ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেফ্রে রবার্ট থমসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (1950-08-16) ১৬ আগস্ট ১৯৫০ (বয়স ৭৩) গ্রিনাক্রে, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | থমো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬২) | ২৯ নভেম্বর ১৯৭২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ আগস্ট ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৮) | ১ জানুয়ারি ১৯৭৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ জুন ১৯৮৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৪-১৯৮৬ | কুইন্সল্যান্ড বুলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১ | মিডলসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭২-১৯৭৪ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ এপ্রিল ২০১৭ |
জেফ্রি রবার্ট থমসন (ইংরেজি: Jeffery Robert Thomson; জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৫০) নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের গ্রিনাক্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জেফ থমসন। থমো ডাকনামে পরিচিত জেফ্রি থমসনকে সর্বকালের সেরা দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলাররূপে অনানুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। বিখ্যাত ফাস্ট বোলার ডেনিস লিলি’র সাথে তিনি বোলিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের জুটিকে সেরা ভীতিকর জুটি হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে তাদের বোলিংকে ঘিরে উইজডেন মন্তব্য করেছিল যে, “... এটি বেশ সহজভাবে বিশ্বাস করা যায় যে, দ্রুতগতিসম্পন্ন এ জুটি একটি ক্রিকেট দলে খুব সহজেই স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পেরেছে।”[১]
১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে ৩৩ উইকেট নিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হেলমেট ও অন্যান্য আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামের দুষ্প্রাপ্যতা ছিল ও বাউন্সারের কোন বিধি-নিষেধ ছিল না। ঐ যুগে তার পেস বোলিং খেলার উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পাঞ্চবোল বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। সেখানে তার সহপাঠি ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার লেন পাস্কো।[২] এ দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। একত্রে ক্লাব, রাজ্য ও টেস্ট পর্যায়ের দলে ক্রিকেট খেলেছেন।
১৯৭২-৭৩ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পরই টেস্টে খেলার জন্য আমন্ত্রণ পান।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে ১১০ রান দিলেও কোন উইকেট লাভে সক্ষম হননি তিনি। পরবর্তীতে তার পায়ে হাড় ভাঙ্গা ধরা পড়ে। এ ব্যথা নির্বাচকমণ্ডলী ও সতীর্থ খেলোয়াড়দের কাছে গোপন রাখেন।[৩]
১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন। ইংরেজ খেলোয়াড়েরা কেবলমাত্র তার বোলিং ভঙ্গীমা অস্ট্রেলিয়া সফরে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় উপভোগ করছিলেন। তিনি কেবলমাত্র তার অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলের নির্দেশনামাফিক বোলিং করছিলেন। টেস্ট শুরুর পূর্বেই তিনি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তিনি বলেছিলেন যে, “আমি ব্যাটসম্যানদেরকে আউট করার চেয়ে আঘাত করাতেই উপভোগ করি বেশি। আমি পীচে রক্ত দেখতেই বেশি ভালবাসি।”[৪] দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৪৬ লাভ করে অস্ট্রেলিয়াকে জয় উপহার দেন। পার্থে তিনি বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে আঘাত করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৯৩ পেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আরও একটি জয়লাভে সহায়তা করেন।[৫]
১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার সময় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরায় তার বোলিং গতিবেগ ১৬০.৪৫ কিমি/ঘ ধরা পড়ে। একবছর পর ১৯৭৬ সালে পুনরায় ১৬০.৫৮ কিমি/ঘ গতিবেগ লিপিবদ্ধ করা হয়। ঐ সময়ের প্রাপ্ত প্রযুক্তিতে তার বোলিংয়ের গড় গতিবেগ প্রকৃতপক্ষে পীচে আরও বেশি ছিল বলে ধারণা করা হয়।[৬][৭] অধিকাংশ ক্রিকেটার, ক্রিকেটবোদ্ধা ও দর্শকদের মতে ১৯৭০-এর দশকে থমসনের গতি খুবই প্রবল ছিল। রিচি বেনো’র মতে ফ্রাঙ্ক টাইসনের পর থমসনের দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলিং দেখেছেন।[৮] অস্ট্রেলীয় উইকেট-রক্ষক রড মার্শ তার অধিকাংশ টেস্টে থমসনের বল গ্লাভসে ধরতেন। তার মতে, থমসন প্রায় ১৮০ কিমি/ঘ গতিবেগে বল ছুড়েছেন। ইয়ান চ্যাপেল এবং অ্যাশলে মলেটের অভিমতও একই।[৯]
ঘরোয়া ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের অধিনায়ক থাকা অবস্থায় ১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে দলের সদস্য মনোনীত হন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সফরে যাবার ফলে অস্ট্রেলীয় দলের পেস বোলিং অনেকাংশেই দূর্বল ছিল। প্রথম টেস্টে ২/১৭৪ বোলিং করায় পঞ্চম টেস্ট পর্যন্ত তাকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা হয়। পঞ্চম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২৮* রান করেন যা ১৯৭৭ সালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের পরবর্তী সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ঐ টেস্টে গ্রাহাম গুচের একমাত্র উইকেট নিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ওয়ালি গ্রাউটের সাথে তাকেও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১০]
কুইন্সল্যান্ড দল – জিলেট কাপ ১৯৭৫-৭৬ | ||
---|---|---|
|
কুইন্সল্যান্ড দল – ১৯৮০-৮১ ম্যাকডোনাল্ডস কাপ | ||
---|---|---|
অস্ট্রেলিয়া দল – বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট | ||
---|---|---|
|
অস্ট্রেলীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মৌসুমে শীর্ষস্থানীয় উইকেটলাভকারী (১৯৫০-৫১ থেকে ১৯৯৯-২০০০) | |
---|---|
| |
|