সুচেতা ভিড়ে চাপেকর

ভারতীয় নৃত্য শিল্পী এবং পরিকল্পনাকার

সুচেতা ভিড়ে চাপেকর (জন্ম: ডিসেম্বর ১৯৪৮) একজন ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিকল্পনাকার। তিনি ভরতনাট্যমের এক বিশেষজ্ঞ। তিনি ধ্রুপদী নৃত্যের শিক্ষাদান এবং প্রচারের ট্রাস্ট "কলাবর্ধিনী" এর প্রতিষ্ঠাতা, যেখানে তিনি ভারতনাট্যম শিক্ষা দেন। [১] তিনি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (২০০৭) পেয়েছেন।

সুচেতা ভিড়ে চাপেকর
জন্ম (1948-12-06) ৬ ডিসেম্বর ১৯৪৮ (বয়স ৭৫)
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামসুচেতা ভিড়ে
পরিচিতির কারণভরতনাট্যম
পুরস্কারসংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার

প্রাথমিক জীবন

১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণকারী, চাপেকর ১৯৬৫ সালে তাঁর আরঙ্গেত্রম করেছিলেন। তিনি আচার্য পার্বতী কুমার এবং কেপি কিত্তাপ্পা পিল্লাইয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। [২] তিনি চেন্নাইয়ের থাইলাম বাল কৃষ্ণের অধীনে কর্ণাটকী সংগীত অধ্যয়ন করেছিলেন এবং হিন্দুস্তানি সংগীতেও দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তিনি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলা ও নৃত্যে স্নাতকোত্তর এবং পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। [৩]

কর্মজীবন

পরবর্তী বছরগুলিতে, তিনি ১৯৭৪ সালে মাদ্রাজ মিউজিক একাডেমিতে একটি স্থানীয় সংগীতানুষ্ঠানে প্রদর্শন করেছিলেন। [৪] বিবাহের পরে তিনি পুনে চলে এসেছিলেন। জেআরডি টাটা দ্বারা উৎসাহিত হয়েছিলেন, যিনি তাঁকে "নীল চোখের সৌন্দর্য" বলে অভিহিত করেছিলেন, তিনি ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের বাইরে প্রদর্শন করেছিলেন। এই সফরের সময় তিনি লন্ডন, প্যারিস এবং রটার্ডামে নৃত্যানুষ্ঠান করেছিলেন। [৫] ১৯৮০-এর দশকে, তিনি নিজ রাজ্য মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছিলেন। এই সময়েই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, রাজ্যে ভরতনাট্যমের বেশি অনুসারী নেই। তারপরে তিনি তাঁর অনুষ্ঠানে মারাঠি এবং হিন্দি গানের মিশ্রণের ধারা নিয়ে এসেছিলেন। এর ফলে ভারতনাট্যম সংগীতানুষ্ঠান "নৃত্য গঙ্গা " প্রতিষ্ঠিত হয়, যাতে হিন্দুস্তানীয় শাস্ত্রীয় সংগীত অবলম্বনে প্রায় ৮০টি রচনা ছিল। শাস্ত্রীয় নৃত্যের শিক্ষা ও প্রচার কার্যক্রমকে সমর্থন করে এমন একটি দাতব্য সংস্থা "কলাবর্ধিনী " -এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন চাপেকার । [৬]

২০০৮ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা অমৃতা মহাদিক [৭] চাপেকরের জীবন ও কর্মের উপর ব্যোমগামী [৮] নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরী করেছিলেন। চাপেকারের ৬০ তম জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসাবে, ব্যোমগামী [৯] প্রযোজনা করেছিলেন "কলাবর্ধিনী" এবং এটি মহারাষ্ট্রের পুনেতে গণেশ কলা ক্রীড়া মঞ্চে দেখানো হয়েছিল। পদ্মবিভূষণ সোনাল মানসিংহ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানে চ্যাপেকার এর লেখা বই নৃত্যাত্মিকা প্রকাশিত হয়েছিল। [১০]

চাপেকর বিবাহিত এবং অরুন্ধতী পটবর্ধন নামে তাঁর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, তিনি একজন প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি:

"মহারাষ্ট্র গৌরব" নাচে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য রাজ্য সরকারের শীর্ষ পুরস্কার - ১৯৯৩ সালে

"সুর্যা বিলাস" - সুর শৃঙ্গার সংসদ, মুম্বাই কর্তৃক ১৯৯৩ সালে

"এস.এল.গাদ্রে 'পুরস্কার - মহারাষ্ট্র সেবা সংঘ, মুলুন্দ, মুম্বই

মহিলা-জীবন গৌরব পুরস্কার (আজীবন কৃতিত্ব পুরস্কার) - স্ত্রী বিমোচন ট্রাস্ট, পুনে কর্তৃক

"পুনের অহংকার" - রোটারী ক্লাব, পুনে

''সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার'' - ভারতনাট্যমে অবদানের জন্য - ২০০৭ সালে

''শ্রেষ্ট কলা প্রচারকের উপাধি'' - নতুন দিল্লির গণেশ নৃত্যালয় থেকে - ২০১৫ সালে

''পণ্ডিত রোহিনী ভাট পুরস্কার'' - পুনে সিটি কর্পোরেশন থেকে - ২০১৫ সালে। [১১]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী