চিতাবাঘ

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি
(Leopard থেকে পুনর্নির্দেশিত)

চিতাবাঘ (Panthera pardus) ফেলিডি গোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির শ্বাপদ। সাহারা-নিম্ন আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চমৎকার এ প্রাণীটি দেখা যায়। আবাসস্থল ধ্বংস, শিকারের অভাব আর চোরাশিকারের ফলে সারা দুনিয়ায় প্রজাতিটি আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। সে কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা আইইউসিএন চিতাবাঘকে প্রায়-বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, সিরিয়া, লিবিয়াতিউনিসিয়ায় চিতাবাঘ আজ আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত।বাংলাদেশে এটি বিলুপ্তি প্রায় প্রানী[৩] প্যানথেরা গণের মোট চারটি বড় বিড়ালের মধ্যে চিতাবাঘই সবচেয়ে ছোট; অন্য তিনটি হল বাঘ, সিংহজাগুয়ার।।

চিতাবাঘ
সময়গত পরিসীমা: Early Pleistocene – Present[১]
কা
পা
ক্রি
প্যা
Male African leopard in Maasai Mara National Reserve, Kenya
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:প্রাণী
পর্ব:কর্ডাটা
শ্রেণী:স্তন্যপায়ী
বর্গ:শ্বাপদ বর্গ
পরিবার:ফেলিডি
গণ:প্যানথেরা
প্রজাতি:প্যা.পার্ডাস
Subspecies
  • আফ্রিকান চিতাবাঘ
  • ভারতীয় চিতাবাঘ
  • জাভা চিতাবাঘ
Present and historical distribution of the leopard[২]
চিতাবাঘ - গীর জাতীয় উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ভারত
পায়ের ছাপ, জয়ন্তী, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, ভারত

বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৪]

বর্ণনা

বৃহদাকার ও বলিষ্ঠ এই বিড়াল জাতীয় প্রাণিটির দেহ সরু, লেজ দীঘল এবং পদচতুষ্টয় হ্রস্বাকৃতির হয়ে থাকে। মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ১৬০ সেন্টিমিটার ও লেজ ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুরুষ চিতাবাঘের শরীর মাদী চিতাবাঘের তুলনায় বৃহদাকার। মাদী চিতাবাঘের ওজন ১৭ থেকে ৫৮ কিলোগ্রাম এবং পুরুষ চিতাবাঘের ওজন ৩১ থেকে ৬৫ কিলোগ্রাম অবধি পাওয়া গেছে। চিতাবাঘের কান গোলাকৃতি। কানের পশ্চাৎদেশ কৃষ্ণাভ যাতে সাদা ছোপ রয়েছে। মস্তক তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রকার, উত্তল। পিষ্ঠদেশ খাটো, কোমল। এর লোম মসৃণ, খাটো। রঙ স্বর্ণাভ থেকে পিঙ্গল কিংবা কমলা-তামাটে হয়ে থাকে। দেহপার্শ্বের তুলনায় পশ্চাৎদেশ কিছুটা কালচে। সারা শরীরে কালো ছোপ থাকায় একে চিত্রল দেখায়। দেহতল এবং পদদেশ সাদাটে। চিতাবাঘের গাত্রবর্ণে কালচে ভাব থাকলেও অধিকাংশ এলাকা বাদামী।[৫][৬][৭]

চিতাবাঘের বৈজ্ঞানিক নাম Panthera pardus (Linnaeus, 1758) আর চিতার বৈজ্ঞানিক নাম Acinonyx jubatus (Schreber, 1775)। ব্যতিক্রম প্রজাতি ছাড়াও দু’টি প্রাণীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টগত পার্থক্য হচ্ছে চিতার গায়ে কালো ছোপ থাকে, আর চিতাবাঘের গায়ে কালো ছোপ থাকলেও তা অনেকটা বলায়াকৃতির। অধিকন্তু চিতা রোগা ও লম্বাটে আর চিতাবাঘ বাঘের ন্যায় তুলনামূলকভাবে মোটাসোটা শরীরের।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

  1. সিংহ
  2. বাঘ
  3. বিড়াল

বহি:সংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী