শেনচৌ (মহাকাশযান)

শেনচৌ হল চীনের দ্বারা তৈরি ও পরিচালিত চৈনিক মনুষ্যবাহী মহাকাশ কর্মসূচির অন্তর্গত মনুষ্য মহাকাশ যাত্রা কর্মসূচিকে সমর্থনকারী একটি মহাকাশযান। এটির নকশা রুশ সয়ুজ মহাকাশযানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, তবে এটি আকারে বড়। প্রথম উৎক্ষেপণটি ১৯৯৯ সালের ১৯শে নভেম্বর এবং প্রথম মহাকাশচারী সহ উৎক্ষেপণটি ২০০৩ সালের ১৫ই অক্টোবর করা হয়েছিল। মহাকাশযানের সম্মানে ২০০৫ সালের মার্চ মাসের একটি গ্রহাণুর নাম ৮২৫৬ শেনচৌ রাখা হয়েছিল।

শেনচৌ মহাকাশযান
সৌর প্যানেল ছাড়াই একটি শেনচৌ মহাকাশযানের স্থল পরীক্ষা করা হচ্ছে
প্রস্তুতকারকসিএএসটি
উৎস দেশ গণচীন
চালনাকারীসিএমএসএ
প্রয়োগমনুষ্য মহাকাশ যাত্রা
সবিস্তার বিবরণী
সময়কাল১৮৩ দিন পর্যন্ত (থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশনে নোঙর করেছিল)
উৎক্ষেপণ ভর৭৮৪০ কেজি
মনুষ্য ধারণ ক্ষমতা
মাত্রা৯.২৫ x ২.৮ মিটার
আয়তন১৪.০০ মিটার3
অবস্থাননিম্ন পার্থিব
মাত্রা
উৎপাদন
অবস্থাপরিষেবায় নিযুক্ত
নির্মাণ১৫
উৎক্ষেপণ১৪
ব্যর্থ
প্রথম উৎক্ষেপণশেনচৌ ১: ১৯ নভেম্বর ১৯৯৯ (মহাকাশচারী বিহীন)
শেনচৌ ৫: ১৫ অক্টোবর ২০০৩ (মহাকাশচারী)
শেষ উৎক্ষেপণসক্রিয়
শেনচৌ ১৪: ৫ জুন ২০২২ (মহাকাশচারী)

ইতিহাস

চীনের মনুষ্য মহাকাশ যাত্রার প্রথম প্রচেষ্টা ১৯৭৩ সালের প্রক্ষিপ্ত উৎক্ষেপণ সহ ১৯৬৮ সালে শুরু হয়েছিল।[১] যদিও চীন ১৯৭০ সালে একটি মহাকাশচারী বিহীন কৃত্রিম-উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছিল, তহবিলের অভাবের কারণে ১৯৮০ সালে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছিল।[২]

প্রজেক্ট ৯২১-এর সাথে চৈনিক মহাকাশচারী মহাকাশযান কর্মসূচিটি পুনরায় ১৯৯২ সালে চালু করা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে মহাকাশযানটি পুনঃপ্রবেশের জন্য আলাদা হতে পারে এমন তিনটি মডিউল সহ রুশ সয়ুজ মহাকাশযানের সাধারণ বিন্যাস অনুসরণ করে নির্মিত হয়েছিল। জীবন সহায়তা ও নোঙর ব্যবস্থা সহ সয়ুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য চীন ১৯৯৫ সালে রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সেই সময়ে প্রথম পর্যায়ের মহাকাশযানটি নতুন রুশ প্রযুক্তির সাহায্যে পরিবর্তিত হয়েছিল।[২] ছি ফারেন শেনচৌ-১ থেকে শেনচৌ-৫ এর সাধারণ নকশাকার ছিলেন, এবং সাধারণ নকশাটি শেনচৌ-৬ এর নির্মাণের থেকে চাং পোনানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

মহাকাশযানের প্রথম মহাকাশচারী বিহীন উড্ডয়নটি ১৯৯৯ সালের ১৯শে নভেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, তারপরে প্রজেক্ট ৯২১/১-এর নাম পরিবর্তন করে শেনচৌ রাখা হয়েছিল, নামটি চিয়াং জোমিনের দ্বারা বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনটি অতিরিক্ত মহাকাশচারী বিহীন উড্ডয়ন একটি ধারাবাহিকতার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী সহ উড্ডয়নটি ২০০৩ সালের ১৫ই অক্টোবর শেনচৌ ৫ অভিযানের মাধ্যমে হয়েছিল। মহাকাশযানটি তখন থেকে চৈনিক মহাকাশচারী মহাকাশ কর্মসূচির প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠেছে, মহাকাশচারী সহ ও মহাকাশচারী বিহীন অভিযানের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

নকশা

পরবর্তী-শেনচৌ ৭ মহাকাশযানের চিত্র

শেনচৌ তিনটি মডিউল নিয়ে গঠিত: একটি অগ্রবর্তী কক্ষপথীয় মডিউল, মাঝখানে একটি পুনঃপ্রবেশ মডিউল এবং একটি পশ্চাৎবর্তী পরিষেবা মডিউল। এই বিভাজনটি পৃথিবীতে ফিরে আসা উপাদানের পরিমাণ কমানোর নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কক্ষপথীয় বা পরিষেবা মডিউলগুলিতে স্থাপন করা যে কোনও কিছুর জন্য তাপ রক্ষার প্রয়োজন হয় না, ওজন বৃদ্ধি না করে মহাকাশযানে উপলব্ধ স্থান বাড়তে পারে যদি সেই মডিউলগুলি পুনঃপ্রবেশের সময় বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘটা সংঘর্ষ সহ্য করতে সক্ষম হয়।

সম্পূর্ণ মহাকাশযানের তথ্য
মোট ভর: ৭,৮৪০ কেজি
দৈর্ঘ্য: ৯.২৫ মি
ব্যাস: ২.৮০ মি
স্প্যান: ১৭.০০ মি

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী