সান্ত্বনা বরদলৈ

ভারতীয় পরিচালক, অভিনেত্রী, রেডিও হোস্ট এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

সান্ত্বনা বরদলৈ (ইংরেজি: Santwana Bardoloi) একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অসমীয়া চলচ্চিত্ের নির্মাতা। বৃত্তিতে তিনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

সান্ত্বনা বরদলৈ
জন্ম
সান্ত্বনা বরুয়া

উজানবাজার, গুয়াহাটি, আসাম
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
বেতার নাট শিল্পী
উল্লেখযোগ্য কর্ম
অদাহ্য, মাজ রাতি কেতেকী
দাম্পত্য সঙ্গীজয়ন্ত বরদলৈ
পিতা-মাতারবীন্দ্রলাল বরুয়া (পিতৃ)
বীণাপাণি বরুয়া (মাতৃ)
পুরস্কারঅদাহ্য-এর জন্য "Silver Peacock" পুরস্কার (১৯৯৮)

জন্ম এবং পরিবার

সান্ত্বনা বরদলৈ গুয়াহাটির উজানবাজারে বড়ো হন। তার পিতা রবীন্দ্রলাল বরুয়া একজন বিক্রী বিভাগের কর আধিকারিক ছিলেন।[১] মায়ের নাম বীণাপাণি বরুয়া। পরিবারটির ছয়টি সন্তানের সবাই পড়া-শুনায় পারদর্শী ছিল। গান-নাচে আগ্রহী বরদলৈ সঙ্গীতের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন বোন শিখা দত্তের থেকে। স্কুলের দিনে তিনি প্রত্যেক শনিবার-রবিবারে মইনা পারিজাতে অংশ নিতেন। বাড়ির সমীপের কুমার ভাস্কর নাট্য মন্দিরে নাটক উপভোগ করে শৈশবে তার নাটকের প্রতিও আগ্রহ গড়ে উঠেছিল।

কেরিয়ার

সান্ত্বনা বরদলৈ গুয়াহাটির একজন জ্যেষ্ঠ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। ১৯৭১ সালে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের চূড়ান্ত শিক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।[১]

বেতার শিল্পী

সংগীত-নাটকের পরিবেশেতে বড়ো হওয়া বরদলৈ বোন শিখা দত্তের সাথে আকাশবাণী গুয়াহাটি কেন্দ্রে সঙ্গীত শিল্পীর অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হননি। মহেন্দ্র বরঠাকুর-এর পরামর্শৈ তিনি নাট শিল্পীর জন্যেও চেষ্টা করে চালে এবং সেখানে নির্বাচিত হল। এইদরে তার বেতার নাট শিল্লীরূপী কেরিয়ার আরম্ভ হল। বরদলৈ রেডিওত প্রচারিত "সুরঙ্গর শেষে", "এজাক জোনাকীর জিলমিল" ইত্যাদি কেবাখনো উল্লেখ্য নাটকত চরিত্র রূপায়ণ করেছিলেন। নীরেন বরুয়া, ধীরু ভূঞা, জীবেশ্বর চক্রবর্তী, নীলু চক্রবর্তী, মীরা দাস, মলয়া গোস্বামী ইত্যাদি প্রখ্যাত বেতার নাট শিল্পীদেরসাথে তিনি সহ-অভিনয় করেছিলেন।[১]

চলচ্চিত্র পরিচালনা

১৯৯৬ সালে বরদলৈ তার প্রথম চলচ্চিত্র অদাহ্য নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রটি মামণি রয়সম গোস্বামীর উপন্যাস "দঁতাল হাতীর উঁ খাওয়া হাওদা"র আধারে নির্মাণ করা হয়েছিল। অদাহ্য সেই বছরের অসমীয়া ভাষার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়া ছাড়া ইন্ডিয়ান প্যানোরামাতেও নির্বাচিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটির জন্যই ১৯৯৮ সালে পরিচালক সান্ত্বনা বরদলৈ "Silver Peacock" পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[২]

সুদীর্ঘ ২০ বছর পরে ২০১৭ সালে বরদলৈয়ের পরিচালনা করা দ্বিতীয় ছবি মাজ রাতি কেতেকী মুক্তি পায়। ২০১৭ সালের অসমীয়া ভাষার শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্রের সম্মান লাভ করা এই চলচ্চিত্রটি জাতীয় প্রেক্ষাপটে ওঠে এবং চলচ্চিত্র সমালোচকের থেকে প্রশংসা কুড়োতে সক্ষম হয়।[৩] মাজ রাতি কেতেকীতে মুখ্য চরিত্রটির ভূমিকা রূপায়ন করেছিলেন অভিনেতা আদিল হুসেইন এবং এই চরিত্রটিতে করা অভিনয়ের জন্য হুসেইন জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে নার্গিস দত্ত পুরস্কার (বিশেষ জুরি পুরস্কার) লাভ করেন।

দূরদর্শন ধারাবাহিক

"তেজাল ঘোঁরা"

ব্যক্তিগত জীৱন

সান্ত্বনা বরদলৈ জয়ন্ত বরদলৈয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তাঁদের পরিবারটি উজানবাজারে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে।[১]

চলচ্চিত্রপঞ্জী

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী