স্পাইডার-ম্যান ২
স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি: Spider-Man 2) স্যাম রেইমি পরিচালিত ২০০৪ সালের মার্কিন সুপারহিরো চলচ্চিত্র। মারভেল কমিক্সের দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান কমিক বইয়ের চরিত্র অবলম্বনে ছবিটির গল্প লিখেছেন আলফ্রেড গফ, মাইলস মিলার ও মাইকেল শাবন এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন আলভিন সার্জেন্ট। এটি স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্রের অনুবর্তী পর্ব। পূর্বের চলচ্চিত্রের ন্যায় এই ছবিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টোবি ম্যাগুইয়ার এবং কিয়ার্স্টন ডান্স্ট, জেমস ফ্র্যাঙ্কো ও রোজামেরি হ্যারিস তাদের স্ব-স্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
স্পাইডার-ম্যান ২ | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | স্যাম রেইমি |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার | আলভিন সার্জেন্ট |
কাহিনিকার |
|
উৎস | স্ট্যান লি ও স্টিভ ডিটকো কর্তৃক দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | ড্যানি এলফম্যান |
চিত্রগ্রাহক | বিল পোপ |
সম্পাদক | বব মুরাভস্কি |
প্রযোজনা কোম্পানি | মারভেল এন্টারপ্রাইজ |
পরিবেশক | কলম্বিয়া পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২৭ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২০০ মিলিয়ন[২] |
আয় | $৭৮৩.৮ মিলিয়ন[২] |
স্পাইডার-ম্যান ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ২০০৪ সালের ২২ জুন ফিলিপাইনের মান ভিলেজ থিয়েটারে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি সাধারণ ও আইম্যাক্স প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০০৪ সালের ৩০ জুন। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। বিশ্বব্যাপী $৭৮৩.৮ মিলিয়ন আয় করা ছবিটি ২০০৪ সালের তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। ছবিটি ৭৭তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ ভিজুয়াল ইফেক্টসের জন্য পুরস্কার লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ শব্দ সম্পাদনা ও শ্রেষ্ঠ শব্দ সংযোজনের জন্য মনোনীত হয়। এছাড়া স্যাটার্ন পুরস্কারে ছবিটি শ্রেষ্ঠ ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র এবং স্যাম রেইমি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারসহ পাঁচটি পুরস্কার লাভ করে। এই ছবিটিকে অন্যতম সেরা সুপারহিরো চলচ্চিত্র হিসেবে অভিহিত করা হয়[৩][৪][৫][৬][৭] এবং এর সাফ্যলের ধারাবাহিকতায় এর অনুবর্তী পর্ব স্পাইডার-ম্যান ৩ (২০০৭) নির্মিত হয়।
কুশীলব
- টোবি ম্যাগুইয়ার - পিটার পার্কার / স্পাইডার-ম্যান, একজন সুপারহিরো, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র এবং ডেইলি বাগলের চিত্রগ্রাহক।
- কিয়ার্স্টন ডান্স্ট - মেরি জেন ওয়াটসন, পিটার তাকে ছোটবেলা থেকে পছন্দ করে।
- জেমস ফ্র্যাঙ্কো - হ্যারি অসবর্ন, অসকর্পের প্রধান ও পিটার পার্কারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যে তার পিতার মৃত্যুর জন্য পিটারকে দায়ী করে।
- আলফ্রেড মলিনা - ডঃ অটো অক্টাভিয়াস / ডক্টর অক্টোপাস, একজন বিজ্ঞানী ও পিটার পার্কারের রোল মডেল, যে এক ফিউশন প্রতিক্রিয়ার কারণে অক্টোপাসে পরিণত হয়।
- রোজামেরি হ্যারিস - মে পার্কার, বেন পার্কারের বিধবা স্ত্রী এবং পিটার পার্কের চাচী।
- জে. কে. সিমন্স - জে. জোনাহ জেমসন, ডেইলি বাগল পত্রিকার মালিক ও প্রকাশক, যে স্পাইডার-ম্যানকে অপরাধী মনে করে।
- ডোনা মার্ফি - রোসালি অক্টাভিয়াস, ড. অটো অক্টাভিয়াসের স্ত্রী ও তার সহকারী।
- ড্যানিয়েল গিলিস - জন জেমসন, জোনাহ জেমসনের পুত্র, মেরি জেনের বাগদত্তা ও নভোচারী।
- ডিলন বেকার - ড. কুর্ট কনরস, পিটারের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের শিক্ষক এবং অক্টাভিয়াসের সহকর্মী।
- উইলেম ডেফো - নরম্যান অসবর্ন / গ্রিন গবলিন, হ্যারির মৃত পিতা।
পুরস্কার ও মনোনয়ন
স্পাইডার-ম্যান ২ ছবিটি শ্রেষ্ঠ ভিজুয়াল ইফেক্টস বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করে এবং দুটি বিভাগে (শ্রেষ্ঠ শব্দ সম্পাদনা ও শ্রেষ্ঠ শব্দ সংযোজন) একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। কিন্তু শ্রেষ্ঠ শব্দ সম্পাদনা বিভাগে দ্য ইনক্রেডিবলস এবং শ্রেষ্ঠ শব্দ সংযোজন বিভাগে রে চলচ্চিত্রের কাছে হেরে যায়।[৮] ছবিটি শ্রেষ্ঠ ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ লেখনী, এবং শ্রেষ্ঠ বিশেষ ইফেক্টসের জন্য স্যাটার্ন পুরস্কার লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতের মনোনয়ন লাভ করে। বাফটা পুরস্কারে ছবিটি শ্রেষ্ঠ ভিজুয়াল ইফেক্টস ও শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রহণ বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে কিন্তু যথাক্রমে দ্য ডে আফটার টুমরো ও রে-এর কাছে হেরে যায়।[৯]
ধারাবাহিক
২০০২ সালের ৩ এপ্রিল, স্পাইডার-ম্যান ধারাবাহিকের প্রথম চলচ্চিত্র স্পাইডার-ম্যান মুক্তি পায়। ছবিটি পরিচালনা করেন স্যাম রেইমি। স্পাইডার-ম্যান ২ ছবির অনুবর্তী পর্ব ও স্পাইডার-ম্যান ধারাবাহিকের শেষ চলচ্চিত্র স্পাইডার-ম্যান ৩ ২০০৭ সালের ৪ মে তারিখে মুক্তি পায়। এই ছবিটিও পরিচালনা করেছেন স্যাম রেইমি।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি)
- অলমুভিতে স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি)