হাসকোভো

হাসকোভো ( বুলগেরীয়: Хасково [ˈxaskovo] ) হল দক্ষিণ বুলগেরিয়ার উত্তর থ্রেস অঞ্চলের একটি শহর এবং হাসকোভো প্রদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র। গ্রীস এবং তুরস্কের সীমান্ত থেকে এর অবস্থান দূরে নয়। বুলগেরিয়ার অপারেটিভ প্রোগ্রাম রেজিওনাল ডেভলপমেন্টের তথ্য অনুসারে, হাসকোভোর শহুরে এলাকাটি বুলগেরিয়ার সপ্তম বৃহত্তম শহর এবং পুরো হাসকোভোর জনসংখ্যা ১৮৪,৭৩১ জন। ৩১/১২/২০১৩ এর হিসাব মতে হাসকোভো শহরের বাসিন্দাদের সংখ্যা আনুমানিক ৭৪,৮২৬ জন। [২]

হাসকোভো
Хасково
শহর
হাসকোভো
হাসকোভো
হাসকোভোর প্রতীক
প্রতীক
ব্যুত্পত্তি: Hasköy (হাসকয়)
স্থানাঙ্ক: ৪১°৫৬′ উত্তর ২৫°৩৪′ পূর্ব / ৪১.৯৩৩° উত্তর ২৫.৫৬৭° পূর্ব / 41.933; 25.567
দেশবুলগেরিয়া
প্রদেশ
(এলাকা)
হাসকোভো
সরকার
 • মেয়রস্তানিস্লাভ দেচেভ
আয়তন
 • শহর২৫.৫৫৫ বর্গকিমি (৯.৮৬৭ বর্গমাইল)
উচ্চতা২০৩ মিটার (৬৬৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১২)[১]
 • শহর৭৫,৬৪১
 • জনঘনত্ব৩,০০০/বর্গকিমি (৭,৭০০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৯৩,৩০৫
সময় অঞ্চলEET (ইউটিসি+2)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)EEST (ইউটিসি+3)
পোস্টাল কোড6300
এলাকা কোড038
ওয়েবসাইটOfficial website

হাসকোভোতে পাওয়া প্রথম বসতিটি প্রায় ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। হাসকোভো ১৯৮৫ সালে একটি শহর হিসাবে সহস্রতম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। একে স্মরণীয় রাখতে শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি নতুন ক্লক টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছিল।

অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের গ্রিনউইচ দ্বীপের হাসকোভো কোভের নামানুসারে হাসকোভো শহরের নাম রাখা হয়েছে।

জলবায়ু

এজিয়ান সাগরের আপেক্ষিক নৈকট্যের কারণে গ্রীষ্মের সময় ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর সাথে এর জলবায়ু অনেকটাই মিল থাকে। শীতকালে, বিশেষ করে উত্তরীয় বায়ুর সাথে সাথে এর তাপমাত্রা মহাদেশীয় জলবায়ুর স্তরে নেমে আসে। গড় বার্ষিক তাপমাত্রা প্রায় ১৪ °সে (৫৭ °ফা) । শীতকাল মূলত ঠাণ্ডা কিন্তু দেশটির পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের মতো তুষারময় নয়। হাসকোভোতে গ্রীষ্মকাল মে মাসের মাঝামাঝি শুরু হয় এবং অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

Haskovo, Bulgaria-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাসজানুফেব্রুমার্চএপ্রিলমেজুনজুলাইআগস্টসেপ্টেঅক্টোনভেডিসেবছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা)১৮.৭
(৬৫.৭)
২২.৪
(৭২.৩)
২৭.৪
(৮১.৩)
৩২.৮
(৯১.০)
৩৬.০
(৯৬.৮)
৩৮.৪
(১০১.১)
৪০.৬
(১০৫.১)
৪১.৮
(১০৭.২)
৩৮.১
(১০০.৬)
৩৫.০
(৯৫.০)
২৮.৯
(৮৪.০)
২০.০
(৬৮.০)
৪১.৮
(১০৭.২)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা)৪.৬
(৪০.৩)
৭.৫
(৪৫.৫)
১১.৯
(৫৩.৪)
১৮.৭
(৬৫.৭)
২৩.৮
(৭৪.৮)
২৭.৬
(৮১.৭)
৩০.৫
(৮৬.৯)
৩০.৮
(৮৭.৪)
২৬.৭
(৮০.১)
২০.১
(৬৮.২)
১৩.০
(৫৫.৪)
৭.০
(৪৪.৬)
১৮.৫
(৬৫.৩)
দৈনিক গড় °সে (°ফা)০.২
(৩২.৪)
২.৬
(৩৬.৭)
৬.২
(৪৩.২)
১২.৩
(৫৪.১)
১৭.২
(৬৩.০)
২১.০
(৬৯.৮)
২৩.৬
(৭৪.৫)
২৩.৪
(৭৪.১)
১৯.১
(৬৬.৪)
১৩.৪
(৫৬.১)
৮.১
(৪৬.৬)
৩.০
(৩৭.৪)
১২.৫
(৫৪.৫)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা)−৩.৭
(২৫.৩)
−১.৬
(২৯.১)
১.২
(৩৪.২)
৬.০
(৪২.৮)
১০.৭
(৫১.৩)
১৪.২
(৫৭.৬)
১৬.২
(৬১.২)
১৫.৮
(৬০.৪)
১২.২
(৫৪.০)
৭.৮
(৪৬.০)
৪.০
(৩৯.২)
−০.৭
(৩০.৭)
৬.৮
(৪৪.২)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা)−২৫.৫
(−১৩.৯)
−২৪.৫
(−১২.১)
−১৬.৮
(১.৮)
−৬.০
(২১.২)
-০.০
(৩২.০)
৫.৭
(৪২.৩)
৯.৭
(৪৯.৫)
৬.৪
(৪৩.৫)
১.১
(৩৪.০)
−৫.৯
(২১.৪)
−১৪.৫
(৫.৯)
−১৯.৪
(−২.৯)
−২৫.৫
(−১৩.৯)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি)৬৩
(২.৫)
৪৭
(১.৯)
৫০
(২.০)
৫৭
(২.২)
৬৭
(২.৬)
৬৯
(২.৭)
৪০
(১.৬)
৩৭
(১.৫)
৩৪
(১.৩)
৬১
(২.৪)
৬৭
(২.৬)
৭৫
(৩.০)
৬৬৭
(২৬.৩)
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড়১০২১২৪১৭৩২১৬২৭০৩০২৩৩৬৩২৫২৪১১৭২১২৭৯২২,৪৮০
উৎস: [Stringmeteo.com]

ব্যুৎপত্তি

অনেকে অনুমান করুন যে, শহরটির বর্তমান নামটি এসেছে আরবি শব্দ "has" (هس; দখল) থেকে। অন্যরা দাবি করেন যে এটি তুর্কি শব্দ "has" থেকে এসেছে, যার মূল অর্থ "পরিষ্কার"। বসতিটির প্রাচীন থ্রাসিয়ান নাম ছিল মার্সা, যা ১৭৮২ সালের শেষ অবধি পরিচিত ছিল। ১৮৩০ সাল নাগাদ, এটি তার তুর্কি নাম Hasköy (হাসকয় ) নামে পরিচিত ছিল। উসমানীয় শাসনের বিলুপ্তির পর তুর্কি "köy" এর পরিবর্তে বুলগেরিয়ান (এবং সাধারণ স্লাভিক ) স্থান নামের "-ovo " প্রত্যয় যোগ করে এর নাম haskovo রাখা হয়।

ইতিহাস

প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, হাসকোভো অঞ্চলটি মূলত প্রায় সাত হাজার বছর আগের বসতি স্থাপনের দ্বারে আবাদ হয়। হাসকোভোর আশেপাশে, বিভিন্ন প্রমাণ সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা এই শহরটির প্রাগৈতিহাসিক, থ্রেসিয়ানস, গ্রীক, রোমান এবং বাইজেন্টাইন যুগের দীর্ঘ ইতিহাস জুড়ে সম্পর্ক নির্ণয় করে। ৯ম শতাব্দীতে - প্রথম বুলগেরিয়ান সাম্রাজ্যের সময় - হাসকোভোতে একটি দুর্গ নির্মিত হয়েছিল যা দ্রুত একটি শহরে রূপান্তরিত হয়। শহরটি ক্লোকোটনিতসা, হারমানলিস্কা এবং মারিতসা নদীর মধ্যবর্তী একটি বিশাল অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগীয় সময়ে এটি উজুন্দজোভো মেলার জন্য পরিচিত ছিল, যা গোটা বুলগেরিয়ায় বিখ্যাত।

১৮৭৮ সালে উসমানীয় শাসন থেকে মুক্তির পর, হাসকোভো অঞ্চল উচ্চমানের তামাক উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে। যাই হোক, বর্তমানে এই অঞ্চলে কোন সিগারেট উৎপাদন হয় না, কারণ এক সময়ের বড় তামাক কোম্পানি "হাসকোভো-বিটি" ২০০৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়।[৩] বর্তমানে, বৃহত্তম কোম্পানীগুলি খাদ্য, যন্ত্রপাতি এবং টেক্সটাইল উত্পাদনে বেশ মনোযোগী।

জনসংখ্যা

১৮৮৭ সালে হাসকোভোর জনসংখ্যা ছিল ১৪,১৯১। তারপর থেকে দশকের পর দশক ধরে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকা এবং আশেপাশের ছোট শহর থেকে অভিবাসীদের আগমনের কারণে। ১৯৮৭-১৯৯১ সময়কালে এর জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তখন জনসংখ্যা ৯০,০০০ ছাড়িয়ে যায়।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, হাসকোভোর শহরের সীমানার মধ্যে জনসংখ্যা ছিল ৭১,২১৪ জন। আর আইনত অনুমোদিত সংলগ্ন গ্রামগুলিসহ হাসকোভো পৌরসভায় জনসংখ্যা ছিল 87,780 জন।[৪]টেমপ্লেট:Table BG town population

জাতিগত এবং ধর্মীয় রচনা

সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, এর জনগণদের জাতিগত পরিচয় ঘোষণা করেছে এইভাবে:[৫][৬]

  • বুলগেরিয়ান : ৫৪,৮৬৯ (79.3%)
  • তুর্কি : ১২,৫০৭ (18.1%)
  • রোমা : ৬৯১ (1.0%)
  • অন্যান্য: ৪০০ (0.8%)
  • অনির্ধারিত: ৭০০ (0.7%)
  • অঘোষিত: ৭,২২১ (9.5%)

মোট: ৭৬,৩৯৭

হাসকোভো পৌরসভায় ৬৩৯৬৩ জন বুলগেরিয়ান হিসাবে, ১৬,৮৯০ জন তুর্কি হিসাবে, ৩৮৫৯ জন রোমা হিসাবে নিজেদের জাতিগত পরিচয় বর্ণনা করেন। আর ৮,৯৮৪ জন তাদের জাতিগত গোষ্ঠীর ব্যাপারে কিছুই বলেনি। হাসকোভো প্রদেশের ২৮,৪৪৪ তুর্কিদের (১২.৫%) বেশিরভাগই শহর এবং পৌরসভার মধ্যে বাস করেন, যেখানে বুলগেরিয়ানদের অনুপাত শহরের তুলনায় প্রদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বেশি, সংখ্যাটি ১৮০,৫৪০ (৭৯.৪%)।

২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ৮০% নাগরিক অর্থোডক্স খ্রিস্টান, বিপরীতে প্রায় ২০% নাগরিক মুসলমান

সংস্কৃতি

ইভান ডিমভ ড্রামা থিয়েটার (আনুমানিক 1921)
ঈশ্বরের পবিত্র মায়ের স্মৃতিস্তম্ভ, ভার্জিন মেরির বিশ্বের সর্বোচ্চ স্মৃতিস্তম্ভ

হাসকোভোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক স্থানগুলি হল ২০০৪ সালে সংস্কার করাইভান দিমোভ ড্রামা থিয়েটার, ইতিহাস জাদুঘর এবং আর্ট গ্যালারি। বার্ষিক রঙিন থ্রেস গানোতসব এবং নৃত্য লোকোত্সব নিকটবর্তী পার্ক কেননাতে অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৩ সালে হাসকোভোর কাছে ইয়ুথ পাহাড়ে ঈশ্বরের মা এবং শিশু যিশুর একটি ৩২-মিটার-উচ্চ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র মেরির জন্মদিন পালনের সময় জন্মদিন উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করা হয়। এটি বিশ্বে মাদার অব গডের সর্বোচ্চ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে প্রবেশ করানো হয়।

হাসকোভোতে সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের নতুন ভাস্কর্য এবং ফোয়ারা তৈরির মাধ্যমে শহরের কেন্দ্রের সংস্কারে অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

মিউনিসিপ্যাল ল্যান্ডমার্কের মধ্যে রয়েছে থ্রাসিয়ান আলেকসান্দ্রোভো সমাধি এবং সেইসাথে উজুন্দজোভোর চার্চ অফ দ্য অ্যাসাম্পশন, যা মূলত উসমানীয় আমলে একটি মসজিদ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। ১৩৯৫ সালে এস্কি জামি' (পুরাতন মসজিদ) বলকান অঞ্চলে প্রথম মসজিদ হিসাবে নির্মিত করা হয়। এর মিনারটি অবশ্য সামান্য হেলে আছে।

উল্লেখযোগ্য আদমী

  • তেন নিকোলভ (1873-1947), বিপ্লবী
  • অ্যাসেন জ্লাতারভ (1885-1936), বিজ্ঞানী
  • আনয়ু আঙ্গেলভ (1942), ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
  • স্তানিমির স্তইলভ (জন্ম 1967), ফুটবলার এবং ফুটবল ম্যানেজার
  • গ্রিগর দিমিত্রভ (জন্ম 1991), টেনিস খেলোয়াড়; 2008 উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেন জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন
  • জর্জি অ্যান্ড্রিভ (জন্ম 1969), ন্যাশনাল ফোক এনসেম্বল "ফিলিপ কুটেভ" এর পরিচালক
  • সিগুলি (1957-2014), তুর্কি-রোমানি গায়ক এবং সঙ্গীতশিল্পী
  • ইউরি ইউনাকভ (জন্ম 1958), রোমা সঙ্গীতশিল্পী, বুলগেরিয়ান বিবাহের সঙ্গীতের বিকাশে অংশ নেওয়া এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবর্তনের জন্য পরিচিত
  • আসপারুহ লেশনিকভ – আরি (জন্ম 1897-1978), সঙ্গীতজ্ঞ

দর্শনীয় স্থান

স্মৃতিস্তম্ভ

  • ক্যাপ্টেন পেতকো ভয়িভোদার স্মৃতিস্তম্ভ
  • অজানা যোদ্ধার স্মৃতিস্তম্ভ
  • হাসকোভো রিভাইভালিস্টদের স্মৃতিস্তম্ভ
  • ১০ম তম রোদোপ পদাতিক রেজিমেন্টের স্মৃতিস্তম্ভ
  • ঈর্ষার স্মৃতিস্তম্ভ
  • হাসকোভো রিভাইভালিস্টদের স্মৃতিস্তম্ভ
  • বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ
  • দিমিতার ইভানভ-লিতসোর স্মৃতিস্তম্ভ

পবিত্র স্থাপত্য

  • "হলি মাদার অব গড" স্মৃতিসৌধটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ভুক্তি করা হয়েছে শিশুলাভে ধন্য কুমারী মাতা মেরির সবচেয়ে উঁচু মূর্তি হিসেবে। এটি মাতা মেরির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতার জন্য নির্মাণ করা হয়। ২০০৩ সালে মেট্রোপলিটন আর্সেনি কর্তৃক জলের পবিত্রতার সাথে উদ্ভোধন করে হয়। ২০০৫ সালে এটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ভুক্ত হয় এবং ২০০৯ সাল থেকে এটি বুলগেরিয়ার শততম জাতীয় পর্যটন স্থানের তালিকায় ভুক্ত করা হয়।
  • দ্যা বেল টাওয়ার - চিত্তাকর্ষক মাত্রা ও অবিস্মরণীয় দৃশ্যসহ হাসকোভো শহরের চূড়ায় উঠা একটি স্থাপত্য। প্রায় ২৯-মিটার উঁচু বেল টাওয়ারটি ২০১০ সালে হলি মাদার অফ গডের স্মৃতিসৌধের পাশে স্থাপন করা হয়, ফলে স্থাপত্যের সমাহারে এটি দ্রুত স্থান করে নেয়।
  • পুরাতন মসজিদ (এস্কি মসজিদ) বুলগেরিয়ান ভূখণ্ডের প্রাচীনতম মসজিদ। এটি ৭৯৭ সালে বুলগেরিয়ায় উসমানীয় তুর্কিদের আক্রমণের পরপরই নির্মিত হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে এস্কি মসজিদকে একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে, মসজিদটির পাশে উল্লেখযোগ্যভাবে মাটি খনন করা হয়েছে (সম্ভবত আশেপাশের রাস্তার ক্রমবর্ধমান স্তরের কারণে)।
  • হাসকোভোর নিকটবর্তী উজুন্দজোভো গ্রামের চার্চ অফ দ্যা এসাম্পশনটি কেবল তার স্থাপত্যেই নয়, ইতিহাসেও অনন্য। এটি খ্রিস্টান মন্দির হিসাবে তৈরি হয়, তবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনুমতি ছাড়া তৈরি হওয়ায় ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং এর জায়গায় একটি মসজিদ নির্মিত করা হয়। ২০'শ শতকের শুরুতে, তুরস্ক বুলগেরিয়াকে সমস্ত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয় এবং বুলগেরিয়া মসজিদটিকে একটি গির্জায় রূপান্তর করে। ২০০৭ সালে গির্জাটি মূলত হাসকোভো পৌরসভায় পুনরুদ্ধার করা হয়। পুনঃস্থাপনের সময়, ধর্মীয় এবং দার্শনিক থিমসহ আরবি ভাষায় দুটি মধ্যযুগীয় শিলালিপি পাওয়া গেছে, যার সময় এখনো সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। গত শতাব্দীতে, উজুন্দজোভো গ্রামের এই চার্চটিকে একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

যমজ শহর - বোন শহর

সিস্টার সিটি:[৭]

অর্থনীতি

হাসকোভো পৌরসভার অর্থনীতির শাখা কাঠামো বৈচিত্র্যময়। এতে বুলগেরিয়ান এবং বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক কোম্পানি রয়েছে। এই কোম্পানিগুলি দেশীয়-বিদেশী উভয় বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকে।

পৌরসভার ভবিষ্যত উন্নয়ন কৃষিক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এবং জলবায়ু পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারে মনোযোগ দেওয়া। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিশীল বাজার-ভিত্তিক কৃষি উৎপাদন, কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র তৈরি এবং অন্যান্য উন্নয়নের প্রচেষ্টাতেও বেশ মনোযোগী তারা। এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক সমৃদ্ধি, সংস্কৃতি, সু-উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা এবং পর্যটন অবকাঠামোর সমন্বয়, এর পর্যটনবিকাশের একটি অনুকূল কারণ। ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, গ্রীস, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সার্বিয়া, বেলারুশের শহরগুলির সাথে পৌরসভার অংশীদারী সম্পর্কও এই ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান অবদান দান করেছে।

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী