রোয়াংছড়ি উপজেলা
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
রোয়াংছড়ি | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে রোয়াংছড়ি উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৯′৫৩″ উত্তর ৯২°২০′৬″ পূর্ব / ২২.১৬৪৭২° উত্তর ৯২.৩৩৫০০° পূর্ব / 22.16472; 92.33500 ![]() | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | বান্দরবান জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৬ |
সংসদীয় আসন | ৩০০ পার্বত্য বান্দরবান |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | বীর বাহাদুর উশৈ সিং (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৪৪২.৮৯ বর্গকিমি (১৭১.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৭,২৬৪ |
• জনঘনত্ব | ৬২/বর্গকিমি (১৬০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৬১০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ০৩ ৮৯ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
রোয়াংছড়ি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
রোয়াংছড়ি উপজেলার আয়তন ৪৪২.৮৯ বর্গ কিলোমিটার (১,০৯,৪৪০ একর)। এটি আয়তনের দিক থেকে বান্দরবান জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।[১][২]বান্দরবান জেলার সর্ব-উত্তরে ২২°০৩´ থেকে ২২°২০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৪´ থেকে ৯২°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার অবস্থান।[২] বান্দরবান জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।[৩] এ উপজেলার উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা, দক্ষিণে রুমা উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা ও রুমা উপজেলা, পশ্চিমে বান্দরবান সদর উপজেলা।
রখইং ছড়া যেখানে তারাছা খালে এসে মিশেছে, স্মরণাতীতকাল পূর্বে সেই রখইং ছড়ার মোহনায় মার্মা উপজাতিদের এক জনপদ গড়ে উঠে। রখইং ছড়ার তীরে এই জনপদ গড়ে উঠায় মারমা উপজাতিদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীরা এই জনপদকে ছড়ার নামে রখইং ওয়াহ্ নামে অভিহিত করে। রখইং ওয়াহ্ অর্থ রখইং ছড়ার মোহনা। কালক্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরে এখানে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলা হতে বাঙালীদের আগমণ ঘটে। ছোট্ট পরিসরে এখানে বাজার গড়ে উঠে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় আরাকানকে রোয়াং বলা হয়। তাই রখইং ওয়াহ্কে স্থানীয় বাঙালীরা রোয়াংছড়ি নামে অভিহিত করায় তা কালক্রমে প্রচলিত হয়ে উঠে।[৪]
১৯৭৬ সালে রোয়াংছড়ি থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে রোয়াংছড়ি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।[৩] এ উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম রোয়াংছড়ি থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রোয়াংছড়ি উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২৭,২৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪,২৪৩ জন এবং মহিলা ১৩,০২১ জন। মোট পরিবার ৬,২৯২টি।[১] মোট জনসংখ্যার ৮.৫১% মুসলিম, ০.৯৭% হিন্দু, ৬৮.৯০% বৌদ্ধ, ১৬.৬৪% খ্রিস্টান এবং ৪.৯৮% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[২]এ উপজেলায় মার্মা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং, বম, খেয়াং, খুমী প্রভৃতি উপজাতি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।[৩]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রোয়াংছড়ি উপজেলার সাক্ষরতার হার ৩১%।[১] এ উপজেলায় ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৩]
রোয়াংছড়ি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম চাঁদের গাড়ি।
রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৪টি মসজিদ, ২টি মন্দির, ২৪টি বিহার এবং ৮টি গীর্জা রয়েছে।[৩]
রোয়াংছড়ি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদী। এছাড়া রয়েছে তারাছা খাল।[৩]
রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রধান হাট-বাজার ৫টি, রোয়াংছড়ি বাজার, কচ্ছপতলী বাজার, বাঘমারা বাজার, বেতছড়া বাজার এবং মুরুংগো বাজার।[৫]
রোয়াংছড়ি উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:[৬]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৭] | সংসদ সদস্য[৮][৯][১০][১১][১২] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
৩০০ পার্বত্য বান্দরবান | বান্দরবান জেলা | বীর বাহাদুর উশৈ সিং | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ক্রম নং | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান[১৩] | ক্যবামং মার্মা |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান[১৪] | ক্যসাইনু মার্মা |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান[১৫] | মাউসাং মার্মা |
০৪ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা[১৬] | মোহাম্মদ দিদারুল আলম |