হিরার যুদ্ধ
হিরার যুদ্ধ ৬৩৩ সালে রাশিদুন খিলাফত ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত হয়। মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের সময় এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
হিরার যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: মুসলিমদের পারস্য বিজয় ও খালিদ বিন ওয়ালিদের অভিযান | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
রাশিদুন খিলাফত | সাসানীয় সাম্রাজ্য | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
খালিদ বিন ওয়ালিদ | আয়াস,[২] আবদুল মাসিহ | ||||||
শক্তি | |||||||
~১০,০০০-১৫,০০০[৩][৪] | অজ্ঞাত | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
স্বল্প | স্বল্প |
পটভূমি
সাসানীয় সাম্রাজ্যের আল হিরা শহর তার আকার ও সম্পদের জন্য পরিচিত ছিল। এটি ছিল পারস্যের ইরাক প্রদেশের রাজধানী। এর লাখমিয় খ্রিষ্টান আরবরা সাসানীয়দের পক্ষে মরুভূমিতে টহল দিত।[১] রোমান ঐতিহাসিক প্রোকুপিয়াসের বর্ণনা অনুযায়ী লাখমিয়রা যুদ্ধে দক্ষ ও পারস্যের অনুগত ছিল (৬০৮ সাল পর্যন্ত, এসময় সাসানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে চলে যায়)।[৫] আবু বকর তার খিলাফতের সময় খালিদকে হিরা জয়ের জন্য প্রেরণ করেন।[৬]
৬৩৩ সালের মে মাসে মুসলিমরা খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে দুর্গ নগরীতে আক্রমণ করে। শহরের লাখমিয় প্রতিপক্ষরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে এসময় ছুড়ে মারতে সক্ষম যন্ত্র ব্যবহার করে। সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর শহরের অধিবাসীরা আত্মসমর্পণ করে।[৭] যুদ্ধের পর শহরের পাঁচটি দুর্গ মুসলিমদের হাতে আসে। অধিবাসীরা জিজিয়া দিতে সম্মত হয়। তারা উলাইসের অধিবাসীদের মত সাসানীয়দের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতেও একমত হয়।[৮]