হাজার চুরাশির মা
হাজার চুরাশির মা হল র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী রচিত একটি বাংলা উপন্যাস। এই উপন্যাসটি ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়।[২] ১৯৭০-এর দশকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই উপন্যাসটি রচিত হয়।[৩][৪][৫]এ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র হাজার চুরাশি কি মা তৈরি করা হয়েছে ।
![]() হাজার চুরাশির মা উপন্যাসের প্রচ্ছদ | |
লেখক | মহাশ্বেতা দেবী |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | খালেদ চৌধুরী |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশক | করুণা প্রকাশনী, কলকাতা)[১] |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৭৪ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (হার্ডকভার) |
আইএসবিএন | ৯৭৮-৮১-৮৪৩৭-০৫৫-৩ |
বিবরণ
হাজার চুরাশির মা হল এমন এক মায়ের (সুজাতা) গল্প যাঁর ছেলেকে (ব্রতী) তার আদর্শের জন্য রাষ্ট্র পাশবিকভাবে হত্যা করে। লাশকাটা ঘরে ব্রতীর লাশের নম্বর ছিল ১০৮৪।[৬] তা থেকেই উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে। ব্রতী শ্রেণিশত্রু, রাষ্ট্রের সহকারী ও পার্টির অভ্যন্তরে প্রতি-বিপ্লবীদের ক্রমাগত নির্মমভাবে হত্যা করার পক্ষপাতী ছিল। গল্পটি শুরু হয়েছে ব্রতীর মৃত্যুবার্ষিকীর দিন। সুজাতা ব্রতীর জন্ম থেকে তার ছেলের স্মৃতিচারণা করছেন। তার সঙ্গে ব্রতীর এক ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর দেখা হয় এবং তিনি ব্রতীর বিপ্লবী মানসিকতার বিচার করতে চেষ্টা করেন। সমগ্র উপন্যাসে তাকে একজন কঠোর মানসিকতার নারী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গিয়েছেন। তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তিনি যেন তার ছেলেকে ভুলে যান। কারণ, তার ছেলের মতো লোকেরা “ক্যানসারাস গ্রোথ অন দ্য বডি অফ ডেমোক্রেসি”।[৭] বহু বছর পরে সুজাতা এই ভেবে শান্তি পান যে, রাজনৈতিক অশান্তিতে তার ছেলের মৃত্যু প্রায় কোনও ঘরকেই ছাড়েনি।[৪] হাজার চুরাশির মা উপন্যাসে মানবিক কাহিনির সেই সব অন্য মুখগুলিকে চিত্রিত করা হয়েছে, যেগুলির উৎস বাংলার যুবসমাজের অশান্ত রাজনৈতিক অ্যাডভেঞ্চার। যতদিন না কমিউনিস্ট পার্টি সরকার গঠন করে, ততদিন এই যুবসমাজকে নির্মমভাবে দমন করেছিল সরকার। তারপর কমিউনিস্ট সরকার তার বিরোধী শক্তিকে নির্মমভাবে দমন করে।[৮]
চরিত্র
- সুজাতা: প্রধান চরিত্র ও এক ‘আধুনিক’ কঠোর মানসিকতার মা।
- ব্রতী: সুজাতার বিপ্লবী ছেলে।[৯]
- দিব্যনাথ: সুজাতার স্বামী। ব্রতী যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করত, তাদের মতোই একজন ব্যক্তি।
চলচ্চিত্রায়ন
১৯৯৮ সালে গোবিন্দ নিহালনি এই উপন্যাসটি অবলম্বনে হিন্দিতে হাজার চৌরাসি কি মা নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[২][৫][৬] চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিল।
পুরস্কার
১৯৯৬ সালে মহাশ্বেতা দেবী এই উপন্যাসটির জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৬][১০] দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা তার হাতে এই পুরস্কারটি তুলে দেন।[১১]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
- মহাশ্বেতা দেবীর জীবনী সংগৃহীত ১৭ জুলাই ২০১২ (ইংরেজি)
- Emory University English department emory.edu. সংগৃহীত ২৯ জুলাই ২০১২ (ইংরেজি)
- One Of A Rare Tribe outlookindia.com. সংগৃহীত ২৯ জুলাই ২০১২ (ইংরেজি)
- Roy, Pinaki। "Mother of 1084: A Chronicle of Deadly Times"। Mahasweta Devi's 'Mother of 1084': Critical Readings and Rereadings. Eds. Sarkar, J., and S. Debnath. কলকাতা: বুকস ওয়ে, ২০১৩ (আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮১৬৭২-৫৪-৯)। পৃষ্ঠা. ৪৫–৫৬।। (ইংরেজি)
- Roy, Pinaki. “Mahasweta Devi’s Mother of 1084: Rereading the Narrative of Protest”। Labyrinth (I.S.S.N. 0976-0814), ৪ (৪), অক্টোবর ২০১৩: ১২-২২ (পিডিএফ) (ইংরেজি)