দ্য লাস্ট ম্যান অন আর্থ
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
দ্য লাস্ট ম্যান অন আর্থ | |
---|---|
![]() আনুষ্ঠানিক পোস্টার | |
পরিচালক | জন জি. ব্লাইস্টোন |
প্রযোজক | উইলিয়াম ফক্স |
কাহিনিকার | ডোনাল্ড ডাব্লিউ. লি জন সোএইন |
শ্রেষ্ঠাংশে | আর্ল ফক্স গ্রেস কুনার্ড গ্ল্যাডিস টেনিসন ডেরেলিস পারডিউ মরিস মার্ফি ক্লারিসা সেলওয়াইন |
সুরকার | আরনো রেপি |
চিত্রগ্রাহক | এলেন ডেভি |
প্রযোজনা কোম্পানি | ফক্স ফিল্ম কর্পোরেশন |
পরিবেশক | ফক্স ফিল্ম কর্পোরেশন |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৭০ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক (ইংরেজি ইন্টার টাইটেল) |
'দ্য লাস্ট ম্যান অন আর্থ' (ইংরেজিঃ The Last Man On Earth, অনুবাদঃ পৃথিবীর শেষ ব্যক্তি) জন ব্লাইস্টোন নির্মিত, ১৯২৪ সালের আমেরিকান হাস্যরসাত্মক নির্বাক চলচ্চিত্র। ফক্স ফিল্ম কর্পোরেশন প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি কিছুটা মেরি শেলি'র ১৮২৬ সালে প্রকাশিত দ্য লাস্ট ম্যান উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। আর্ল ফক্স এটির শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।[১] ফক্স কর্পোরেশন ১৯৩২ সালে এল আল্টিমো ভেরন সোব্রে লা টিয়েরা নামে একটি স্প্যানিশ সংস্করণ ও ১৯৩৩ সালে ইটস গ্রেট টু বি এলাইভ নামে পুননির্মাণ করে।[২] ১৯৪৬ সালের সাই-ফাই উপন্যাস মিঃ এডাম এই চলচ্চিত্র হতে অনুপ্রাণিত।
এলমার নামের একজন পুরুষ(আর্ল ফক্স) তার প্রেয়সি হ্যাটির(ডেরেলিস পারডিউ) সাথে রাগ করে ঘর ছাড়েন, পরিকল্পনা করেন নারীবিহীন জীবন কাটানোর। ১৯৫০ সালে 'মাসকুলাইটিস' নামক এক রোগের মহামারিতে ১৪ বছর তদুর্ধ সকল পুরুষের মৃত্যু হয়। পুরুষ শুন্য পৃথিবী শাসন করে নারী সমাজ। একজন মহিলা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। একজন নারী বিমানচালক গার্টি (গ্রেস কুনার্ড) রেডউড বনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কুড়েঘরের চিমনি হতে ধোঁয়া উঠতে দেখে কৌতুহলি হন, জানতে পারেন এখানে এলমার স্মিথ নামে একজন গ্রাম্য পুরুষ নিভৃতে বাস করছেন। এলমার স্মিথকে ধরে এনে, হাসপাতালে তার বংশ বিস্তারের সামর্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রামাণিত হয় এলমার সামর্থ্যবান। অচীরেই এলমার পৃথিবীর সকল নারীর আকাংক্ষিত পুরুষে পরিণত হন। সরকার তাকে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে গার্টির কাছ থেকে কিনে নেয়, দুইজন নারী সিনেটর, এলমারকে তাদের স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। অপরদিকে এলমার তার প্রেয়সি হ্যাটিকে খুঁজে বের করে, অভিমান ভুলে হ্যাটিকে বিয়ে করে।
দ্য লাস্ট ম্যান অন আর্থ-এর কাহিনি হাস্যরসাত্মক হলেও চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হয়েছিল।[৩] তৎকালীন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সেন্সর বোর্ড একজন পুরুষের জন্য মহিলা সমাজের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার বিষয়টির উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট ছিলনা, তারা ভার্জিনিয়ায় চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছিল।[৪] পরবর্তীতে এটি ব্রিটিশ বোর্ড অব ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিল।[৫][৬]
দ্য লাস্ট ম্যান অন আর্থ-এর কপি বেলজিয়ামের রাজকীয় চলচ্চিত্র সংরক্ষণাগার এবং নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট-এ সংরক্ষিত আছে।[৭][৮]