রাস্কি সেতু

সেতুটি হলো বিশ্বের দীর্ঘতম তার সংযুক্ত সেতু যার প্রধান স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১,১০৪ মি (১,২০৭ গজ)। এছাড়া সেতুটির ৪র্থ উচ্চতম পিলার আছে ইয়াবুজ সুলতান সেতুর পর।সেতুটির নকশা নির্ধারিত হয়েছিল দুইটি প্রাথমিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করেঃ

সেতু পার করার অবস্থানে উপকূল থেকে উপকূলের মধ্যকার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দূরত্ব (১৪৬০ মিটার/৪৮০০ফুট)।জলযান চলাচলের উপযোগী গভীরতা ৫০ মিটার(১৬০ফুট) পর্যন্ত।

সেতু পার করার অবস্থানে নানারকম তীব্র জলবায়ুগত অবস্থা বিদ্যমান। যেমন- এখানে তাপমাত্রা -৩১°C থেকে ৩৭°C (-২৪°F থেকে ৯৯°F) পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়; ঝড়ে ৩৬ মি/সে (ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বা ৮১ মাইল) গতিসম্পন্ন বায়ু প্রবাহ হয় ও ৬মিটার (২০ ফূট) পর্যন্ত ঢেউ হয়।এছাড়া এখানে শীতকালে ৭০ সেমি (২৮ ইঞ্চি) পর্যন্ত পুরু বরফ সৃষ্টি হয়।

পিলার নির্মান

• স্প্যানসমূহের দৈর্ঘ্য : ৬০+৭২+৩x৮৪+১১০৪+৩x৮৪+৭২+৬০ মিটার
• সেতুর মোট দৈর্ঘ্য : ১,৮৮৫.৫৩ মিটার (৬,১৮৬.১ ফু)
• মধ্য স্প্যানের দৈর্ঘ্য : ১,১০৪ মিটার (৩,৬২২ ফু)
• সেতুর প্রসশস্ততা: ২৯.৫ মিটার (৯৭ ফু)
• রাস্তার প্রশস্ততা : ২৩.৮ মিটার (৭৮ ফু)
• লেনের সংখ্যা: ৪ (প্রতি দিকে দুটি করে)
• ডেকের উচ্চতা: ৭০ মিটার (২৩০ ফু)
• বড় পিলারের সংখ্যা: ২
• বড় পিলারগুলোর উচ্চতা: ৩২৪ মিটার (১,০৬৩ ফু)
• ক্যাবল বা তারে সংখ্যা: ১৬৮
• দীর্ঘতম তারারে দৈর্ঘ্য : ৫৭৯.৮৩ মিটার (১,৯০২.৩ ফু)
• ক্ষুদ্রতম তারের দৈর্ঘ্য : ১৩৫.৭৭১ মিটার (৪৪৫.৪৪ ফু)

• 
  নানারকম সেতুর সাথে তুলনা।