শার্লি নাইট

মার্কিন অভিনেত্রী

শার্লি নাইট হপকিন্স (ইংরেজি: Shirley Knight Hopkins; ৫ জুলাই ১৯২৬ - ২২ এপ্রিল ২০২০) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিন পঞ্চাশের অধিক চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় ও চরিত্র অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক এবং ব্রডওয়ে মঞ্চ ও অফ-ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিনয় করেছেন। তিনি অ্যাক্টরস স্টুডিওর একজন সদস্য।

শার্লি নাইট
Shirley Knight
১৯৬০-এর দশকের নাইট
জন্ম (1926-07-05) ৫ জুলাই ১৯২৬ (বয়স ৯৭)
মৃত্যু২২ এপ্রিল ২০২০(2020-04-22) (বয়স ৯৩)
স্যান মার্কোস, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয়তামার্কিন
অন্যান্য নামশার্লি নাইট হপকিন্স
মাতৃশিক্ষায়তনউইচিটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৫৯-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীজিন পারসন
(বি. ১৯৫৯; বিচ্ছেদ. ১৯৬৯)
[১]
জন হপকিন্স
(বি. ১৯৬৯; মৃ. ১৯৯৮)
সন্তান২ (কেইটলিন হপকিন্স সহ)
ওয়েবসাইটshirleyknight.org

নাইট দ্য ডার্ক অ্যাট দ্য টপ অব দ্য স্টেয়ার্স (১৯৬০) ও সুইট বার্ড অব ইয়ুথ (১৯৬২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২] ১৯৬০-এর দশকে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল দ্য কাউচ (১৯৬২), হাউজ অব ওমেন (১৯৬২), দ্য কাউন্টারফেইট কিলার (১৯৬৮) ও দ্য রেইন পিপল (১৯৬৯)। তিনি ১৯৬৬ সালে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র ডাচম্যান-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ভোল্পি কাপ অর্জন করেন।

১৯৭৬ সালে নাইট কেনেডি'স চিলড্রেন নাটকে অভিনয় করে মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি এন্ডলেস লাভ (১৯৮১), অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস্‌ (১৯৯৭), ডিভাইন সিক্রেটস্‌ অব দ্য ইয়া-ইয়া সিস্টারহুড (২০০২) ও গ্র্যান্ডমাস বয় (২০০৬) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করেন। টেলিভিশনে তার কাজের জন্য তিনি আটটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন হতে তিনটি পুরস্কার লাভ করেন[৩] এবং একবার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

নাইট ১৯২৬ সালের ৫ই জুলাই কানসাসের ম্যারিয়ন কাউন্টির গোসেলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নোয়েল জনসন রাইট একজন তেল কোম্পানির নির্বাহী এবং মাতা ভার্জিনিয়া (প্রদত্ত নাম: ওয়েস্টার)।[৪] ৮ বছর বয়সে তিনি বেতারে গান করেন এবং রাজ্য-ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।[৫] ১৪ বছর বয়সে তার রচিত ছোটগল্প একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নাইট ফিলিপস বিশ্ববিদ্যালয় ও উইচিটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি এইচবি স্টুডিওতে আরউইন পিসকাটর, লি স্ট্র্যাসবার্গ, ও উটা হ্যাগেনের সাথে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[৫][৬]

কর্মজীবন

নাইট ১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সালে বাকস্কিন টেলিভিশন ধারাবাহিকের ২৯টি পর্বের ২০টি পর্বে মিসেস নিউকম্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন টম নোলান, স্যালি ব্রফি, ও মাইক রোড। এরপর তিনি ওয়ার্নার ব্রাদার্স টেলিভিশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং একাধিক টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন, সেগুলো হল মাভেরিক, বুর্বন স্ট্রিট বিট, শুগারফুট, চেয়েন, ও দ্য রোরিং টুয়েন্টিস

