লীলা গগৈ

ভারতীয় ইতিহাসবেত্তা

লীলা গগৈ (অসমীয়া: লীলা গগৈ) একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, গ্রন্থকার ও শিক্ষাবিদ ছিলেন । তিনি অসম সাহিত্য সভার সম্পাদক, উপ সভাপতি, অসম প্রকাশন পরিষদের সদস্য, সর্বভারতীয় পাঠ্যপুথি প্রণয়ন ও কার্যকরী সমিতির সদস্য, সর্বভারতীয় পরিভাষা প্রণয়ন সমিতির সদস্য, অসম পাঠ্যপুথি প্রণয়ন ও প্রকাশন নিগমের সঞ্চালক ছিলেন। ১৯৯৪ সনে তিনি অসম সাহিত্য সভার মরিগাঁও অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন[১][২]

ড. লীলা গগৈ
জন্ম২৫ নভেম্বর, ১৯৩০ সন
চেরেকাপাড়, হাতীমূরীয়া গাওঁ, শিবসাগর
মৃত্যু২৩ জুলাই, ১৯৯৪
চেরেকাপাড়, শিবসাগর, আসাম
পেশাসহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, বুরঞ্জীবিদ, গন্থকার,
ভাষাঅসমীয়া ভাষা
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারত
শিক্ষাস্নাতকোত্তর, ডক্তরেট সম্মান।
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসীতানাথ ব্রহ্মচৌধুরী পুরস্কার
দাম্পত্যসঙ্গীচন্দ্রপ্রভা বুঢ়াগোহাঁই
সন্তানজুরি গগৈ, লনি গগৈ

জন্ম

শিবসাগর জেলার হাতিমুড়ীয়া গাঁওয়ের চেরেকাপাড়া নামক স্থানে ১৯৩০ সনের ২৫ নভেম্বর তারিখে লীলা গগৈ জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম ধনীরাম গগৈ ও মাতার নাম কমলা গগৈ। ১৯৬৫ সনে তিনি চন্দ্রপ্রভা বুঢ়াগোহাইয়ের সহিত বিবাহ করেন। তাঁদের দুইটি কন্যা সন্তান জুরি গগৈ ও লনি গগৈ[৩]

শিক্ষা

১৯৩৫ সনে তিনি চেরেকাপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা আরম্ভ করেন। ১৯৪৩ সনে শিবসাগর সরকারী মজলীয়া বিদ্যালয় থেকে উচ্চ গণিত ও উচ্চ অসমীয়া বিষয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি শিবসাগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নামভর্তি করেন ও ১৯৫০ সনে সংস্কৃত বিষয়ে লেটারসহ প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৩ সনে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আই.এ, ১৯৫৮ সনে প্রাইভেট শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ও ১৯৬২ সনে অসমীয়া সাহিত্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্মান লাভ করেন। ১৯৮২ সনে অসমীয়া ইতিহাস বিষয়ে সমালোচনাত্মক অধ্যয়ন বিষয়ের গবেষণার জন্য ডিব্রুগড় বিদ্যালয় থেকে ডক্তরেট সম্মান লাভ করেন[৩]

কর্মজীবন

১৯৫১ সনে তিনি শিবসাগর টাউন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। তারপর তিনি অসম সরকার বুরঞ্জী আরু পুরাতত্ব বিভাগ, আকাশবাণী গুয়াহাটিতে কার্যনির্বাহ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি গড়গাঁও মহাবিদ্যালয় ও শিবসাগর মহাবিদ্যালয়ে প্রবক্তা হিসেবে ও ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কার্যনির্বাহ করেছিলেন। ১৯৯০ সনে তিনি ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯১-১৯৯৩ সন পর্ষন্ত তিনি অসম সরকার বুরঞ্জী আরু পুরাতত্ব বিভাগে পুর্ণকালীন সঞ্চালক হিসেবে কার্যনির্বাহ করেছিলেন[৩]

প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ

  1. সীতানাথ ব্রহ্মচৌধুরী পুরস্কার
  2. সাহিত্য-কর্ম থেকে পুরস্কার নগদ ৫০০ টকা, (১৯৬৩)
  3. UNESCO এর থেকেসীমান্তর মাটি আরু মানুহ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার নগদ ১১০০ টকা, (১৯৬৫)

সাহিত্য কর্ম

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী