হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর

হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (পুরানো নাম: জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) (আইএটিএ: DAC, আইসিএও: VGHS) রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ১৯৮০ সালে এর কার্যক্রম শুরু করার পরে, পূর্বের বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এর কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়। এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এয়ার অ্যাস্ট্রা, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সহ বাংলাদেশের সকল এয়ার লাইন্সগুলোর হোম বেস।[৩]

হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনবেসামরিক/সামরিক
পরিচালকবাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাঢাকা
অবস্থানকুর্মিটোলা
যে হাবের জন্য
এএমএসএল উচ্চতা২৭ ফুট / ৮ মিটার
স্থানাঙ্ক২৩°৫০′৩৪″ উত্তর ০৯০°২৪′০২″ পূর্ব / ২৩.৮৪২৭৮° উত্তর ৯০.৪০০৫৬° পূর্ব / 23.84278; 90.40056 (Shah Jalal International Airport)
ওয়েবসাইটhsia.gov.bd
মানচিত্র
DAC বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
DAC
DAC
বাংলাদেশের বিমানবন্দরের অবস্থান
রানওয়ে
দিকদৈর্ঘ্যপৃষ্ঠতল
মিফুট
১৪/৩২৩,৩০০১১,৫০০আস্ফাল্ট
পরিসংখ্যান (২০১৯)
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
যাত্রী চলাচল১,৮৬,৮১,৪৭৪
মালামাল পরিচালনা (টন)৫,১৭,৯৪০
উৎস: বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ[১][২]

১,৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট উঠা-নামা করে, যেখানে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ১৭ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে। এ বিমানবন্দর দিয়ে বার্ষিক প্রায় ৪০ লক্ষ আন্তর্জাতিক ও ১০ লক্ষ অভ্যন্তরীন যাত্রী এবং ১৫০,০০০ টন ডাক ও মালামাল আসা-যাওয়া করে।[৪]

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর থেকে ইউরোপ এবং এশিয়ার ১৮টি শহরে চলাচল করে। এই বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ঘাঁটির নাম বিএএফ ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু।[৫]

ইতিহাস

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে কুর্মিটোলায় উড়োজাহাজ নামার জন্য একটি রানওয়ে তৈরি করে।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার কুর্মিটোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে  নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞদের মতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার চালু করা হয়। নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন জন্য একটি রেল স্টেশন (বর্তমান এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন) নির্মিত হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিল।কিন্তু যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরে গুরুতর ক্ষতি সাধিত হয়।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার পরিত্যক্ত কাজ পুনরায় চালু করে এবং এটিকে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূল রানওয়ে এবং কেন্দ্রীয় অংশটি খোলার মাধ্যমে ১৯৮০ সালে এয়ারপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিমানবন্দরটির শুভ উদ্বোধন করেন। রাজনৈতিক কারণে আরও তিন বছর লাগে এটি সম্পন্ন হতে। অবশেষে ১৯৮৩ সালে  রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন।

২০১০ সালে ক্ষমতাসীন সরকার বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ হয়রত শাহজালালের নাম অনুসারে বিমানবন্দরের নাম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করা হয়৷

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর রাত্রীকালীন দৃশ্য

নির্ধারিত গন্তব্যসূচী

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টার্মিনাল-১)
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টার্মিনাল-২)
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরভাগ

যাত্রিবাহী বিমান চলাচল

বিমান সংস্থাগন্তব্যস্থল
এয়ার আরাবিয়াশারজাহ
এয়ার এশিয়াকুয়ালালামপুর
এয়ার অ্যাস্ট্রা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসকলকাতা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সআবুধাবি, বাহরাইন, ব্যাংকক-সুবর্ণভূমি, চট্টগ্রাম,যশোর, সৈয়দপুর,রাজশাহী, কক্সবাজার, দাম্মাম, দোহা, দুবাই, হংকং, জেদ্দাহ, কাঠমান্ডু, কলকাতা, কুয়ালালামপুর, কুয়েত, লন্ডন-হিথ্রো বিমানবন্দর, মাস্কট, রিয়াদ, সিঙ্গাপুর, সিলেট,নারিতা,টরেন্টো
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসবেইজিং, দুবাই, কুনমিং
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্‌সগংঝাও
ড্র্যাগন এয়ারহংকং, কাঠমান্ডু
ড্রুক এয়ারব্যাংকক-সূবর্ণভূমি, পারো
এমিরেট্স্দুবাই
এত্তিহাদ এয়ারওয়েজআবুধাবি
গাল্ফ এয়ারবাহরাইন
জেট্ এয়ারওয়েজদিল্লি, কলকাতা
কুয়েত এয়ারওয়েজকুয়েত
কিংফিশার এয়ারলাইন্‌সকলকাতা
মালেশিয়া এয়ারলাইন্‌সকুয়ালালামপুর
মালদিভিয়ান এয়ারওয়েজমালে, চেন্নাই
কাতার এয়ারওয়েজদোহা
রাখ এয়ারওয়েজরাস আল খাইমাহ
সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্‌সদাম্মাম, জেদ্দাহ, মদিনা, রিয়াদ
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্‌সসিঙ্গাপুর
থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনালব্যাংকক-সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর
টার্কিশ এয়ারলাইন্‌সইস্তানবুল
ইয়েমেনিয়াসানা, দুবাই

মালবাহী বিমান চলাচল

বিমান সংস্থাগন্তব্যস্থল
বিমান কার্গো[৬] কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক-সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর, দুবাই, জেদ্দা, রিয়াদ, মাস্কাট, লন্ডন-হিথ্রো বিমানবন্দর
বিসমিল্লা এয়ারলাইন্‌স[৭] ব্যাংকক, দুবাই, হংকং, সেংঝেং
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ওয়ার্ল্ড কার্গো[৮] লন্ডন-হিথ্রো বিমানবন্দর, চেন্নাই
ক্যাথেপ্যাসিফিক কার্গো হংকং
ইতিহাদ ক্রিষ্টাল কার্গো আবুধাবি, কলকাতা
ফেডেক্স এক্সপ্রেস[৯] বিশ্বব্যাপী
মিডেক্স এয়ারলাইন্‌স আল আইন
কাতার এয়ারওয়েজ কার্গো[১০] দোহা
সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্‌স কার্গো[১১] জেদ্দা, রিয়াদ
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্‌স কার্গো[১২] ব্রাসেলস, শারজাহ, সিঙ্গাপুর
ট্রান্স গ্লোবাল এয়ারওয়েজ ক্লার্ক, ফুজাইরাহ
ইয়াংসে রিভার এক্সপ্রেস বেইজিং

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী