রিমা দাস
রিমা দাস একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা যিনি তাঁর চলচ্চিত্র, ভিলেজ রকস্টার্স (২০১৭) [১][২][৩][৪] এর জন্য সর্বাধিক পরিচিত, তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন। [৫][৬] ২০১৮ এ ভারতের হয়ে তাঁর রচিত, পরিচালিত, সম্পাদিত ও প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি সেরা বিদেশী ভাষা চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার এর জন্য প্রতিযোগিতা করে । [৭][৮] ভারতের অন্যান্য ২৮ টি চলচ্চিত্রের থেকে বেছে নেওয়া ছবিটি অস্কার বিবেচনার জন্য জমা দেওয়া প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখর কাপুরের নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত জুরি কর্তৃক ১৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ঘোষিত সেরা চলচ্চিত্র এবং সেরা সম্পাদকের জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। [৯] জহ্নু বড়ুয়ার হালোধিয়া চোরায়ে বাধন খাই (বিপর্যয়) এর পরে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়া দ্বিতীয় অসমীয়া চলচ্চিত্র ভিলেজ রকস্টার্স । [১০] ছবিটিতে আসামের একটি গ্রামের ধুনু নামের একটি মেয়ে রয়েছে, যে গিটারের মালিক হওয়া এবং রক ব্যান্ড গঠনের স্বপ্ন দেখে ।
রিমা দাস | |
---|---|
![]() রিমা দাস, ২০১৮ এর মে | |
জন্ম | ১৯৮২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | কটন বিশ্ববিদ্যালয় পুনে বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ভিলেজ রকস্টার্স বুলবুল ক্যান সিং |
২০১৮ সালে, জিকিউ ইন্ডিয়া রিমা দাসকে ২০১৮ এর ৫০ জন প্রভাবশালী তরুণ ভারতীয়দের একজন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। [১১] ৩ ফেব্রুয়ারি শ্রীমন্ত শঙ্করদেব আন্তর্জাতিক মিলনায়তনে কৃষ্ণা কান্তা হ্যান্ডিকি রাজ্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (কেকেএসইউইউ) এর পক্ষ থেকে তৃতীয় সমাবর্তনে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। [১২]
পেশা
২০০৯ সালে রিমা দাস তাঁর প্রথম শর্ট ফিল্ম 'প্রথা' তৈরি করেছিলেন। [১০] তিনি তার প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অন্তর্দৃষ্টি (ম্যান উইথ দ্য বাইনোকুলারস) -তে কাজ শুরু করেছিলেন, ২০১৩ সালে কালার্দিয়ায় একটি ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরার মাধ্যমে শ্যুট করেছিলেন। ২০১৬ সালে, 'অন্তর্দৃষ্টি' কান চলচ্চিত্র উৎসব, মুম্বই ফিল্ম ফেস্টিভাল এবং এস্তোনিয়ায় টালিন ব্ল্যাক নাইট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছিল। [১৩][১৪] এটি এটি স্ব-শিক্ষিত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চেয়ে বেশি হিসাবে রিমা দাসের আগমনকে চিহ্নিত করেছে। তিনি একজন সর্বকাজে পারদর্শি মহিলা হিসাবে শিল্প নির্দেশনা এবং পোশাক ডিজাইনিংয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের লেখক, পরিচালনা, উৎপাদন, সম্পাদনা এবং শুটিংয়ের জন্য একাই কাজ করেছেন।
অন্তর্দৃষ্টি -র পরে রকস্টার তাঁর দ্বিতীয় ছবি। [১০] ২০১৮ সালে টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁর চলচ্চিত্র, বুলবুল ক্যান সিংয়ের প্রিমিয়ার হয়েছিল। [১৫] ২০১৯ সালে, তিনি তার প্রথম ডকুমেন্টারি ফিকশন 'সানশাইন ড্রিমারস' পরিচালনা করেন। [১৬] এটি ব্রিকসের সহ-প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিডস অ্যান্ড গ্লোরির সাথে তার সহযোগিতার ফলাফল। এই ডকুমেন্টারিতে তিনি প্রযোজক লু চুয়ান এবং সহযোগী ব্রিকস ডিরেক্টরস টিয়াগো আরাকিলিয়ান, নাস্তিয়া তারাসোভা, শেন ঝা কিং, শেন ভার্মুটেন এবং লু চুয়ানের সাথে কাজ করেছিলেন। [১৭]
চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনও ক্ষেত্রেই রিমা দাস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। [১০] তিনি বিশ্বাস করেন যে তার ক্যারিয়ারের জন্য এটি একটি প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে। তার নিজের কথায়, "আমি প্রশিক্ষিত নই এবং আমি কোনও ফিল্ম স্কুলে যাইনি একরকমভাবে এটাই আমাকে আরও অনুসন্ধান করতে এবং আমার দৃষ্টিভঙ্গি গড়তে সহায়তা করেছিল। সেটি লেখালিখিই হোক , আর নির্দেশনা, সিনেমাটোগ্রাফি বা সম্পাদনাই হোক, আমি পেশাদাররা যে পদ্ধতিটি অনুসরণ করি তা অনুসরণ করি নি। আমি আমার ভিতরের শিল্পকে আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছি এবং নিজের মত করে চলচ্চিত্র তৈরি করতে পারি। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র দেখা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং আমাকে বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণের একটি দৃষ্টিকোণ দিয়েছে। তবে আমি মনে করি আমার নিজস্ব অনন্য শৈলীটি আমাকে স্বতন্ত্র করেছে ।" [১৮]
ব্যক্তিগত জীবন
গুয়াহাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আসামের ছায়গাঁওয়ের কাছে কালারদিয়া গ্রামে তাঁর বেড়ে ওঠা। [১৮] তাঁর বাবা একজন শিক্ষক । তিনি পুনে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর অর্জনের পরে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) সম্পূর্ণকরেছেন। [১৮] তবে অভিনেতা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাকে ২০০৩ সালে মুম্বাইয়ে নিয়ে যায়। তিনি পৃথ্বী থিয়েটারে মঞ্চস্থ প্রেমচাঁদের গোদান সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তিনি পথিকৃৎ সত্যজিৎ রায়, ইঙ্গমার বার্গম্যান এবং মজিদ মজিদিদের সিনেমা দেখে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা কাটিয়েছেন। [১৯]
চলচ্চিত্রের তালিকা
আরও দেখুন
- মহিলা চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন পরিচালকদের তালিকা
- মহিলা পরিচালিত এলজিবিটি-সম্পর্কিত চলচ্চিত্রগুলির তালিকা