২০১৯[৯] | ১ম |
![]() | ক্যাফ | ২০১৮–১৯ ক্যাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী | ৭ আগস্ট ২০১৯[নোট ১] | ৩য় (পূর্ববর্তী: ২০১১, ২০১৮) |
![]() | কনকাকাফ | ২০১৯ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী | ১ মে ২০১৯[১০] | ৪র্থ (পূর্ববর্তী: ২০১১, ২০১২, ২০১৩) |
প্রথম পর্বে প্রবেশ | ||||
![]() | ওএফসি | ২০১৯ ওএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী | ১১ মে ২০১৯[১১] | ১ম |
![]() | এএফসি (আয়োজক) | ২০১৮–১৯ কাতার স্টারস লিগ বিজয়ী | ১৩ আগস্ট ২০১৯[নোট ২] | ২য় (পূর্ববর্তী: ২০১১) |
নোট
ফিফা ২০১৯ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে ম্যাচের সময়সূচীসহ টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি মাঠ ঘোষণা করেছিল। তিনটি স্টেডিয়ামই দোহায় অবস্থিত, যার মধ্যে জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়াম এবং খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজন করেছে। নতুন নির্মিত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, যা ফাইনাল ম্যাচটি আউওজন করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল, তাও খালিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সাথে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের একটি আয়োজক মাঠ।[১২] ২০১৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে, ফিফা তিনটি ম্যাচ সরিয়ে নিয়েছিল (১৮ই ডিসেম্বর তারিখের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, ২১শে ডিসেম্বর তারিখের তৃতীয় স্থানের ম্যাচ এবং ফাইনাল), যেগুলো এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের পরিবর্তে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলা হবে; কারণ ২০২০ সালের শুরু পর্যন্ত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন স্থগিত করা হয়েছে।[১৩]
দোহা | ||
---|---|---|
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়াম | |
ধারণক্ষমতা: ৪৫,৪১৬ | ধারণক্ষমতা: ১১,৯১৮ | |
এই প্রতিযোগিতার সকল ম্যাচের জন্য সর্বমোট ৫ জন রেফারি, ১০ জন সহকারী রেফারি এবং ৬ জন ভিডিও সহকারী রেফারি নিয়োগ করা হয়েছে।[১৪][১৫]
কনফেডারেশন | রেফারি | সহকারী রেফারি | ভিডিও সহকারী রেফারি |
---|---|---|---|
এএফসি | ![]() | ![]() ![]() | ![]() |
ক্যাফ | ![]() | ![]() ![]() | ![]() |
কনকাকাফ | ![]() | ![]() ![]() | ![]() |
কনমেবল | ![]() | ![]() ![]() | ![]() |
উয়েফা | ![]() | ![]() ![]() | ![]() ![]() |
তাহিতীয় ফুটবল ফেডারেশনের আব্দেলকাদের জিতুনিকে (ওএফসি) একটি সাহায্যকারী রেফারি হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল।
প্রতিটি দলকে ২৩ সদস্যের দল গঠন করতে হবে (যেখানে ৩ জন গোলরক্ষক হতে হবে)। দলের প্রথম ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত আঘাতপ্রাপ্ত খেলোয়াড় প্রতিস্থাপন করা যাবে।[১৬]
২০১৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে, ১৪:০০টায় সিইএসটি (ইউটিসি+২) জুরিখে অবস্থিত ফিফা সদর দপ্তরে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ (প্রথম পর্বের বিজয়ীর সাথে এএফসি, ক্যাফ এবং কনকাকাফ দলের ম্যাচ) এবং সেমি-ফাইনালে দ্বিতীয় পর্বের বিজয়ীর প্রতিপক্ষ (কনমেবল এবং উয়েফার দল) নির্ধারণ করার জন্য একটি ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১৭] এই ড্রয়ের সময়, এএফসি, ক্যাফ এবং কনমেবল থেকে দলগুলোর তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেনি।[১৮][১৯]
৯০ খেলার পর যদি একটি ম্যাচ সমতায় থাকে:[১৬]
প্লে-অফ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||||||||
১১ ডিসেম্বর – দোহা (জসিম) | ||||||||||||||
![]() | ৩ | ১৪ ডিসেম্বর – দোহা (জাসিম) | ||||||||||||
![]() | ১ | ![]() | ৩ | |||||||||||
১৮ ডিসেম্বর – দোহা (খলিফা) | ||||||||||||||
![]() | ২ | |||||||||||||
![]() | ১ | |||||||||||||
![]() | ২ | |||||||||||||
২১ ডিসেম্বর – দোহা (খলিফা) | ||||||||||||||
![]() | ১ | |||||||||||||
১৪ ডিসেম্বর – দোহা (জসিম) | ||||||||||||||
![]() | ০ | |||||||||||||
![]() | ১ | |||||||||||||
১৭ ডিসেম্বর – দোহা (খলিফা) | ||||||||||||||
![]() | ০ | |||||||||||||
![]() | ৩ | |||||||||||||
৫ম স্থান নির্ধারণী | ৩য় স্থান নির্ধারণী | |||||||||||||
![]() | ১ | |||||||||||||
![]() | ২ | ![]() | ২ (৪) | |||||||||||
![]() | ৬ | ![]() | ২ (৩) | |||||||||||
১৭ ডিসেম্বর – দোহা (খলিফা) | ২১ ডিসেম্বর – দোহা (খলিফা) |
নিম্নে সকল সময় আরব মান সময় (ইউটিসি+৩) অনুসারে উল্লেখ করা হয়েছে।[২০]
মোন্তেররেই ![]() | ৩–২ | ![]() |
---|---|---|
| প্রতিবেদন |
|
ফ্লামেঁগো ![]() | ৩–১ | ![]() |
---|---|---|
| প্রতিবেদন |
|
মোন্তেররেই ![]() | ১–২ | ![]() |
---|---|---|
| প্রতিবেদন |
|
মন্তেরেই ![]() | ২–২ | ![]() |
---|---|---|
| প্রতিবেদন |
|
পেনাল্টি | ||
| ৪–৩ |
|
ক্রম | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল | মিনিট |
---|---|---|---|---|
১ | ![]() | ![]() | ৩ | ১৭৭ |
২ | ![]() | ![]() | ৩০০ | |
৩ | ![]() | ![]() | ২ | ১১০ |
৪ | ![]() | ![]() | ১৪৪ | |
৫ | ![]() | ![]() | ১৮০ | |
৬ | ![]() | ![]() | ২০২ | |
৭ | ![]() | ![]() | ২৩৪ | |
৮ | ![]() | ![]() | ১ | ৭০ |
৯ | ![]() | ![]() | ৮৫ | |
১০ | ![]() | ![]() | ১১৫ |
২০১৭ সালে, মিশরসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের তিন সদস্য দেশ কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং তাদের নাগরিকদের এই দেশে ভ্রমণে অপরাধ ঘোষণা করেছে। অক্টোবরে, ফিফা সৌদি আরব এবং বাহরাইন থেকে ভক্তদের কাছে ২০০ ক্লাব বিশ্বকাপের টিকিট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশর থেকে আসা ৫০০ জনকে টিকিট বিক্রি করেছে। নভেম্বর ২০১৮ সালে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তাদের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য ফ্যানকল্যাণ উপেক্ষা করার এবং ক্লাব বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির জন্য ফিফার সমালোচনা করেছিল। এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে যে ফুটবল সমর্থকরা তাদের দেশে যে ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে সে সম্পর্কে ফিফাকে সচেতন করা উচিত এবং তা নিশ্চিত করা উচিত যে তারা যেন হয়রানি বা বিচারের ঝুঁকির মুখোমুখি না হয়।[২৯]
২০১৯ সালের ৫ই নভেম্বর তারিখে, লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী পিটার মুর আশ্বাস দিয়েছিলেন যে কাতারি কর্তৃপক্ষ এলজিবিটি ফুটবল অনুরাগীদের ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।[৩০]
| |
আসর |
|
ফাইনাল | |
দল |
|
বাছাইপর্ব | |
পরিসংখ্যান |
|
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ বিজয়ী | |
---|---|
|