হিল্টন চেন্নাই
হিল্টন চেন্নাই হলো একটি পাঁচ তারকা বিশিষ্ট বিলাস-বহুল হোটেল যা ইক্কাদুথাঙ্গাল, চেন্নাই, ইনার রিং রোড সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। এটি চেন্নাই মহানগরীয় অঞ্চলের গিণ্ডিতে অলিম্পিয়া টেকনোলজি পার্কের পাশে নির্মিত এবং হোটেলটি কাথাইপারা জংশনের নিকটে অবস্থিত। ইন্দো-সেরেসেনিক নকশায় নির্মিত হোটেলটিতে প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪০০০ মিলিয়ন টাকা। হিল্টন (জনকপুরি), হিল্টন গার্ডেন-ইন (সাকেত) যা উভয়ই নতুনদিল্লীতে অবস্থিত এবং হিল্টন মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এর পর ভারতবর্ষে হিল্টন গোষ্ঠী কর্তৃক চালুকৃত চতুর্থ হোটেল হলো এই হোটেলটি। এটিকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০১১ নাগাদ হোটেলের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নরেন্দ্র উদ্বোধন করেন।[১]
হিল্টন চেন্নাই | |
---|---|
![]() | |
![]() | |
হোটেল চেইন | হিলটন হোটেল এবং রিসর্ট |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থান | চেন্নাই |
ঠিকানা | ১২৪/১, ইনার রিং রোড, গিণ্ডি, চেন্নাই, তামিল নাড়ু ৬০০ ০৩২ |
স্থানাঙ্ক | ১৩°০১′০০″ উত্তর ৮০°১২′১৮″ পূর্ব / ১৩.০১৬৭৩১° উত্তর ৮০.২০৪৯৯৬° পূর্ব |
কার্যারম্ভ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ |
স্বত্বাধিকারী | এম্পি হোটেলস্ লিমিটেড |
ব্যবস্থাপনা | হিল্টন ওয়ার্ল্ডওয়াইড |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ৯টি |
নকশা এবং নির্মাণ | |
স্থপতি | উইম্বার্লি অ্যাল্লিসনটং ও গূ (ডব্লুএটিজি) |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষ সংখ্যা | ২০৪টি |
ওয়েবসাইট | |
হিল্টন চেন্নাইয়ের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হোটেল
নয় তলা বিশিষ্ট হোটেলটি ৪২-গ্রাউন্ড ভূমিতে অবস্থিত এবং এটিতে আছে ২০৪টি রুম, যার ভেতর আছে ২টি এক্সিকিউটিভ স্যুট, ১৬টি জুনিয়র স্যুট, ৭টি হিল্টন ডিলাক্স রুম, ৫৮টি হিল্টন এক্সিকিউটিভ রুম এবং ১২১টি হিল্টন কিং গেস্ট রুম।[২] হোটেলটির অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য হংকং এর ডিলিওনার্দো দ্বারা নকশাকৃত এবং তাকে সহায়তায় ছিল ডালাস ভিত্তিক উইলসন এবং এসোশিয়েটস। হোটেলটিতে ৫ টি স্থানে খাবার এবং পানীয় প্রদান করা হয়, যার মধ্যে আছে সাম আয়না (একটি সম সাময়িক ভারতীয় রেস্তোরা), ভিন্টেজ ব্যাংক (একটি রাজকীয় স্টাইলের ওয়াইন এবং চিজ পানশালা), কিউ বার ( একটি ছাদ খোলা রেস্তোরা), ভাস্কো (একটি সারাদিনব্যাপী খোলা রেস্তোরা যেখানে রান্নাঘরটি তিন তলায় অবস্থিত) এবং ইস্ট (একটি ক্যাফে ভূমি সংলগ্ন তলায় অবস্থিত)। [৩]
প্রথম তলায় ৪৪৫ বর্গ মিটারের বলরুম আছে, এছাড়া সেখানে আছে দুইটি সভা রুম এবং একটি শয়নকক্ষ যেখানে সাম্প্রতিক কালের প্রযুক্তি সম্পন্ন অডিও ভিজুয়াল প্রযুক্তি রয়েছে। বলরুম, যার নাম হিল্টন গ্রান্ড বলরুম, যার ছাদের উচ্চতা ভূমি থেকে ৪.৮ মিটার উচু এবং যার ভেতর ৭৫০ জন মানুষ ধারণ করা সক্ষম।
ছাদটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যর মধ্যে আছে ১৫-ফিট বাই ৮০-ফিট এর একটি সুইমিং পুল যা এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যেন মেহমানরা ঠাওর করতে পারেন মূল শহরটিকে যখন কিনা তারা সাতার কাটেন।
স্থাপত্য
হোটেলের বাইরের নকশা মূলত আর্ক এবং কোর্নিকেস সমৃদ্ধ যা ভারতীয় তথাকথিত পুরাতনকালের স্থাপত্যের সংমিশ্রন। হোটেলটিতে এসআরএসএস নকশাবিদদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বাইরের দেয়ালের নকশা করার জন্য। নতুনভাবে নকশা পরিবর্তন করা হয়েছিল পোলিশড গ্রানাইট এর স্তর সংযুক্ত করার জন্য। হোটেলের অভ্যন্তরভাগের নকশা করার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন ডিলিওনার্দো হোসপিটালিটি ডিজাইন।[৪]