টেলিভিশনে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ছিল উইলিয়াম ইংসের নাটক অবলম্বনে নির্মিত দ্য ডার্ক অ্যাট দ্য টপ অব দ্য স্টেয়ার্স (১৯৬০)। এই চলচ্চিত্রে একজন ইহুদি ব্যক্তি প্রেমে পড়া ওকলাহোমান তরুণী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৭] দুই বছর পর তিনি টেনেসি উইলিয়ামসের নাটক অবলম্বনে নির্মিত সুইট বার্ড অব ইয়ুথ (১৯৬২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৭] এরপর তিনি দ্য কাউচ (১৯৬২), হাউজ অব ওমেন (১৯৬২), ও দ্য গ্রুপ (১৯৬৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র ডাচম্যান-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ভোল্পি কাপ অর্জন করেন। এই দশকের শেষভাগে তিনি দ্য পেটুলিয়া (১৯৬৮), দ্য কাউন্টারফেইট কিলার (১৯৬৮) ও দ্য রেইন পিপল (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

দ্য ডিফেকশন অব সিমাস কুড্রিকা (১৯৭৮)-এ অ্যালান আর্কিনের সাথে নাইট

আজীবন অ্যাক্টরস স্টুডিওর সদস্য[৮] নাইট ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। এই সময়ে তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হল থ্রি সিস্টার্স (১৯৬৪), উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন দ্য ক্যাসল (১৯৬৬), কেনেডি'স চিলড্রেন (১৯৭৫), ও আ লাভলি সানডে ফর ক্রিভ কোর (১৯৭৯)। কেনেডি'স চিলড্রেন-এ অভিনয়ের জন্য তিনি মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার লাভ করেন।[৯] এছাড়া তিনি ল্যান্ডস্কেপ অব দ্য বডিদ্য ইয়ং ম্যান ফ্রম আটলান্টা (১৯৯৭) মঞ্চনাটকে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ড্রামা ডেস্ক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৯]

তিনি ১৯৮৮ সালে থার্টিসামথিং-এ অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে ইনডিক্টমেন্ট: দ্য ম্যাকমার্টিন ট্রায়াল মিনি ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য তিনি মিনি ধারাবাহিক বা টিভি চলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া একই বছর এনওয়াইপিডি ব্লু ধারাবাহিকের "লার্জ মাউথ বেস পর্বে অভিনয়ের জন্য সেরা অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার লাভ করেন। তাকে ডেসপারেট হাউজওয়াইভস টিভি ধারাবাহিকে একাধিক পর্বে দেখা যায়।[১০] এই টিভি ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য তার অষ্টম ও সর্বশেষ এমি পুরস্কারের মনোনয়ন আসে।[২]

নাইট ১৯৯৭ সালে অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস্‌ (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে জ্যাক নিকোলসনহেলেন হান্টের সাথে অভিনয় করেন। হান্টের চরিত্রে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় প্রসঙ্গে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখে তার অভিনয় "স্নেহসুলভ মজাদার"।[২] এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্যাটেলাইট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তী কালে তিনি লুইস ম্যান্ডকির অ্যাঞ্জেল আইজ (২০১১), রোমহর্ষক দ্য সাল্টন সি (২০০২), ডিভাইন সিক্রেটস্‌ অব দ্য ইয়া-ইয়া সিস্টারহুড (২০০২), গ্র্যান্ডমাস বয় (২০০৬), রেবেকা মিলারের দ্য প্রাইভেট লাইভস অব পিপ্পা লি (২০০৯), আওয়ার ইডিয়ট ব্রাদার (২০১১) এবং স্টিভেন কিঙের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র মার্সি (২০১৪) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করেন।[২]

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু

নাইট দুইবার বিয়ে করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে অভিনেতা ও প্রযোজক জিন পারসনকে বিয়ে করেন। ১৯৬৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[১] ১৯৬৯ সালে তিনি লেখক জন হপকিন্সকে বিয়ে করেন। হপকিন্স ১৯৯৮ সালে মারা যান। তার দুই কন্যা রয়েছে, তন্মধ্যে কেইটলিন হপকিন্স একজন অভিনেত্রী এবং সোফি হপকিন্স একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।[১১]

নাইট ২০২০ সালের ২২শে এপ্রিল ৮৩ বছর বয়সে টেক্সাসের স্যান মার্কোসে তার কন্যা কেইটলিন হপকিন্সের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[১২]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ


🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী