সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী

সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭ অক্টোবর ১৮৮৯―৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।

সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়
বিপ্লবী সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম১৭ অক্টোবর ১৮৮৯
মৃত্যু৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭
দেউলি বন্দিশিবির রাজস্থান
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

ছাত্র জীবন

বিপ্লবী সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিটিশ ভারতে বেহালা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মন্মথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্রাবস্থাতেই বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতি ঝোঁক ছিল এবং হরিনাভি স্কুলে পড়ার সময় ১৯০৫ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানাবার কারণে মানবেন্দ্রনাথ রায় সহ আর যারা স্কুল থেকে বিতাড়িত হন, তিনি তাদের অন্যতম। তিনি এরপর যুগান্তর দলের প্রবীণ বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন।

জার্মান ষড়যন্ত্রে

১৯১৪ তে গদর পার্টির বিপ্লবীরা 'কোমাগাতামারু' জাহাজে বজবজে এলে তাদের গোপনে সাহায্য করেন তিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধর সময় গেরিলা যুদ্ধের প্রয়োজনে ম্যাপ ও নকশাও সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯১৫ তে বিপ্লবী বাঘা যতীন তাকে পাঠান হ্যালিডে দ্বীপে জার্মান অস্ত্রবাহী জাহাজের সংগে যোগাযোগের জন্য, অস্ত্র খালাসের দায়িত্ব ছিল তার ওপর। নানা কারণে যদিও জাহাজ অবতরণ করতে পারেনি। এই বছরই নিরালম্ব স্বামীর সাথে পরামর্শের জন্যে বাঘা যতীনের দূত রূপে যান। যুগান্তর দলের বৈদেশিক বিভাগের ভার ছিল তার ওপর।[১]

রাজনৈতিক হত্যা চক্রান্ত

১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে অত্যাচারী পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট হত্যা চেষ্টা চক্রান্তে জড়িত ছিলেন সাতকড়ি। যুগান্তরের বারুইপুর শাখার সংগঠনের নেতা থাকাকালীন সাতকড়ি ছিলেন শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্যর গুরু স্থানীয়। ২৭শে জুলাই ১৯৩১, তারই পরামর্শে বিচারক গার্লিককে 'বিমল গুপ্ত' ছদ্মনাম নিয়ে হত্যা করেন কানাইলাল।[২][৩]

জেল জীবন ও মৃত্যু

সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ মার্চ ১৯১৬ সালে ধরা পড়লে তাকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়, পরে উত্তরপ্রদেশের নৈনি জেলে প্রেরণ করা হলে সেখানে রাজবন্দীদের ওপর দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে ৬৭ দিন অনশন করেন তিনি। ১৩ জানুয়ারি ১৯২০ সালে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠনের কাজে ব্যপ্ত হন। পুলিশ তাকে ১৯২৪ সালে পূনরায় গ্রেপ্তার করে ও তিনবছর কারাবরণ করেন। ১৯২৭ সালে মুক্তি পেলেও বিপ্লবাত্মক কাজকর্মের জন্যে ১৯৩০ সালে তাকে স্বগৃহে অন্তরীন রাখে সরকার এবং পরে পুরোপুরি গ্রেপ্তার করে ১৯৩২ সালে রাজস্থানের দেউলি বন্দীনিবাসে পাঠায়। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ সালে জেলেই অসুস্থ অবস্থায় মারা যান সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়।[৪][৫]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী