হায়দ্রাবাদ

ভারতে তেলেঙ্গানা রাজ্যর রাজধানী
(Hyderabad থেকে পুনর্নির্দেশিত)

হায়দ্রাবাদ (তেলুগু: హైదరాబాదు, উর্দু: حیدرآباد‎‎; /ˈhdərəbæd/ () HY-dər-ə-bad,[৪] তেলুগু: [ˈɦaɪ̯daraːbaːd], হিন্দুস্তানি: [ˈɦɛːdəɾaːbaːd]) ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী ও সবচেয়ে বৃহত্তম শহর। দক্ষিণ ভারতের উত্তর অংশে দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে, মুসি নদীর তীরে ৬৫০ বর্গ কিলো মিটার এলাকা নিয়ে অবস্থিত। হায়দ্রাবাদের বেশিরভাগ অংশ গড়ে ৫৪২ মিটার (১,৭৭৮ ফুট) সমুদ্ররতল থেকে উচ্চে এবং কৃত্রিম হ্রদের চারপাশে পার্বত্য অঞ্চল অবস্থিত। জনসংখ্যা ৬৯ লক্ষ ।

হায়দ্রাবাদ
హైదరాబాదు
حیدرآباد
উপরে থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: রমজানের রাতের বাজারে চারমিনার, কুতুব শাহর সমাধি, বুদ্ধ মূর্তি হুসেইন সাগর, ফলকনুমা প্যালেস, দিগন্তরেখা গাছিবোলি এবং বিড়লা মন্দির
ডাকনাম: সিটি অফ পার্ল্স
হায়দ্রাবাদ তেলেঙ্গানা-এ অবস্থিত
হায়দ্রাবাদ
ভারতবর্ষের তেলেঙ্গানা রাজ্যে, হায়দ্রাবাদ শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৭°২১′৫৮″ উত্তর ৭৮°২৮′৩৪″ পূর্ব / ১৭.৩৬৬° উত্তর ৭৮.৪৭৬° পূর্ব / 17.366; 78.476
দেশ ভারত
রাজ্যতেলেঙ্গানা
অঞ্চলদাক্ষিণাত্য মালভূমি
জেলাহায়দ্রাবাদ, রাঙ্গা রেড্ডি জেলা এবং মেদক
সংস্থাপিত১৫৯১
প্রতিষ্ঠাতামুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ
সরকার
 • ধরনপৌরসংস্থা
 • শাসকবৃহত্তর হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (জি.এইচ.এম.সি)
হায়দ্রাবাদ মহানগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এইচ.এম.ডি.এ)
 • সাংসদআসাদ উদ্দিন ওয়াইসি, মল্ল রেড্ডি, বন্দারু দত্তাত্রেয় আর কোণ্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডি
 • মেয়রবোন্থু রাম মোহন
 • পুলিশ কমিশনারএম মহেন্দর রেড্ডি
আয়তন
 • মহানগরী৬২৫ বর্গকিমি (২৪১ বর্গমাইল)
 • মহানগর৭,১০০ বর্গকিমি (২,৭০০ বর্গমাইল)
উচ্চতা৫৪২ মিটার (১,৭৭৮ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মহানগরী৪৮,০৯,৯৭০
 • ক্রম৪র্থ
 • জনঘনত্ব১৮,৪৮০/বর্গকিমি (৪৭,৯০০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৭৭,৪৯,৩৩৪
 • মেট্রো মর্যাদা ক্রম৬র্থ
বিশেষণহায়দ্রাবাদি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
ডাক সূচকাংক৫০০ xxx, ৫০১ xxx, ৫০২ xxx, ৫০৮ xxx, ৫০৯ xxx
এলাকা কোড+৯১–৪০, ৮৪১৩, ৮৪১৪, ৮৪১৫, ৮৪১৭, ৮৪১৮, ৮৪৫৩, ৮৪৫৫
যানবাহন নিবন্ধনTS ০৯ to TS ১৪
সরকারী ভাষাসমূহতেলুগু, উর্দু
এইচ.ডি.আইউঁচু
ওয়েবসাইটwww.ghmc.gov.in

ইতিহাস

নামকরণ

জন এভারেট-হিথের মতে, হায়দ্রাবাদের অর্থ "হায়দারের শহর" বা "সিংহের শহর" যেখানে হায়দার (অর্থ সিংহ) এবং আবাদ (অর্থ শহর)। খলিফা আলী ইবনে আবু তালিবকে সম্মান জানাতে নামকরণ করা হয়েছিল, যিনি যুদ্ধে সিংহের মতো বীরত্বের কারণে হায়দার নামেও পরিচিত ছিলেন।[৫] ইসলামি স্থাপত্যের পণ্ডিত অ্যান্ড্রু পিটারসনের মতে, শহরটিকে আসলে বাগনগর (উদ্যানের শহর) বলা হত।[৬] একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব থেকে জানা যায় যে নগরটির প্রতিষ্ঠাতা গোলকুন্ডা সালতানাতের মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ স্থানীয় নাচনেওয়ালী ভাগমতীর প্রেমে পড়েছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং হায়দার মহল উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তার সম্মানে এই শহরটির নামকরণ করা হয় হায়দ্রাবাদ।[৭][৮][৯][১০]

এই রাজবংশের পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ এর আমলে ১৫৯১ সালে নগরীর গোড়াপত্তন হয়।

নিজামের শাসন(১৭২৪-১৯৪৮)

চিত্রউপাধিনামজন্ম তারিখরাজত্ব শুরুরাজত্ব শেষমৃত্যুর তারিখ
নিজাম-উল-মুলক, আসাফ জাহ প্রথম
نظام‌الملک آصف جاہ
মীর কমরউদ্দিন খান২০ আগস্ট ১৬৭১৩১ জুলাই ১৭২৪১ জুন ১৭৪৮
নাসির জং
نصیرجنگ
মীর আহমেদ আলী খান২৬ ফেব্রুয়ারি ১৭১২১ জুন ১৭৪৮১৬ ডিসেম্বর ১৭৫০
Muzaffar_Jung
মুজাফফর জং
مظفرجنگ
মুহিউদ্দিন মুজাফফর জং হিদায়াত?১৬ ডিসেম্বর ১৭৫০১৩ ফেব্রুয়ারী ১৭৫১
সালাবাত জং
صلابت جنگ
মীর সাঈদ মোহাম্মদ খান২৪ নভেম্বর ১৭১৮১৩ ফেব্রুয়ারী ১৭৫১৮ জুলাই ১৭৬২
(পদচ্যুত)
১৬ সেপ্টেম্বর ১৭৬৩
নিজাম-উল-মুলক, আসাফ জাহ দ্বিতীয়
نظام‌الملک آصف جاہ دوم
মীর নিজাম আলি খান৭ মার্চ ১৭৩৪৮ জুলাই ১৭৬২৬ আগস্ট ১৮০৩
সিকান্দার জাহ, আসাফ জাহ তৃতীয়
سکندر جاہ ،آصف جاہ تریہم
মীর আকবর আলি খান১১ নভেম্বর ১৭৬৮৬ আগস্ট ১৮০৩২১ মে ১৮২৯
নাসিরউদ্দৌলা, আসাফ জাহ চতুর্থ
ناصر الدولہ ،آصف جاہ چارہم
মীর ফারাকান্দা আলী খান২৫ এপ্রিল ১৭৯৪২১ মে ১৮২৯১৬ মে ১৮৫৭
আফজালউদ্দৌলা, আসাফ জাহ পঞ্চম
افضال الدولہ ،آصف جاہ پنجم
মীর তাহনিয়াথ আলি খান১১ অক্টোবর ১৮২৭১৬ মে ১৮৫৭২৬ ফেব্রুয়ারী ১৮৬৯
আসাফ জাহ ষষ্ঠ
آصف جاہ شیشم
মীর মাহবুব আলি খান১৭ আগস্ট ১৮৬৬২৬ ফেব্রুয়ারী ১৮৬৯২৯ আগস্ট ১৯১১
আসাফ জাহ সপ্তম
آصف جاہ ہفتم
মীর উসমান আলি খান,৬ এপ্রিল ১৮৮৬২৯ আগস্ট ১৯১১১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮
(পদচ্যুত)
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭

রাজ্য পুনর্গঠন

একসময়ে অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী ছিলো হায়দ্রাবাদ শহর। কিন্তু পুরনো অন্ধ্র ভেঙ্গে এখন তৈরি হয়েছে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা। আর রাজধানী হায়দ্রাবাদ পড়েছে তেলেঙ্গানার ভাগ্যে।

ভূগোল

হায়দ্রাবাদ ১,৫৬৬ কিলোমিটার (৯৭৩ মা) দিল্লির দক্ষিণে, মুম্বই এর ৬৯৯ কিলোমিটার (৪৩৪ মা) দক্ষিণপূর্বে [১১] এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের তেলঙ্গানা রাজ্যতে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।[১২]

আবহাওয়া

হায়দ্রাবাদের জলবায়ু ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু এবং শুষ্ক পাশাপাশি কিছু অংশে উষ্ণ আধা-শুষ্ক জলবায়ু।[১৩][১৪] বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.৬ °সে (৭৯.৯ °ফা); মাসিক গড় তাপমাত্রা ২১–৩৩ °সে (৭০–৯১ °ফা)।[১৫] গ্রীষ্মকাল (মার্চ-জুন) গরম এবং আর্দ্র, মাঝারি থেকে উচ্চতর গরমের সময় গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।[১৬] এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ °সে (১০৪ °ফা) প্রায়শই অতিক্রম করে।[১৫]

মাসজানুফেব্রুমার্চএপ্রিলমেজুনজুলাইআগস্টসেপ্টেঅক্টোনভেডিসেবছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা)৩৩.৪
(৯২.১)
৩৬.৮
(৯৮.২)
৩৯.৯
(১০৩.৮)
৪৩.১
(১০৯.৬)
৪৩.৭
(১১০.৭)
৪৫.৫
(১১৩.৯)
৩৬.০
(৯৬.৮)
৩৪.৭
(৯৪.৫)
৩৫.৩
(৯৫.৫)
৩৬.১
(৯৭.০)
৩৩.৮
(৯২.৮)
৩২.৭
(৯০.৯)
৪৫.৫
(১১৩.৯)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা)২৮.৬
(৮৩.৫)
৩১.৮
(৮৯.২)
৩৫.২
(৯৫.৪)
৩৭.৬
(৯৯.৭)
৩৮.৮
(১০১.৮)
৩৪.৪
(৯৩.৯)
৩০.৫
(৮৬.৯)
২৯.৬
(৮৫.৩)
৩০.১
(৮৬.২)
৩০.৪
(৮৬.৭)
২৮.৮
(৮৩.৮)
২৭.৮
(৮২.০)
৩২.০
(৮৯.৬)
দৈনিক গড় °সে (°ফা)২২.২
(৭২.০)
২৫.১
(৭৭.২)
২৮.৪
(৮৩.১)
৩১.৫
(৮৮.৭)
৩৩.০
(৯১.৪)
২৯.৩
(৮৪.৭)
২৭.০
(৮০.৬)
২৬.২
(৭৯.২)
২৬.৬
(৭৯.৯)
২৫.৭
(৭৮.৩)
২৩.২
(৭৩.৮)
২১.৬
(৭০.৯)
২৬.৭
(৮০.০)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা)১৪.৭
(৫৮.৫)
১৭.০
(৬২.৬)
২০.৩
(৬৮.৫)
২৪.১
(৭৫.৪)
২৬.০
(৭৮.৮)
২৩.৯
(৭৫.০)
২২.৫
(৭২.৫)
২২.০
(৭১.৬)
২১.৭
(৭১.১)
২০.০
(৬৮.০)
১৬.৪
(৬১.৫)
১৪.১
(৫৭.৪)
২০.২
(৬৮.৪)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা)৬.১
(৪৩.০)
১১.৩
(৫২.৩)
১৪.৬
(৫৮.৩)
১৭.২
(৬৩.০)
১৭.৮
(৬৪.০)
১৮.৬
(৬৫.৫)
১৯.২
(৬৬.৬)
২০.০
(৬৮.০)
১৯.১
(৬৬.৪)
১৩.৩
(৫৫.৯)
১০.৬
(৫১.১)
৮.৫
(৪৭.৩)
৬.১
(৪৩.০)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি)৩.২
(০.১৩)
৫.২
(০.২০)
১২.০
(০.৪৭)
২১.০
(০.৮৩)
৩৭.৩
(১.৪৭)
৯৬.১
(৩.৭৮)
১৬৩.৯
(৬.৪৫)
১৭১.১
(৬.৭৪)
১৮১.৫
(৭.১৫)
৯০.৯
(৩.৫৮)
১৬.২
(০.৬৪)
৬.১
(০.২৪)
৮০৪.৫
(৩১.৬৮)
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড়.৩.৪.৯১.৮২.৭৭.৬১০.৬১০.১৮.৯৫.৭১.৬.৪৫১.০
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%)৫৬৪৯৩৯৩৭৩৯৬১৭১৭৪৭২৬৩৫৮৫৭৫৬
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড়২৭৯.০২৭১.২২৬৩.৫২৭৩.০২৮২.১১৮০.০১৪২.৬১৩৬.৪১৬৮.০২২৬.৩২৪৬.০২৬৩.৫২,৭৩১.৬
উৎস ১: ভারত আবহাওয়া সংস্থা (১৯৫১–১৯৮০),[১৭] জাতীয় সমুদ্র ও আবহাওয়া সংস্থা (চরম, গড়, আদ্রতা, ১৯৭১–১৯৯০)[১৮]
উৎস ২: হংকং পর্যবেক্ষণাগার (সূর্য, ১৯৭১–১৯৯০)[১৯] ভারত আবহাওয়া সংস্থা • হায়দ্রাবাদ [২০]


প্রশাসন

সাধারণ রাজ্য-রাজধানী অবস্থা

অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন, ২০১৪ অনুযায়ী এই শহরটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত তেলেঙ্গানাঅন্ধ্রপ্রদেশ উভয়ের রাজ্য রাজধানী রূপে গণ্য হবে।

রাজনীতি

এই শহরের রাজনীতি এখনো নিজাম-শাসনে প্রভাবিত। শহরের একটি মাত্র লোকসভা আসন রয়েছে যা ১৯৮৪ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নামক রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় রয়েছে, যা এই দলের একমাত্র লোকসভা আসনও। এই আসনের অধীনে চারমিনার, চৌমহল্লা প্রাসাদ, মক্কা মসজিদ ও নিজামের অলংকার প্রাসাদের এলাকাগুলো রয়েছে। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন ওয়াইসি। তারপর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এর সংসদ সদস্য হন। সালাউদ্দিনের অপর পুত্র আকবরউদ্দিন ওয়াইসি এই আসনের অন্তর্গত বিধানসভা আসন চন্দ্রায়ণগুত্তা-র বিধায়ক। এই আসনের অন্তর্গত গোসামহল বিধায়ক আসনটি ব্যাতিক্রমে ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে, যা দলের একমাত্র বিধানসভা আসনও।

অর্থনীতি

হায়দরাবাদের মহানগর অঞ্চলটির অর্থনীতির সাম্প্রতিক প্রাক্কলন $ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে $৪ বিলিয়ন ডলার। এটি ভারতের সবচেয়ে উৎপাদনশীলতায় পঞ্চম বা ষষ্ঠ- মেট্রো অঞ্চল হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।[২১]

জনসংখ্যা


হায়দরাবাদের জনসংখ্যা 
আদমশুমারিজনসংখ্যা
১৯৫১১০,৮৫,৭২২
১৯৬১১১,১৮,৫৫৩৩.০%
১৯৭১১৭,৯৬,০০০৬০.৬%
১৯৮১২৫,৪৬,০০০৪১.৮%
১৯৯১৩০,৫৯,২৬২২০.২%
২০০১৩৬,৩৭,৪৮৩১৮.৯%
২০১১৬৮,০৯,৯৭০৮৭.২%
Sources:[২২][২৩][২৪]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

খাদ্য

হায়দরাবাদি রান্নায় রয়েছে চাল, গম ও মাংসের খাবারের বিস্তৃত ভাণ্ডার এবং বিভিন্ন মশালার দক্ষ ব্যবহার।[২৫] এই শহরের বিরিয়ানি বিশ্ববিখ্যাত হয়েছে [২৬] এবং জাতীয় ভৌগোলিক সূচক ট্যাগ বহন করে।[২৭] হায়দ্রাবাদী রান্না কিছুটা পারস্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়[২৮] শহরের শাসক নিজামদের হাত ধরে এই বিরিয়ানির চল শুরু হয়।

খেলাধুলা

ক্রিকেট এই শহরের জনপ্রিয় খেলা। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এ মূলত এর আসর বসে। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়াম অন্যতম ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। শহরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত গান্টি মোহনা চন্দ্র বাল্যযোগী স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে একটি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম (ফুটবল এর জন্যে ), একটি ইনডোর স্টেডিয়াম (ব্যাডমিন্টন সহ ঘরোয়া খেলার জন্যে) এবং স্বর্ণন্ধ্র প্রদেশ ক্রীড়া কমপ্লেক্স (হকি খেলার জন্যে) রয়েছে। জিএমসি বালায়োগী ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি ২০০৯ বিডব্লিউএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে।

পরিবহণ

মানচিত্রটি ইন্টারমিডিয়েট রিং রোড এর প্রতিনিধিত্ব করে, যা অভ্যন্তরীণ রিং রোড সাথে আউটার রিং রোডকে যুক্ত করে।

২০১৮ সালের হিসাবে, হায়দ্রাবাদ শহরে মাঝারি দূরত্বের পরিবহনের সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যমগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারী মালিকানাধীন পরিষেবা, যেমন হালকা রেলপথ এবং বাসের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালিত ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত। এগুলি পুরোপুরি দৈনিক ৩.৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। নগরীর কেন্দ্রের মহাত্মা গান্ধী বাস স্টেশন থেকে ৩,৩০০ টি বাসের বহর ৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়।[২৯][৩০]

বিমানবন্দর

হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর হলো শহরের একমাত্র পরিচালনাগত বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একটি যাত্রী টার্মিনাল, একটি কার্গো টার্মিনাল এবং দুটি রানওয়ে রয়েছে। আরজিআইএর একক যাত্রী টার্মিনালটি ১,০৫,৩০০ স্কয়ার ফুট (৯,৭৮০ বর্গ মিটার) জুড়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে।[৩১] বিমান চালানর প্রশিক্ষণ সুবিধা, একটি জ্বালানী ভান্ডার, একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র এবং দুটি এমআরও সুবিধা রয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাবে, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরজেআইএ) ভারতের যাত্রীবাহী বিমানবন্দরগুলির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের হিসাবে ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালে ১৭.১ মিলিয়ন যাত্রী বহন করে। এয়ার ইন্ডিয়া রিজিওনাল, ব্লু ডার্ক এভিয়েশন, স্পাইসজেট, লুফ্‌টহানজা কারগো, কুইকজেট কারগো এবং ট্রুজেট বিমান পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে এবং ইন্ডিগোএয়ার ইন্ডিয়া মনোনিবেশ শহর হিসেবে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করে।

২০০৮ সালের হিসাবে বিমানবন্দরটি[৩২] বার্ষিক ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১,০০,০০০ টন পণ্যসম্ভার পরিচালনা করতে সক্ষম।[৩৩] ২০১১ সালে, একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বিশ্বের বিমানবন্দরগুলিকে প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, আরজিআইএকে ৫-১৫ মিলিয়ন যাত্রী বিভাগের বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এবং পরিষেবা মানের জন্য বিশ্বের পঞ্চম-সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিচার করে।[৩৪]

মেট্রো

হায়দ্রাবাদ মেট্রো শহরের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে।[৩৫] এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত,[৩৬] যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করে।[৩৭] মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী[৩৮][৩৯] এই মেট্রো ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতের মধ্যে প্রথম কোন দ্রুত গনপরিবহনের জন্য মেট্রো পরিষেবা একই সঙ্গে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে যাত্রা শুরু করে।[৪০][৪১] এটি নির্মানের জন্য ₹১৮,৮০০ কোটি টাকা (মার্কিন $২.৭ বিলিয়ন) ব্যয় করা হয়। ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৮০,০০০ যাত্রী প্রতিদিন হায়দ্রাবাদ মেট্রো ব্যবহার করে।[৪২]

এইচএমআর প্রকল্পটি নিউ ইয়র্কে ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০১৩ চলাকালীন নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিডারশিপ ফোরামের শীর্ষ ১০০ কৌশলগত গ্লোবাল অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হিসাবে প্রদর্শিত হয়।[৪৩][৪৪]

এলঅ্যান্ডটি মেট্রো রেল হায়দরাবাদ লিমিটেডকে (এলটিএমআরএইচএল) 'স্ট্র্যাটেজিক এইচআর এবং ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এসএপি এসি পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৪৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী