সদাগোপান রমেশ
সদাগোপান রমেশ (তামিল: சடகோபன் ரமேஷ்; জন্ম: ১৬ অক্টোবর, ১৯৭৫) তামিলনাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এছাড়াও, ভারতের চলচ্চিত্র জগতে তার পদচারণ ঘটেছে।[১][২] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ভারত এ দলেরও সদস্য ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন।[৩]
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সদাগোপান রমেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাদ্রাজ, তামিলনাড়ু, ভারত | ১৬ অক্টোবর ১৯৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১৯) | ২৮ জানুয়ারি ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ সেপ্টেম্বর ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২২) | ৩০ মার্চ ১৯৯৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ অক্টোবর ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৪ আগস্ট ২০১৭ |
খেলোয়াড়ী জীবন
মূলতঃ তামিলনাড়ু দলে খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০০৫-০৬ ও ২০০৬-০৭ মৌসুমে কেরালা এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমে আসামের পক্ষে খেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। এ দলের কোচ কে শ্রীকান্তের জোর সুপারিশে দল নির্বাচকমণ্ডলী তামিলনাড়ু থেকে বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে দলে নেন।
নিজ শহর চেন্নাইয়ে ২৮ জানুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। বেশ সাহসী ও খেলায় নিজস্ব শারীরিক ভঙ্গীমায় দ্রুত সফলতা লাভ করেন। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও শোয়েব আখতারের ত্রি-মূখী পেস আক্রমণ রুখে দেয়ার পাশাপাশি সাকলাইন মুশতাক ও মুশতাক আহমেদের স্পিনের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। সিরিজে জোড়া শতক হাঁকান ও আকস্মিকভাবে ধারণা করা হয় যে, ভারত দল বিশ্বমানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সন্ধান পেয়েছে।
৩০ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআইয়ে প্রথম বলেই উইকেট লাভের বিরল কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন।
খেলার ধরন
প্রথম ছয় টেস্টেই তার ব্যাটিং গড় ৫০ পেরিয়ে যায় ও খুব সহজেই শীর্ষসারির বোলারদের আক্রমণের বিপরীতে খেলতে পারতেন। ক্রিকেটপ্রেমীরা তার ত্রুটিপূর্ণ পায়ের কারুকাজ সনাক্ত করেন ও উপমহাদেশের বাইরে তিনি সফলকাম হবেন বলে ধারণা পোষণ করেন। বিশেষ করে অস্ট্রেলীয় পেস বোলারদের উপযোগী বাউন্সি পিচ হলে তো কথাই নেই। রমেশ সেখানেও তার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। তবে, ঐ রানগুলোকে তিন অঙ্কের কোঠায় নিতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। কিন্তু, ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে দল থেকে বাদ পড়েন। ঐ সফরে ৬ ইনিংসের ৫টিতেই ৩০-এর কোঠা অতিক্রম করেন। কেবলমাত্র একটিতে অর্ধ-শতক পেয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
২০০২ সালে অপর্ণা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাদের সংসারে এক কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে।[৪]
এপ্রিল, ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল চলচ্চিত্র সন্তোষ সুব্রামনিয়ামে অভিনয় করেন।[৫][৬][৭] এছাড়াও প্রথমবারের মতো পত্তা পত্তি ৫০/৫০ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[৮][৯]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সদাগোপান রমেশ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সদাগোপান রমেশ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সদাগোপান রমেশ (ইংরেজি)