মুঘল স্থাপত্য
মুঘল স্থাপত্য ইসলামি, পারস্য ও ভারতীয় স্থাপত্যের এক সংমিশ্রণ। শিল্প, স্থাপত্য কিভাবে গড়তে হয় তাঁর পুরো জ্ঞান নিয়েই মুঘলরা ভারতে পা রেখেছিলেন। ভারতে আগে থেকেই স্থাপত্যের একটি শিল্পধারা ছিল।
মুঘলরা এই ভারতীয় ধারার সাথে পারস্যের শিল্পধারাকে মেশালেন। এক নতুন শিল্পরীতির প্রবর্তন হোলো, নাম তার মুঘল শিল্প।
মুঘল স্থাপত্যের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য হোলো, স্থাপত্যে গম্বুজের ব্যবহার। গম্বুজ অর্থাৎ বিরাট বিরাট থামওয়ালা প্রাসাদ।
গম্বুজের ব্যবহার কিন্তু মুঘলদের আসার আগে ভারতে হয়নি। গম্বুজের ব্যবহার বাগদাদে করা হয়েছিল। মুঘলরা সেখান থেকে এই ধারা ভারতে নিয়ে আসে। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রসারিত মুঘল সাম্রাজ্যে এই স্থাপত্যশৈলীটি বিকশিত হয়ে ওঠে।[১] মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অনেক নিদর্শন ভারত, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে দেখতে পাওয়া যায়।
১৫২৬ সালে পানিপথের যুদ্ধে বাবরের বিজয়ের পরে মুঘল রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাঁচ বছরের শাসনামলে বাবর স্থাপত্যে যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন। তার নাতি আকবর তার রাজত্বকালে স্থাপত্যশৈলীটি প্রবলভাবে বিকশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল আগ্রা দুর্গ, ফতেহপুর সিক্রি এবং বুলন্দ দরওয়াজা। আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর কাশ্মীরের শালিমার উদ্যান তৈরি করেছিলেন।[২]
চিত্রসম্ভার
- ১৮২৩ সালে অঙ্কিত বড় কাটারার চিত্র।
- ১৮১৭ সালে অঙ্কিত ছোট কাটারার চিত্র।
- আল্লাকুরি মসজিদ বাংলাদেশের মোহাম্মদপুরের কাটাসুরে অবস্থিত মুঘল আমলের একটি মসজিদ।
তথ্যসূত্র
- এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
- Keay, John (2000). India: a History. Grove Press, New York.
বহিঃসংযোগ
- Mughal Gardens (Gallery of the Smithsonian Institution)
- Jali/Jharokha/Jala/Jalaka (from Mughal Architecture, Agra, India)
- Mughal Architecture, Agra, India