হের্মান গ্রাসমান
হের্মান গ্যুন্টার গ্রাসমান (জার্মান: Hermann Günther Graßmann) (১৫ই এপ্রিল, ১৮০৯—২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৮৭৭) একজন জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি একজন বহুশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন। তিনি নব্যমানবতাবাদ ও প্রকাশনা শিল্পের সাথেও জড়িত ছিলেন।
হের্মান গ্যুন্টার গ্রাসমান Hermann Günther Grassmann | |
---|---|
![]() হের্মান গ্যুন্টার গ্রাসমান | |
জন্ম | ষ্টেটিন, পোমের্ন প্রদেশ, প্রুশিয়া রাজ্য (বর্তমান শ্চেচিন, পোল্যান্ড) | ১৫ এপ্রিল ১৮০৯
মৃত্যু | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮৭৭ ষ্টেটিন, জার্মান সাম্রাজ্য | (বয়স ৬৮)
মাতৃশিক্ষায়তন | বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | বহুরৈখিক বীজগণিত, গ্রাসমানিয়ান, বহিঃস্থ বীজগণিত |
পুরস্কার | সম্মানসূচক ডক্টরেট: ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৭৬) |
গণিতে অবদান
গণিতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা রৈখিক বীজগণিত এককভাবে আবিষ্কারের জন্য গ্রাসমানকে অনেক গণিতবিদ মরণোত্তর স্বীকৃতি দিয়েছেন।[১]
পদার্থবিজ্ঞানে অবদান
গ্রাসমান একাধিক বর্ণের আলো মিশে মানুষের চোখে কীভাবে মিশ্র বর্ণের আলো হিসেবে উপলব্ধ হবে, সে ব্যাপারে একটি বীজগণিতনির্ভর তত্ত্ব দেন। এই তত্ত্বটি বর্ণ বিজ্ঞানে গ্রাসমানের বিধিসমূহ হিসেবে সুপরিচিত।
ভাষাবিজ্ঞানে অবদান
গ্রাসমান কর্মজীবনের প্রথম পর্যায়ে গণিত নিয়ে অনেক মৌলক অবদান রাখলেও তৎকালীন গণিতবিদ সম্প্রদায় তার কাজের মর্ম বুঝতে দেরি করে। তার রচিত গণিতের মৌলিক বইগুলি তার জীবদ্দশায় তেমন আদৃত হয়নি। ফলে শেষজীবনে গ্রাসমান গণিতে ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান ও সংস্কৃত ভাষা সংক্রান্ত গবেষণার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি জার্মান ভাষার ব্যাকরণের ওপরে বই লেখেন, জার্মান লোকগীতি সংগ্রহ করা শুরু করেন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। তিনি ঋগ্বেদের জন্য প্রায় ২০০০ পৃষ্ঠা দীর্ঘ একটি সংস্কৃত-জার্মান অভিধান রচনা করেন এবং জার্মান ভাষায় সম্পূর্ণ ঋগ্বেদের অনুবাদ করেন, যার দৈর্ঘ্য ছিল ১০০০ পৃষ্ঠারও বেশি। শেষোক্ত দুই কাজের জন্য তিনি মার্কিন প্রাচ্যবিদ সমাজের (American Orientalists' Society আমেরিকান ওরিয়েন্টালিস্টস সোসাইটি) সদস্যপদ লাভ করেন।[২]
গ্রাসমান ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের একটি ধ্বনিবিধি আবিষ্কার করেন, যার নাম দেওয়া হয় গ্রাসমানের বিধি। ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৭৬ সালে তাকে ভাষাতত্ত্বে সম্মানসূচক ডক্টরেট সনদ প্রদান করা হয়।[২]