শিয়ালদহ দক্ষিণ লাইন
শিয়ালদহ দক্ষিণ লাইন চারটি পরস্পর যুক্ত রেলপথ নিয়ে গঠিত। এটি শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মোট দৈর্ঘ্য হল ১৯০ কিলোমিটার (১২০ মা)। এই রেলপথের চারটি প্রান্তিক রয়েছে। এগুলি হল বজবজ, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার ও নামখানা।
শিয়ালদহ দক্ষিণ লাইন | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
অন্য নাম | শিয়ালদহ সাউথ সেকশন |
স্থিতি | সক্রিয় |
মালিক | ভারতীয় রেল |
অঞ্চল | পশ্চিমবঙ্গ |
বিরতিস্থল | |
স্টেশন | ৬৭ (আন্তঃবদল : ৫) |
ওয়েবসাইট | পূর্ব রেল |
পরিষেবা | |
ধরন | শহরতলি রেল |
ব্যবস্থা | কলকাতা শহরতলি রেল |
সেবা | শিয়ালদহ–নামখানা বালিগঞ্জ–বজবজ সোনারপুর–ক্যানিং বারুইপুর–ডায়মন্ড হারবার |
পরিচালক | পূর্ব রেল |
ডিপো | শিয়ালদহ নামখানা |
কারিগরি তথ্য | |
রেলপথের দৈর্ঘ্য | শিয়ালদহ–নামখানা: ১০৮ কিমি (৬৭ মা) বালিগঞ্জ–বজবজ: ১৯ কিমি (১২ মা) সোনারপুর–ক্যানিং: ২৮ কিমি (১৭ মা) বারুইপুর–ডায়মন্ড হারবার: ৩৫ কিমি (২২ মা) |
ট্র্যাকসংখ্যা | ২ |
বৈশিষ্ট্য | আদর্শ |
ট্র্যাক গেজ | ব্রডগ্রেজ (১৬৭৬ এমএম) |
বিদ্যুতায়ন | ২৫ কেভি এসি ওভারহেড লাইন |
চালন গতি | ১০০ কিমি/ঘণ্টা |
ইতিহাস
১৮৬২ সালে প্রথম শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং পর্যন্ত ৪৬ কিলোমিটার পথে রেল চালু হয়। এই রেল চালু করে তৎকালীন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কোম্পানি। পরে এটি সরকার অধিগ্রহণ করে। প্রথম পর্বে ঘুটিয়ারি শরীফ পর্যন্ত ট্রেন লাইন ছিল এবং ক্যানিং পর্যন্ত একটি লাইন ছিল। এটি ভারতে তৃতীয়তম রেলপথ (মুম্বাই থেকে থানে প্রথম এবং হাওড়া থেকে হুগলি দ্বিতীয়)। বর্তমানে এটি সর্বাধিক ব্যস্ততম রেলপথ। তারপর বহু বছর পর ১৮৮২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে জয়নগর মজিলপুর পর্যন্ত রেল চালু করে। ১৯২৮ সালে এটি লক্ষীকান্তপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। এরপর ২০০১ সালে এটি কাকদ্বীপ ও ২০০৬ সালে এটি নামখানা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। । ১৮৮৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কোম্পানি ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত রেল চালু করে। ১৮৯০ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে বজবজ পর্যন্ত রেল চালু করে।[১][২]
স্টেশনসহ রুটগুলি
রুটগুলি
- শিয়ালদহ – নামখানা
- বালিগঞ্জ – বজবজ
- সোনারপুর – ক্যানিং
- বারুইপুর – ডায়মন্ড হারবার
প্রধান লাইন
প্রধান লাইন | ||||
---|---|---|---|---|
# | শিয়ালদহ থেকে দূরত্ব (কিমি) | স্টেশনের নাম | স্টেশনের কোড | সংযোগ |
১ | ০ | শিয়ালদহ | এসডিএএইচ | কর্ড লিংক লাইন / পূর্ব লাইন |
২ | ৩ | পার্ক সার্কাস | চক্ররেল লাইন | |
৩ | ৬ | বালিগঞ্জ জংশন | বিএলএন | বজবজ (দক্ষিণ লাইন) / চক্ররেল লাইন |
৪ | ৭ | ঢাকুরিয়া | না | |
৫ | ৮ | যাদবপুর | না | |
৬ | ১০ | বাঘাযতীন | না | |
৭ | ১২ | নিউ গড়িয়া | কলকাতা মেট্রো লাইন ১ | |
৮ | ১৩ | গড়িয়া | না | |
৯ | ১৫ | নরেন্দ্রপুর | না | |
১০ | ১৭ | সোনারপুর জংশন | এসপিআর | ক্যানিং (দক্ষিণ লাইন) |
১১ | ২০ | সুভাষগ্রাম | না | |
১২ | ২২ | মল্লিকপুর | না | |
১৩ | ২৫ | বারুইপুর জংশন | বিআরপি | ডায়মন্ড হারবার (দক্ষিণ লাইন) |
১৪ | ২৭ | শাসন রোড | না | |
১৫ | ২৯ | কৃষ্ণমোহন | না | |
১৬ | ৩১ | ধপধপি | না | |
১৭ | ৩৩ | সূর্যপুর | না | |
১৮ | ৩৫ | গোচরণ | না | |
১৯ | ৩৮ | হোগলা | না | |
২০ | ৪১ | দক্ষিণ বারাসাত | না | |
২১ | ৪৪ | বহরু | না | |
২২ | ৪৯ | জয়নগর মজিলপুর | জেএনএম | না |
২৩ | ৫৪ | মথুরাপুর রোড | না | |
২৪ | ৫৯ | মাধবপুর | না | |
২৫ | ৬২ | লক্ষীকান্তপুর | না | |
২৬ | ৬৮ | উদয়রামপুর | না | |
২৭ | ৭২ | কুলপি | না | |
২৮ | ৭৭ | করঞ্জলী | না | |
২৯ | ৮৩ | নিশ্চিন্তপুর মার্কেট | না | |
৩০ | ৮৪ | নিশ্চিন্তপুর | না | |
৩১ | ৮৮ | মাধবনগর | না | |
৩২ | ৯২ | কাশীনগর | না | |
৩৩ | ৯৫ | কাকদ্বীপ | না | |
৩৪ | ১০৩ | উকিলেরহাট | না | |
৩৫ | ১০৮ | নামখানা | এনএমকেএ | না |
শাখা লাইনগুলি
বজবজ শাখা লাইন
বজবজ শাখা লাইন | ||||
---|---|---|---|---|
# | বালিগঞ্জ থেকে দূরত্ব (কিমি) | স্টেশনের নাম | স্টেশনের কোড | সংযোগ |
১ | ০ | বালিগঞ্জ জংশন | বিএলএন | প্রধান (দক্ষিণ লাইন) / চক্ররেল লাইন |
২ | ২ | লেক গার্ডেন্স | চক্ররেল লাইন | |
৩ | ৩ | টালিগঞ্জ | চক্ররেল লাইন | |
৪ | ৪ | নিউ আলিপুর | চক্ররেল লাইন | |
৫ | ৬ | মাঝেরহাট | এমজেটি | চক্ররেল লাইন |
৬ | ৮ | ব্রেসব্রীজ | না | |
৭ | ১১ | সন্তোষপুর | না | |
৮ | ১৩ | আকড়া | না | |
৯ | ১৭ | নুঙ্গী | না | |
১০ | ১৯ | বজবজ | বিজিবি | না |
ক্যানিং শাখা লাইন
ক্যানিং শাখা লাইন | ||||
---|---|---|---|---|
# | সোনারপুর থেকে দূরত্ব (কিমি) | স্টেশনের নাম | স্টেশনের কোড | সংযোগ |
১ | ০ | সোনারপুর জংশন | এসপিআর | প্রধান (দক্ষিণ লাইন) |
২ | ৩ | বিদ্যাধরপুর | না | |
৩ | ৬ | কালিকাপুর | না | |
৪ | ৭ | চাম্পাহাটি | না | |
৫ | ১০ | পিয়ালী | না | |
৬ | ১২ | গৌড়দহ | না | |
৭ | ১৫ | ঘুটিয়ারী শরীফ | না | |
৮ | ১৮ | বেতবেড়িয়া ঘোলা | না | |
৯ | ২২ | তালদি | না | |
১০ | ২৫ | মাতলা হল্ট | না | |
১১ | ২৮ | ক্যানিং | সিজি | না |
ডায়মন্ড হারবার শাখা লাইন
ডায়মন্ড হারবার শাখা লাইন | ||||
---|---|---|---|---|
# | বারুইপুর থেকে দূরত্ব (কিমি) | স্টেশনের নাম | স্টেশনের কোড | সংযোগ |
১ | ০ | বারুইপুর জংশন | বিআরপি | প্রধান (দক্ষিণ লাইন) |
২ | ৩ | কল্যানপুর | না | |
৩ | ৫ | দক্ষিণ দূর্গাপুর | না | |
৪ | ৭ | হোটর | না | |
৫ | ১০ | ধামুয়া | না | |
৬ | ১২ | উত্তর রাধানগর | না | |
৭ | ১৫ | মগরাহাট | না | |
৮ | ১৮ | বাহিরপুয়া হল্ট | না | |
৯ | ২০ | সংগ্রামপুর | না | |
১০ | ২৫ | দেউলা | না | |
১১ | ২৮ | নেতড়া | না | |
১২ | ৩০ | বাসুলডাঙা | না | |
১৩ | ৩২ | গুরুদাসনগর | না | |
১৪ | ৩৫ | ডায়মন্ড হারবার | ডিএইচ | না |
গঙ্গাসাগর মেলা
প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূণ্যার্থী আসে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে। এই কারণে এই সময় নামখানা পর্যন্ত বিশেষ রেল চালানো হয়।[৩][৪]
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
একদিকে ১.২৪ বিলিয়ন টাকা খরচে ক্যানিং থেকে রেলপথ ঝড়খালি পর্যন্ত ৬০ কিমি নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে এবং সম্প্রসারিত করা হবে। ইতিমধ্যে ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালির মধ্যে নতুন লাইন পাতার জন্য মাতলা নদীর উপর মাতলা রেল ব্রিজের পিলার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও অনুমোদন করা স্টেশন গুলির নাম হলো- ১) ক্যানিং ঘাট (যেটি ক্যানিংয়ের বৈতরণী শ্মশানের কাছে নির্মিত হবে), ২) ভাঙনখালী হল্ট (যেটি ভাঙ্গনখালির হাট-বাজারের কাছে তৈরি হবে), ৩) সোনাখালী (যেটি সোনাখালি বাজারের নিকটে সোনাখালী চৌমাথাতে নির্মিত হবে),৪) বাসন্তী জংশন (এটি বাসন্তী থানার নিকটে একটি জংশন স্টেশন রূপে গড়ে উঠবে যেটির আরেক শাখা গদখালী গোসাবার দিকে যেতে পারে),৫) হিরন্ময়পুর হল্ট (যেটি বাঁশিরাম বাজারের কাছে তৈরি হবে) ও ৬) ঝড়খালী টার্মিনাল। (যেদিন ঝড়খালি বাজারের কাছে নির্মিত হবে এবং এটি মাতলা নদীর তীরে অবস্থিত হবে)
অন্যদিকে গঙ্গাসাগরে সাগর বন্দর নামে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার কথা হয়েছে। এর জন্য কাকদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত ৪০ কিমি নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে এবং মুড়িগঙ্গার উপর ৪.৫ কিমি রেল-সড়ক সেতু তৈরি করা হবে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বহিঃস্থ ভিডিও | |
---|---|
Train leaving Budge Budge | |
Ganga Sagar pilgrims boarding ferry at Namkhana |