ক্ল্যামেটর
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
ক্ল্যামেটর | |
---|---|
খয়েরিডানা পাপিয়া, সিঙ্গাপুর | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | কুকুলিফর্মিস |
পরিবার: | কুকুলিডি |
গণ: | ক্ল্যামেটর Kaup, 1829 |
প্রজাতি | |
C. glandarius |
ক্ল্যামেটর (Clamator) Cuculidae গোত্রের অন্তর্গত একদল বড় আকৃতির বাসা পরজীবী পাখির গণ। এরা কোকিল গোত্রীয় পাখি। এদের সবার ঝুঁটি রয়েছে এবং ঝুঁটি দীর্ঘ ও সূচালো। ডানা খাটো ও গোলাকার। ঠোঁট দুই পাশে চাপা এবং আগার দিকে খানিকটা বাঁকা। পায়ের গোড়া ছাড়া পায়ের অন্য কোথাও পালক নেই। এদের লেজ ক্রমান্বয়ে ছোট থেকে বড় পালকে গড়া। লেজ ডানার চেয়ে বেশ লম্বা। স্ত্রী ও পুরুষ পাখিতে তেমন কোন পার্থক্য নেই।[১] তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির চেহারায় ভিন্নতা দেখা যায়। এরা সবাই দৈর্ঘ্যে কমবেশি ৩৩ সেন্টিমিটার। এদের পালক সাদা, কালো অথবা বাদামিতে মেশানো। দুই আফ্রিকান প্রজাতির উপপ্রজাতিতে দুই রকম প্রকার দেখা যায়: গাঢ় ও হালকা প্রকার।
ক্ল্যামেটর গণে মোট চারটি প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত। প্রজাতিগুলো হল:
এ গণের প্রজাতিগুলো এশিয়া, ইউরোপের দক্ষিণে এবং সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে আফ্রিকায় দেখা যায়। এরা মূলত শুষ্ক অঞ্চলের বাসিন্দা। তবে কিছু প্রজাতি শীত ও গ্রীষ্মে তুলনামূলক আর্দ্র অঞ্চলে পরিযান করে।[২]
এর সকল প্রজাতি স্বভাবে বাসা পরজীবী, অর্থাৎ এরা নিজে বাসা তৈরি না করে অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে। স্ত্রী পাখি পোষকের বাসায় একটিমাত্র ডিম পাড়ে। এদের পোষক মাঝারি আকারের পাখি, যেমন- তাউরা, খয়েরি হাঁড়িচাচা, কসাই পাখি, দামা, বাংলা বুলবুল, সাতভাই ছাতারে ইত্যাদি। এশীয় কোকিলের মত এরা পোষক পাখির ডিম ফেলে দেয় না। এদের ছানারাও পোষকের ডিম ফেলে না। পোষকের ছানারা আসলে এদের ছানাদের সাথে খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতা করে পেরে ওঠে না।
এরা উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করে ও প্রজনন মৌসুমে এরা সুরেলা গলায় গান গায়। এদের মূল খাদ্য পোকামাকড় ও শুঁয়োপোকা।