সুনীল দত্ত

ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা

সুনিল দত্ত (হিন্দি ভাষা: सुनील दत्त; ৬ই জুন, ১৯৩০ - ২৫শে মে, ২০০৫) ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি মনমোহন সিং-এর সরকারে "যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের" ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তার স্ত্রী নার্গিস বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন এবং পুত্র সঞ্জয় দত্ত হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের আরেকজন সফল অভিনেতা। সুনিল ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন।[১][২][৩]

সুনীল দত্ত
সুনীল দত্ত
জন্ম
বলরাজ দত্ত

(১৯২৯-০৬-০৬)৬ জুন ১৯২৯
মৃত্যু২৫ মে ২০০৫(2005-05-25) (বয়স ৭৫)
পেশাঅভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, রাজনীতিবিদ
উচ্চতা৬ ফুট (১.৮ মিটার)
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীনার্গিস (১৯৫৮–১৯৮১; তার মৃত্যু)
সন্তানসঞ্জয় দত্ত, প্রিয়া দত্ত, এবং নম্রতা দত্ত

প্রারম্ভিক জীবন

সুনীলের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ঝিলাম জেলার খুড়দি নামে একটি গ্রামে। এই গ্রামটি এখন পাকিস্তানে। দেশভাগের সময় তার পরিবার ভারতে পাড়ি জমান। সুনীল মুম্বাইয়ের জয় হিন্দ কলেজে ভর্তি হন এবং জীবনধারণের জন্য বাস কন্ডাক্টরের কাজও করেছিলেন।

কর্মজীবন

তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম রেডিও স্টেশন 'রেডিও সিলন'-এ (শ্রীলঙ্কার) একজন ঘোষক হিসাবে যেখানে তিনি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এর পরে তিনি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বোম্বাই এসেছিলেন। ১৯৫৫ সালে নির্মিত "রেলওয়ে স্টেশন" তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল, তবে ১৯৫৭ সালের 'মাদার ইন্ডিয়া' তাঁকে বলিউডের ফিল্ম তারকা করেছিলো। সুনীল ডাকাতদের জীবন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র 'মুঝে জিনে দো'তে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৪ সালে ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। দুই বছর পরে, তিনি আবার 'খানদান' চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৬৬ সালে ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

১৯৫৭ সালে মেহবুব খানের ছবি মাদার ইন্ডিয়ার শ্যুটিংয়ের সময় নার্গিসকে আগুন থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে সুনীল দত্ত পুড়তে গিয়ে বেঁচে যান। এই ঘটনায় মুগ্ধ হয়ে নার্গিসের মা তার কন্যাকে সুনীল দত্তের সাথে ১৯৫৮ সালের ১১ মার্চ বিয়ে দেন।

১৯৫০ এর দশকের শেষ থেকে শুরু করে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত, তিনি সাধনা (১৯৫৮), সুজাতা (১৯৫৯), মুঝে জিন দো (১৯৬৩), গুমরাহ (১৯৬৩), ওয়াক্ত (১৯৬৫), খানদান (১৯৬৫) সহ হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে অনেক দুর্দান্ত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছিলেন। তার অভিনীত পড়োশন (১৯৬৭) এবং হামরাজ (১৯৬৭)ও উল্লেখযোগ্য।

‘মুঝে জিনে দো’ ছবিতে তার দুর্দান্ত অভিনয় তাকে খুব জনপ্রিয় তারকা বানিয়েছিলো।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী