লীলাবতী মিত্র
লীলাবতী মিত্র (১৮৬৪ - ১৯২৪) ছিলেন বাঙালি সমাজসেবী [১] ও বাল্যবিধবাদের আশ্রয়স্থল।
লীলাবতী মিত্র | |
---|---|
জন্ম | লীলাবতী বসু ১৮৬৪ |
মৃত্যু | ১৯২৪ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | সমাজসেবা |
দাম্পত্য সঙ্গী | কৃষ্ণকুমার মিত্র |
পিতা-মাতা | রাজনারায়ণ বসু (পিতা) |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
লীলাবতী মিত্রের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বোড়ালে। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট ব্রাহ্ম নেতা, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ রাজনারায়ণ বসুর চতুর্থ কন্যা। তার পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সবকিছুই পিতার আদর্শে। তৎকালীন জাতীয়তাবাদী বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা - সঞ্জীবনী র প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য কৃষ্ণকুমার মিত্রের সঙ্গে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে তার ১৭ বৎসর বয়সে ব্রাহ্মরীতি অনুসারে বিবাহ হয়। সেই বিবাহ অনুষ্ঠানে তৎকালীন নরেন্দ্রনাথ দত্ত পরবর্তীতে স্বামী বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত দু-টি গান পরিবেশন করেছিলেন। [২]। বিবাহের পর তিনি সমাজসেবায় স্বামীর উৎসাহ লাভ করেন। নারী অধিকার রক্ষায় তার স্বামীর গঠিত নারী রক্ষা সমিতি-র প্রধান হন। ১৮৭২ সালে কেশব সেন অসবর্ণ বিবাহকে যখন বৈধ ঘোষণা করে বিশেষ বিবাহনীতি (তিন আইন) চালু করেন, তখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অসহায় বিধবাদের লীলাবতীর কাছে পাঠান যাতে তিনি তাদের পুনর্বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারেন। লীলাবতী সেসময় কম সাহসের পরিচয় দেননি। তিনি ১৮৮৩ থেকে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আটটি অসহায় বিধবার বিবাহ দিয়েছিলেন। [৩] বহু অসহায় নারী তার কাছে আশ্রয় লাভ করেছে। তার দিনপঞ্জি জীবন কথা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়েছে। লীলাবতী ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রয়াত হন। [১]