সত্যেন্দ্রনাথ বসু (বিপ্লবী)
সত্যেন্দ্রনাথ বসু (৩০ জুলাই ১৮৮২ - ২২ নভেম্বর ১৯০৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। আলিপুর বোমা মামলার রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে গুলি করে হত্যা করার জন্য ২২ নভেম্বর, ১৯০৮ সনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রেসিডেন্সি জেলে ফাঁসি হয়।[১][২]
সত্যেন্দ্রনাথ বসু | |
---|---|
জন্ম | ৩০ জুলাই ১৮৮২ মেদিনীপুর জেলা, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২২ নভেম্বর ১৯০৮ | (বয়স ২৬)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম
তিনি ছিলেন মনীষী রাজনারায়ণ বসুর ভ্রাতুষ্পুত্র। তাঁর পিতার নাম অভয়চরণ বসু। তিনি মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বোড়ালে।[২]
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড
তাঁর অগ্রজ জ্ঞানেন্দ্রনাথ এবং রাজনারায়ণ বসুর প্রভাবে মেদিনীপুরে ১৯০২ সালে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠেছিলো। সেই সংগঠনের নেতা ছিলেন হেমচন্দ্র দাস কানুনগো এবং সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর সহকারী। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি "ছাত্রভাণ্ডার" গড়ে তোলেন। এখানে তাঁত, ব্যায়ামচর্চা ইত্যাদির আড়ালে বিপ্লবীদের ঘাঁটি তৈরি হয়। বীর ক্ষুদিরাম বসু তার সাহায্যে বিপ্লবী দলভুক্ত হয়ে এখানে আশ্রয় পান। ক্ষুদিরাম তারই নির্দেশে "সোনার বাংলা" শীর্ষক বিপ্লবাত্মক ইশতেহার বিলি করে গ্রেপ্তার হন।[২]