^ Only the population of the official territory consisting of the Iraqi governorates of Duhok, Erbil, Sulaymaniya and Halabja
ইরাকি কুর্দিস্তান ( ইংরেজি ভাষায়: Iraqi Kurdistan; অর্থ “ইরাকের কুর্দিদের দেশ”[৬]), আনুষ্ঠানিকভাবে কুর্দিস্তান অঞ্চল বলা হয়, ইরাকের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে একতাবদ্ধ একটি অঞ্চলের ইরাকে নিয়ন্ত্রাধীন অংশ। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ কুর্দি জাতি যারা কুর্দি ভাষায় কথা বলে ও কুর্দি সংস্কৃতি লালন করে।
সেলজুক তুর্কি সুলতান সাঞ্জার সম্ভবত সর্বপ্রথম ১২শ শতকে কুর্দিস্তান নামটি সরকারীভাবে ব্যবহার করেন। তিনি সেসময় কুর্দিদের আবাসভূমি বিজয় করেছিলেন এবং কুর্দিস্তান নামের একটি প্রদেশ গঠন করেছিলেন। এর রাজধানী ছিল বাহার শহর, যা বর্তমান ইরানিহামাদান শহরের কাছেই অবস্থিত।[৭]
আধুনিককালে কুর্দিস্তান চারভাগে বিভক্ত। ইরাকি কুর্দিস্তান ছাড়াও অপর তিনটি হচ্ছে তুরস্কের পূর্বের কিছু অংশ (তুর্কি কুর্দিস্তান), দক্ষিণ-পশ্চিম ইরান (ইরানি কুর্দিস্তান) এবং উত্তর সিরিয়ার (সিরীয় কুর্দিস্তান)।
ভৌগলিকভাবে কুর্দিস্তান অঞ্চলটি জগ্রোস পর্বমালার উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং তোরোস পর্বতমালার পূর্বাংশ নিয়ে গঠিত। [৮] এছাড়া আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামান্য কিছু এলাকাকেও কুর্দিস্তানের অন্তর্গত গণ্য করা হয়।
স্বায়ত্তশাসন লাভ
ইরাকি কুর্দিস্তান ১৯৭০ সালে ইরাকি সরকারের সাথে এক চুক্তির মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। ২০০৫ সালে ইরাকের নতুন সংবিধানেও ইরাকি কুর্দিস্তানের এই স্বায়ত্তশাসন পুনরায় স্বীকৃতি পায়।[৯]
বিংশ শতাব্দীতে কুর্দি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। কিছু কুর্দি জাতীয়তাবাদী সংগঠন কুর্দিস্তান নামের একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে কুর্দি-অধ্যুষিত সমস্ত এলাকা বা এর অংশবিশেষ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অন্যরা বর্তমান রাষ্ট্রীয় সীমানাগুলির মধ্যেই কুর্দি অঞ্চলগুলির স্বায়ত্বশাসনের পরিমাণ বাড়ানোর পক্ষপাতী। [১০]
আঞ্চলিক সরকার
ইরাকি কুর্দিস্তান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে একটি অঞ্চলিক সরকার বিদ্যমান। যাকে সরকারীভাবে কেআরজি বলা হয়। কেআরজি প্রধানকে প্রেসিডেন্ট বলা হয়। এটি ৪টি প্রদেশে বিভক্ত। তার প্রধান হচ্ছে আর্বিল প্রদেশ ।
ধর্ম বিশ্বাস
ইরাক নিয়ন্ত্রাধীন কুর্দিস্তানে মুসলিমদের উভয় সম্প্রদায় (সুন্নি ও শিয়া), ইয়াজিদি সম্পদায়, জরথুস্ট সম্পদায়ের লোক বাসকরে। তবে কুর্দিরা সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ।
অর্থনীতি
এখানকার অর্থনীতি তেল নির্ভর। ইরাকে উত্তলিত অধিকাংশ তেল এ অঞ্চল থেকে উত্তোলন করা হয়।
আইএস বিরোধী অভিযান
ইরাকি কুর্দিস্তানের কুর্দিরা সরকারী বাহিনীর ও মার্কিন বাহিনীর সাথে আইএস বিরোধী অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
স্বাধীনতার জন্য গণভোট
ইরাকি কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রেসিডেন্ট মাসউদ বারজানি গত ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে স্বাধীনতার জন্য গনভোটের আয়োজন করে। যদিও এই গণভোটের আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। ইরান, তুরস্ক সহ অনেক রাষ্ট্র এই গনভোটে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করে। তবে কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে রয়েছে ইসরাইল।