রিচার্ড বেঞ্জামিন

রিচার্ড স্যামুয়েল বেঞ্জামিন (ইংরেজি: Richard Samuel Benjamin; জন্ম: ২২শে মে ১৯৩৮) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।[১] অভিনয়ে অবদানের জন্য তিনি একবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেছেন।

রিচার্ড বেঞ্জামিন
Richard Benjamin
জন্ম
রিচার্ড স্যামুয়েল বেঞ্জামিন

(1938-05-22) ২২ মে ১৯৩৮ (বয়স ৮৬)
মাতৃশিক্ষায়তননর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেতা, পরিচালক
কর্মজীবন১৯৬২-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীপলা প্রেন্টিস (বি. ১৯৬১)
সন্তানরস বেঞ্জামিন (পুত্র)
প্রেন্টিস বেঞ্জামিন (কন্যা)
পুরস্কারগোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার

নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্ম নেওয়া বেঞ্জামিন নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন এবং সেখানে পড়াকালীন তিনি বিভিন্ন মঞ্চনাটকে কাজ করেন। তার অভিনীত প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক হল হি অ্যান্ড শি (১৯৬৭-৬৮)। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল গুডবাই, কলম্বাস (১৯৬৯),[২] ক্যাচ-টোয়েন্টি টু (১৯৭০), ওয়েস্টওয়ার্ল্ড (১৯৭৩)[৩]দ্য সানশাইন বয়েজ (১৯৭৫)।[৪] শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।

কয়েকটি টেলিভিশন নাটক পরিচালনার পর ১৯৮২ সালে হাস্যরসাত্মক মাই ফেভারিট ইয়ার চলচ্চিত্র দিয়ে তার পরিচালনায় অভিষেক হয়। পরিচালক হিসেবে তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল সিটি হিট (১৯৮৪), মেড ইন আমেরিকাদ্য মানি পিট (১৯৮৬)।

জীবনী

প্রারম্ভিক জীবন

রিচার্ড বেঞ্জামিন ১৯৩৮ সালের ২২শে মে নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্যামুয়েল রজার বেঞ্জামিন (১৯১০-১৯৯৭) ছিলেন একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং মাতা চেলসি অ্যাঞ্জেলিনা বেঞ্জামিন (জন্ম: রবার্টস; ১৯১৩-১৯৫৯) ছিলেন একজন গৃহকর্মী।[৫] তারা দুজনেই ইহুদি ছিলেন।[৬] রিচার্ড হাই স্কুল অব পারফরমিং আর্টসে পড়াশুনা করেন এবং পরে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি মঞ্চনাটকের সাথে যুক্ত হন এবং নর্থওয়েস্টার্ন থিয়েটার স্কুলে পড়াশুনা করেন।

বিবাহ ও অভিনয়ের সূচনা

১৯৬১ সালের ২৬শে অক্টোবর তিনি অভিনেত্রী পলা প্রেন্টিসকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রস বেঞ্জামিন ও প্রেন্টিস বেঞ্জামিন দুজনেই অভিনয়শিল্পী। বেঞ্জামিন ও প্রেন্টিস একসাথে টেলিভিশন ধারাবাহিক হি অ্যান্ড শি (১৯৬৭-১৯৬৮), জোসেফ হেলার রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ব্ল্যাক কমেডি যুদ্ধভিত্তিক ক্যাচ-টোয়েন্টি টু (১৯৭০) চলচ্চিত্র,[৭] অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র নো রুম টু রান (১৯৭৬) এবং ভীতিপ্রদ স্যাটারডে দ্য ফোরটিন (১৯৮১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি কোয়ার্ক টেলিভিশন ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।[৮]

পরিচালনা

বেঞ্জামিন পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র হাস্যরসাত্মক মাই ফেভারিট ইয়ার (১৯৮২) সমাদৃত হয়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পিটার ওটুল শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৯] বেঞ্জামিন পরবর্তীতে আরও কয়েকটি হলিউড চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন, যার বেশিরভাগই হাস্যরসাত্মক। তার পরিচালিত সিটি হিট (১৯৮৪)-এ অভিনয় করেন বার্ট রেলন্ডস ও ক্লিন্ট ইস্টউড এবং দ্য মানি পিট (১৯৮৬)-এ অভিনয় করেন টম হ্যাঙ্কস ও শেলি লং।[১০] ১৯৯০-এর দশকে তিনি মারমেইডস (১৯৯০) ও প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক মেড ইন আমেরিকা (১৯৯৩) চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী