হাওড়া–খড়্গপুর লাইন
হাওড়া–খড়গপুর লাইন হল হাওড়া–নাগপুর–মুম্বই রেলপথ, হাওড়া–চেন্নাই প্রধান রেলপথ ও কলকাতা শহরতলি রেলপথের অংশ।
হাওড়া–খড়গপুর লাইন | |
---|---|
![]() পরবর্তী গন্তব্য দিকে ইএমইউ ট্রেন হাওড়া -খড়গপুর লাইনে | |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | সক্রিয় |
মালিক | ভারতীয় রেল |
অঞ্চল | পশ্চিমবঙ্গ |
বিরতিস্থল | |
পরিষেবা | |
ব্যবস্থা | মেইন লাইন এবং কিছু ব্রাঞ্চ লাইনে বিদ্যুতিকরণ। কিছু ব্রাঞ্চ লাইনে ডিজেল। |
সেবা | হাওড়া–নাগপুর–মুম্বই লাইন, হাওড়া–চেন্নাই মেন লাইন, কলকাতা শহরতলি রেল |
পরিচালক | দক্ষিণ পূর্ব রেল |
ডিপো | টিকিয়াপাড়া, সাঁতরাগাছি, পাঁশকুড়া, খড়গপুর |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯০০ |
কারিগরি তথ্য | |
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য | প্রধান লাইন: ১১৫ কিমি (৭১ মা) শাখা লাইন গুলি: মেচেদা-হলদিয়া: ৮১ কিমি (৫০ মা) তমলুক-দীঘা: ৯৪ কিমি (৫৮ মা) |
ট্র্যাকসংখ্যা | 3 (Howrah-Panskura), 2 (Panskura-Kharagpur), 2 (Panskura-Rajgoda) |
ট্র্যাক গেজ | ব্রড গেজ ১৬৭৬ মি.মি |
বিদ্যুতায়ন | Main line: 25 kV AC overhead system in 1967-69 |
চালন গতি | প্রধান লাইন: সর্বোচ্চ ১৬০ কিমি/ঘণ্টা |
হাওড়া-খড়গপুর লাইন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস:[১][২][৩] |
ভূগোল
রেলপথটি পশ্চিমবঙ্গের সমভূমিতে অবস্থিত। হাওড়া থেকে প্রথমে এটি গঙ্গার সমভূমি এবং তারপরে দামোদর, রূপনারায়ণ এবং কংসাবতীর অববাহিকা অতিক্রম করে। রেলপথটি এটি হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে অবস্থিত।[৪][৫]
৬ টি ২২০ মেগাওয়াট ইউনিটের প্রত্যেকটির জন্য একটি করে ছয়টি লম্বা চিমনি'সহ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এই রেলপথের একটি নিদর্শন।[৬]
হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সটি ২০১৮-১৯ সালে ৪৫.২ মিলিয়ন টন পণ্য পরিচালনা করে।[৭] ১৯৭৫ সালে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের আটটি সক্রিয় তেল শোধনাগারের মধ্যে একটি হলদিয়া তেল শোধনাগার হিসাবে চালু হয়।[৮] [ হালদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস, একটি আধুনিক নাফথা ভিত্তিক পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স এবং ভারতে এই ধরেনর প্রকল্পের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প, যা বিপুল সংখ্যক ডাউন স্ট্রিম শিল্পের বিকাশের জন্য অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছে।[৯] এই সকল শিল্প কারখানা ও বন্দরের পণ্য হাওড়া–খড়গপুর রেলপথের মাধ্যে পরিবাহিত হয়।
ইতিহাস
বেঙ্গল নাগপুর রেল১৮১৯ সালে নাগপুর থেকে আসানসোল পর্যন্ত মূল যাত্রা শুরু করে। নাগপুর-আসানসোল রেলপথের সিনি স্টেশনের মাধ্যমে খড়গপুর এবং কোলাঘাট সাথে ১৮৯৮-৯৯ সালে সংযুক্ত হয়। খড়গপুর-কটক বিভাগটি একই বছর খোলা হয়। কোলাঘাট-হাওড়া ট্র্যাকের নির্মাণ ১৮৯৯-১৯৯০ সালে শেষ হয়। ১৯ এপ্রিল ১৯০০ সালে রূপনারায়ণ ব্রিজটি খোলার সাথে খড়গপুরের সাথে হাওড়ার যুক্ত হয়।[১০]
পাঁশকুঁড়া-দুর্গাচাক লাইনটি ১৯৬৮ সালে খোলা হয়, এমন এক সময়ে যখন হলদিয়া বন্দর নির্মিত হয়। পরবর্তীকালে এটি হলদিয়ায় প্রসারিত করা হয়। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্তর্গত একটি অংশ হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স ১৯৭৭ সালে চালু হয়।[১০][১১]
তমলুক-দিঘা রেলপথটি ২০০৪ সালে খোলা হয়।[১২]
বৈদ্যুতীকরণ
হাওড়া-খড়গপুর রেলপথ ১৯৬৭-৬৯ সালে বিদ্যুতায়িত হয়। পাঁশকুড়া-হলদিয়া রেলপথ ১৯৭৪-৭৬ সালে বিদ্যুতায়িত হয়। সাঁতরাগাছি-বাঁকড়ানাযাবাজ বিভাগটি ১৯৮৮-৮৮ সালে বিদ্যুতায়িত হয়। ২৫ কেভি এসি ওভারহেড ব্যবস্থার সাহায্যে সমস্ত রেলপথ বিদ্যুতায়িত হয়।[১৩] পাঁশকুড়া এবং হলদিয়ার মধ্যে ইএমইউ ট্রেন পরিষেবা ১৯৭৬ সালে এবং হাওড়া ও হলদিয়ার মধ্যে ১৯৭৯ সালে সরাসরি ইএমইউ পরিষেবা চালু হয়।[১০]
নতুন রেলপথ
ভারতীয় রেলওয়ে শিয়ালদা ও হলদিয়ার মধ্যে একটি নতুন লাইন স্থাপনের প্রস্তাব করেছে, যেখানে হাওড়া-হলদিয়া ট্র্যাকের চেয়ে দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার কম হবে।[১৪]
খড়গপুর-পুরী রেলপথের জলেশ্বর স্টেশনের সাথে দিঘাকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।[১৫]
হাওড়া-খড়গপুর রেলপথে তিনটি লাইন রয়েছে।[১৬] সাঁতরাগাছি-পাঁশকুড়া-খড়গপুর রেলপথের জন্য চতুর্থ লাইন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।[১৫]
গাড়ি ও লোকো শেড
টিকিয়াপাড়া (হাওড়ার জন্য), পাঁশকুড়া এবং খড়গপুরে ইএমইউ গাড়ি শেড রয়েছে। খড়গপুরে একটি ডিজেল লোকো শেড রয়েছে যেখানে ডাব্লুডিএম -২, ডাব্লুডিএম -৩ এ এবং ডাব্লুডিএম -৩ বি লোকো রয়েছে। নিমপুরা (খড়গপুরের জন্য) একটি বৈদ্যুতিক লোকো শেড রয়েছে। সাঁতরাগাছি একটি বৈদ্যুতিন লোকো শেড এবং একটি বহিরাগত ভ্রমণ ট্রিপ শেড আছে। এতে ডাব্লুএপি -৪ এবং ডাব্লুএপি -৭ লোকো রয়েছে এবং এটি ৫০+ লোকো নিতে পারে। সাঁতরাগাছিতেও রেক রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। খড়গপুরে লোকো, গাড়িবহর ও ওয়াগন ওভারহুলের জন্য ওয়ার্কশপ রয়েছে।[১৭]
গতিসীমা
হাওড়া–খড়গপুর লাইন হল ভারতের গ্রুপ এ লাইন গুলির একটি।এই লাইনের ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ হয় ১৬০ কিমি/ঘণ্টা।তবে লাইনে ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ১০০কিমি/ঘণ্টা নির্দেশ করা আছে।[১৮]
রেলপথ পুনর্গঠন
বেঙ্গল নাগপুর রেল ১৯৪৪ সালে জাতীয়করণ করা হয়।[১০] পূর্ব রেল ১৯৫২ সালের ১৪ এপ্রিল মুঘলসরাইয়ের পূর্ব ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির অংশ এবং বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে নিয়ে গঠিত হয়।[১৯] ১৯৫৫ সালে, দক্ষিণ পূর্ব রেল পূর্ব রেল থেকে পৃথক করা হয়। এটি বেশিরভাগ পূর্বের বেঙ্গল নাগপুর রেল দ্বারা চালিত রেলপথের সমন্বয়ে গঠিত।[১৯][২০] ২০০৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া নতুন জোনের মধ্যে পূর্ব উপকূলীয় রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেল ছিল। এই উভয় রেলপথ দক্ষিণ পূর্ব রেল থেকে পৃথক করে চালু করা হয়।[১৯]
যাত্রী পরিবহন
এই লাইনের হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন ও খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশন ভারতের ১০০ টি সর্বোচ্চ টিকিট বুকিং স্টেশনের মধ্যে রয়েছে।[২১]