রোডস বৃত্তি
রোডস বৃত্তি (ইংরেজি: Rhodes Scholarship) যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্নাতকোত্তর বৃত্তি প্রদান প্রকল্প। বৃত্তিটি ১৯০২ সালে চালু করা হয়। এটি ইতিহাসের প্রথম বড় মাপের আন্তর্জাতিক বৃত্তি প্রদান প্রকল্প।[১] ইংরেজ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সেসিল রোডস এই বৃত্তিদান প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠা করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজিভাষী দেশগুলির মধ্যে একতায় উৎসাহ প্রদান করা এবং কর্মজীবনের অভিমুখ নির্বিশেষে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতে নাগরিক নেতৃত্ব দানের গুণাবলি ও নৈতিক সাহস প্রতিষ্ঠিত করা।[২] শুরুতে রোডস বৃত্তিটি কমনওয়েলথ সংস্থাভুক্ত দেশগুলির (সাথে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অন্তর্ভুক্ত ছিল) পুরুষ আবেদনপ্রার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট করা থাকলেও বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বত্র যেকোন পটভূমির আবেদনকারীর জন্য উন্মুক্ত।[৩] প্রাথমিকভাবে নারীদের সুযোগ না দেওয়া, প্রতিষ্ঠাতা রোডসের ইঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে এই বৃত্তিদান প্রকল্পটি বিতর্কিত।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/eb/Rhodes_House_Oxford_20040909.jpg/250px-Rhodes_House_Oxford_20040909.jpg)
রোডস বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট, বব হক ও ম্যালকম টার্নবুল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন, জাতিসংঘে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুজান রাইস এবং একাধিক নোবেল পুরস্কার বিজেতা।[৪] বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বৃত্তিটি প্রত্যাখ্যানও করেছেন।[৫]