রামধারী সিং দিনকর

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

রামধারী সিং দিনকর" (২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯০৮ – ২৪শে এপ্রিল ১৯৭৪) একজন ভারতীয় হিন্দি কবি, প্রাবন্ধিক, দেশপ্রেমিক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন,[১] যাঁকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিন্দি কবি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে রচিত তার জাতীয়তাবাদী কবিতার জন্য তাকে বিদ্রোহী কবি হিসাবে স্মরণ করা হয়। তার কবিতা বীর রস দ্বারা উজ্জীবিত হয়েছে এবং তার অনুপ্রেরণামূলক দেশাত্মবোধক রচনার জন্য তাকে রাষ্ট্রকবি ("জাতীয় কবি") হিসাবে প্রশংসিত করা হয়েছে।[২] তার সময়কালে তিনি হিন্দি কবি সম্মিলনের একজন নিয়মিত কবি ছিলেন এবং রুশদের কাছে পুশকিন যেমন জনপ্রিয়, তেমনি হিন্দি ভাষী কবিতা প্রেমীদের কাছে তিনি জনপ্রিয় ও সংযুক্ত ছিলেন।[৩]

রামধারী সিং দিনকর
১৯৯৯ সালের ভারতের ডাকটিকিটে রামধারী সিং দিনকর
১৯৯৯ সালের ভারতের ডাকটিকিটে রামধারী সিং দিনকর
জন্মরামধারী সিং দিনকর
(১৯০৮-০৯-২৩)২৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৮
সিমারিয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ
(এখন বিহার,ভারত)
মৃত্যু২৪ এপ্রিল ১৯৭৪(1974-04-24) (বয়স ৬৫)
পেশাকবি, মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, প্রবন্ধকার, সাহিত্য সমালোচনা।সাহিত্য সমালোচক, সাংবাদিক, বিদ্রুপাত্মক সাহিত্য-রচয়িতা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার১৯৫৯: সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার
১৯৫৯: পদ্মভূষণ
১৯৭২: জ্ঞানপীঠ পুরস্কার

স্বাক্ষর

দিনকর ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথমদিকে বিপ্লবী আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। পরে তিনি একজন গান্ধীবাদী হয়ে ওঠেন। তবে তিনি নিজেকে "খারাপ গান্ধীবাদী" বলতেন কারণ তিনি যুবকদের মধ্যে ক্রোধ ও প্রতিশোধের অনুভূতিকে সমর্থন করেছিলেন।[৪] তিনি 'কুরুক্ষেত্র' যুদ্ধকে ধ্বংসাত্মক বলে স্বীকার করেছিলেন। তবে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এটি স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। তিনি তৎকালীন বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী যেমন রাজেন্দ্র প্রসাদ, অনুগ্রহ নারায়ণ সিনহা, শ্রী কৃষ্ণ সিনহা, রামবৃক্ষ বেনিপুরী এবং ব্রজ কিশোর প্রসাদের মত মানুষদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

দিনকর তিনবার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি ৩রা এপ্রিল ১৯৫২ থেকে ২৬শে জানুয়ারি ১৯৬৪ পর্যন্ত ঐ সংসদের সদস্য ছিলেন।[৪] তিনি ১৯৫৯ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।[৪] ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরও (ভাগলপুর, বিহার) উপাচার্য ছিলেন।

জরুরী অবস্থার সময়, জয়প্রকাশ নারায়ণ রামলীলা ময়দানের এক সভায় এক লক্ষ লোকের সামনে দিনকরের একটি বিখ্যাত কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন: সিংহাসন খালি করো কে জনতা আতি হ্যায় ("সিংহাসনটি খালি করো, জনতা আসছে")।[৫]

জীবনী

২৩শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৮ সালে, ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত সিমারিয়া গ্রামে, দিনকরের জন্ম হয় (এখন বিহার এর বেগুসরাই জেলায়)।[৬] তার পিতা মাতার নাম ছিল যথাক্রমে বাবু রবি সিং এবং মনরূপ দেবী। তার বিবাহ হয়েছিল বিহারের সমস্তিপুর জেলার তাবকা গ্রামে। ছাত্র হিসাবে তার প্রিয় বিষয় ছিল ইতিহাস, রাজনীতি এবং দর্শন। স্কুলে এবং পরে কলেজে তিনি হিন্দি, সংস্কৃত, মৈথিলী, বাংলা, উর্দু এবং ইংরেজি সাহিত্য পড়েন। দিনকর নিজে ইকবাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কিটস এবং মিলটন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা বাংলা থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করেন।[৭] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালীন জীবনের চাপ ও পাল্টা চাপের ফলাফলে কবি দিনকরের কাব্যিক ব্যক্তিত্ব রূপ নিয়েছিল।[৪][৬] ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতা, ঝকঝকে চেহারা, দীর্ঘ উচ্চ নাক, বড় কান এবং প্রশস্ত কপাল নিয়ে, তিনি একটি লক্ষণীয় চেহারার অধিকারী ছিলেন।[৪][৬]

শিক্ষার্থী হিসাবে দিনকরকে দিনের পর দিন দিনগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল, তার মধ্যে কিছু ছিল তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত। যখন তিনি মোকামা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, তখন চারটাতে বিদ্যালয়ে ছুটি না হওয়া অবধি তার পক্ষে থাকা সম্ভব ছিল না।[৬] বাড়ি ফেরার স্টিমার ধরার জন্য মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরেই তাকে পড়া ছেড়ে চলে যেতে হত।[৬] ছাত্রাবাসে থাকার সামর্থ্য তার ছিল না, থাকতে পারলে তিনি পুরো সময় পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারতেন।[৬] যে ছাত্রের পায়ে জুতো নেই সে কীভাবে ছাত্রাবাসের বেতন দিতে পারে? পরে তার কবিতায় দারিদ্র্যের প্রভাব দেখা গিয়েছিল।[৬] এই পরিবেশেই দিনকর বড় হয়েছিলেন এবং কট্টরপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয়তাবাদী কবি হয়েছিলেন।[৬] ১৯২০ সালে দিনকর প্রথমবারের জন্য মহাত্মা গান্ধীকে দেখেছিলেন।[৬] প্রায় এই সময়েই, তিনি সিমারিয়ায় মনোরঞ্জন গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] তিনি একটি হস্তলিখিত পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।[৬]

সৃজনী সংগ্রাম

যখন দিনকর তার কৈশোরে পা রেখেছেন, ততদিনে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল।[৬] ১৯২৯ সালে,ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরে, যখন তিনি ইন্টারমিডিয়েট পড়ার জন্য পাটনা কলেজে ভর্তি হন; তখন এই আন্দোলন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে শুরু করে।[৬] ১৯২৮ সালে, যার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, সেই সাইমন কমিশন এসে পৌঁছোয়।[৬] পাটনাতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল এবং দিনকর শপথপত্রে স্বাক্ষর করেন।[৬] গান্ধী ময়দানের সমাবেশে হাজার হাজার লোকের জমায়েত হয়েছিল, সেখানে দিনকরও অংশ নিয়েছিলেন।[৬] সাইমন কমিশন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময়, ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ নির্লজ্জভাবে পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রায়কে লাঠিপেটা করে, তিনি আহত হয়ে পরে মারা যান।[৬] গোটা দেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।[৬] এই আন্দোলনের কারণে দিনকরের যুবমন ক্রমশ কট্টরপন্থী হয়ে উঠতে থাকে। তার সংবেদনশীল প্রকৃতি কাব্যিক শক্তিতে ভরে ওঠে।[৬]

দিনকরের প্রথম কবিতা ১৯২৪ সালে 'ছাত্র সহোদর' (ছাত্রদের ভাই) নামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছাত্র সহোদর ছিল নরসিংহ দাসের সম্পাদনায় প্রতিষ্ঠিত একটি স্থানীয় সংবাদপত্র।[৬] ১৯২৮ সালে, গুজরাতের বারদোলিতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে কৃষকদের সত্যাগ্রহ আন্দোলন সফল হয়েছিল।[৬] তিনি এই সত্যাগ্রহের উপর ভিত্তি করে দশটি কবিতা লিখেছিলেন যা 'বিজয়-সন্দেশ' (বিজয়ের বার্তা) শিরোনামে একটি বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।[৬] এই রচনাটি এখন পাওয়া যায়।[৬] পাটনা কলেজের ঠিক সামনে "যুবক" এর কার্যালয় চলত।[৬] সরকারের ক্রোধ থেকে বাঁচতে দিনকর তার কবিতাগুলি "অমিতাভ" ছদ্মনামে প্রকাশ করেছিলেন।[৬] ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯২৮ তারিখে শহীদ যতীন দাসকে নিয়ে তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল।[৬] এই সময়ে তিনি বীরবালা এবং মেঘনাদ-বধ নামে দুটি ছোট কাব্য রচনা করেছিলেন, তবে এ দুটির কোনটিই এখন পাওয়া যায় না।[৬] ১৯৩০ সালে তিনি 'প্রাণ-ভঙ্গ' (প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ) নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। রামচন্দ্র শুক্লা তার ইতিহাসে এটির উল্লেখ করেছিলেন।[৬] সুতরাং তার কাব্যজীবনের যাত্রা বিজয়-সন্দেশ দিয়ে শুরু হয়েছে বলে মনে করা যায়।[৬] এর আগে তার কবিতাগুলি পাটনা থেকে প্রকাশিত দেশ এবং কনৌজ থেকে প্রকাশিত প্রতিভা পত্রিকার প্রায়শই প্রকাশিত হত।[৬]

দিনকরের প্রথম কাব্যসংগ্রহ রেণুকা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৫ সালের নভেম্বর মাসে।[৬] বিশাল ভারত এর সম্পাদক বেনারসি দাস চতুর্বেদী লিখেছেন যে হিন্দি ভাষী লোকেদের রেণুকার প্রকাশনা উদযাপন করা উচিত।[৬] এই সময়ে, চতুর্বেদীজী সেবাগ্রাম এ গিয়েছিলেন।[৬] তিনি তার সাথে রেণুকার একটি অনুলিপি নিয়েছিলেন।[৬] অনুলিপিটি মহাত্মা গান্ধীকে দেওয়া হয়েছিল।[৬]

বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. কাশী প্রসাদ জয়সওয়াল তাকে ছেলের মতো ভালোবাসতেন। দিনকরের কাব্যজীবনের প্রথম দিনগুলিতে জয়সওয়াল তাকে সর্ববিষয়ে সাহায্য করেছিলেন।[৬] ১৯৩৭ সালের ৪ আগস্ট জয়সওয়ালের মৃত্যু তরুণ কবির জন্য এক বিরাট আঘাত হয়ে এসেছিল। [৬] অনেক পরে হায়দ্রাবাদ থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকা কল্পনাতে তিনি লিখেছিলেন, "জয়সওয়ালজি আমার প্রথম প্রশংসক ছিলেন এটা আমার জন্য খুব ভাল বিষয় ছিল। এখন যখন আমি সূর্য, চাঁদ, বরুণ, কুবের, ইন্দ্র, বৃহস্পতি, শচী এবং ব্রাহ্মণীর ভালবাসা এবং উৎসাহকে উপলব্ধি করেছি, তখন স্পষ্টই বুঝতে পারছি যে এগুলির কোনওটিই জয়সওয়ালজির মতো ছিল না। যখন আমি তাঁর মৃত্যুর খবর শুনেছিলাম, আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে উঠেছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করতে হবে।"[৬] আসলে জয়সওয়ালজিই প্রথম ব্যক্তি যিনি দিনকরের কবিতায় ঐতিহাসিকবোধের প্রশংসা করেছিলেন।[৬]

লেখা

তার রচনাগুলি বেশিরভাগ 'বীর রস' বা 'সাহসী ধরন' এর, যদিও উর্বশী এর ব্যতিক্রম। তার কয়েকটি শ্রেষ্ঠ রচনা হল রশ্মিরথী এবং পরশুরাম কী প্রতীক্ষা। ভূষণের পর তিনিই বীর রসের সর্বকালের সেরা হিন্দি কবি হিসাবে প্রশংসিত।[৪]

আচার্য হাজারী প্রসাদ দ্বিবেদী লিখেছেন যে যাদের মাতৃভাষা হিন্দি ছিল না, তাদের মধ্যে তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন এবং তিনি নিজের মাতৃভাষার প্রতি ভালবাসার প্রতীক ছিলেন।[৮] হরিবংশ রাই বচ্চন লিখেছিলেন যে তাকে যথাযথ সম্মান দিতে, তার চারটি ভারতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাওয়া উচিত - কবিতা, গদ্য, ভাষা এবং তার হিন্দির প্রতি সেবার জন্য।[৮] রামবৃক্ষ বেনিপুরী লিখেছেন যে দিনকর দেশের বিপ্লবী আন্দোলনের একটি কণ্ঠ।[৮] নামভর সিং লিখেছিলেন যে তিনি সত্যই তার বয়সের সূর্য ছিলেন।[৮]

হিন্দি লেখক রাজেন্দ্র যাদব, যাঁর উপন্যাস 'সারা আকাশ' এ দিনকরের কবিতার কয়েকটি পঙ্‌ক্তি রয়েছে, তার সম্পর্কে বলেছেন তাঁর লেখা পড়ে সর্বদা খুব অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। তাঁর কবিতা নতুন করে জেগে ওঠার বিষয়ে। তিনি প্রায়শই হিন্দু পুরাণের গভীরে চলে গেছেন এবং কর্ণের মতো মহাকাব্যের নায়কদের উল্লেখ করেছেন।[৯] সুপরিচিত হিন্দি লেখক কাশিনাথ সিং বলেছেন তিনি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এবং জাতীয়তাবাদের কবি ছিলেন।[৯]

তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যঙ্গকাহিনী লিখেছিলেন,[১০] যার লক্ষ্য ছিল আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং সুবিধাবঞ্চিতদের শোষণ।[১০]

একজন প্রগতিশীল এবং মানবতাবাদী কবি হিসেবে, তিনি ইতিহাস এবং বাস্তবের কাছে সরাসরি পৌঁছোনো পছন্দ করেছিলেন এবং তার কবিতায় অলঙ্কারপূর্ণ রচনাশৈলীর সাথে তেজপূর্ণ বক্তৃতা মিশ্রিত হয়েছে। উর্বশীর মূলভাবটি আবর্তিত হয়েছে আধ্যাত্মিক তলে প্রেম, আবেগ এবং পুরুষ এবং মহিলার সম্পর্ককে ঘিরে, যা তাদের পার্থিব সম্পর্ক থেকে আলাদা।[১১]

তার কুরুক্ষেত্র রচনাটি মহাভারতের শান্তি পর্ব অবলম্বনে একটি আখ্যান কবিতা।[১২] এটি এমন এক সময়ে লেখা হয়েছিল যখন কবির মনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি তাজা ছিল।[১২]

মহাভারতে যে ঘটনাগুলি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরিণতি দিয়েছিল, সেগুলি নিয়ে লেখা তার কবিতা কৃষ্ণ কি চেতাবনী। তার কবিতার একটি সংকলন সমধেনি, যেখানে কবির সামাজিক উদ্বেগ জাতির সীমা অতিক্রম করে প্রতিফলিত হয়েছে।[১২]

তার রশ্মীরথী হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম সেরা সংস্করণ হিসাবে বিবেচিত।

সংস্কৃতি কে চার অধ্যায়

তার 'সংস্কৃতি কে চার অধ্যায়'তে, তিনি বলেছেন যে, বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষাসমূহ এবং ভূসংস্থান সত্ত্বেও, ভারত ঐক্যবদ্ধ, কারণ "যতই আমরা আলাদা হই, আমাদের চিন্তাভাবনা এক এবং সমান"।[১৩] ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি সরাসরি বোঝার জন্য 'দিনকর' ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রধান চারটি বিবাদের মুখোমুখি করেছেন, যেগুলি হল: আদিম অধিবাসী এবং আর্যদের মধ্যে বিভেদ; বৈদিক বিশ্বাস এবং মহাবীরবুদ্ধের প্রচারিত দর্শনের বিভেদ; হিন্দুধর্ম এবং ইসলামের বিভেদ; এবং অবশেষে ইউরোপীয় সভ্যতা এবং ভারতীয় জীবনযাত্রার এবং শেখার পদ্ধতির মধ্যে বিভেদ।[১৪] ইতিহাসের বিভিন্ন সময়কালে এই বিবাদগুলি ভারতের সংস্কৃতিতে শক্তি জুগিয়েছে।[১৪] ভারতের সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যটি হল এর সহিষ্ণুতা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা বিশ্বের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।[১৪]

ইতিহাস নিছক সত্যের সংকলন নয়।[৬] ইতিহাস একটি আদর্শগত দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত হয়।[৬] কবি দিনকর স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মূল্যবোধের প্রসঙ্গে সংস্কৃতি কে চার অধ্যায় লিখেছিলেন।[৬] ইতিহাসের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের প্রচারিত জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দিনকর সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত করেছিলেন।[৬] স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যে মূল্যবোধগুলি বিকশিত হয়েছিল সেগুলি দিয়ে এই বইয়ের প্রেক্ষাপট নির্ধারিত হয়েছে।[৬] এই মূল্যবোধগুলি হল উপনিবেশবাদবিরোধী, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এবং সংহত সংস্কৃতির ধারণা।[৬] এই বইটি এই মূল্যবোধগুলিকে ঘিরেই রচিত হয়েছে। দিনকর হলেন ভারতের সংস্কৃতির জাতীয়তাবাদী ইতিহাসবিদ।[৬]

বইটি চারটি বিশাল অধ্যায়ে বিভক্ত, প্রথম অধ্যায়ে, প্রাক-বৈদিক সময় থেকে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভারতের সংস্কৃতির রূপ ও বিকাশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।[৬] দ্বিতীয় অধ্যায়ে, প্রাচীন হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের প্রসার হয়েছিল কীভাবে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।[৬] তৃতীয় অধ্যায়ে, হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের উপর ইসলাম প্রভাবের পাশাপাশি হিন্দু সংস্কৃতি, যেমন – প্রকৃতি, ভাষা, শিল্প ও সংস্কৃতিতে ইসলামের প্রভাব আলোচনা করা হয়েছে।[৬] এই অধ্যায়ে ভক্তি আন্দোলন এবং ইসলামের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের একটি খুব প্রামাণিক অন্বেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে।[৬] এই প্রসঙ্গে, ভারতের সংস্কৃতি কীভাবে একীভূত রূপ অর্জন করেছে তাও বিবেচিত হয়েছে।[৬] চতুর্থ অধ্যায়ে, ভারতে ইউরোপীয়দের আগমনকাল থেকেই শিক্ষার ঔপনিবেশিককরণ এবং হিন্দু ধর্ম ইত্যাদির সাথে খ্রিস্টান ধর্মের সংঘাতের এক বিস্তৃত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।[৬] এই অধ্যায়ে ১৯ শতকের রেনেসাঁ সম্পর্কে অনুসন্ধানের পাশাপাশি, রেনেসাঁতে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অবদানগুলি ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে।[৬] এই অধ্যায়ের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল হিন্দু রেনেসাঁ এবং এর সাথে মুসলিম রেনেসাঁ ও তার সীমাবদ্ধতার একটি তথ্যবহুল বিবরণ উপস্থাপন করা হয়েছে।[৬][১৪]

দিনকর :

বিভিন্ন জাতি, ভাষা এবং ধর্মের লোকদের মধ্যে আন্তঃ-মিশ্রণ এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির উদাহরণ অন্য কয়েকটি দেশেও উপলব্ধ (যেমন মেক্সিকো এবং প্রাচীন গ্রীস), তবে তা ভারতের মতো নয়। বিশ্বে মানুষের চারটি বর্ণ রয়েছে - সাদা, গমের বর্ণ যুক্ত, কালো এবং হলুদাভ – এবং চারটিই ভারতীয় জনগণের মধ্যে আন্তঃমিশ্রিত। এমনকি ভাষাতাত্ত্বিকভাবেও, সমস্ত প্রধান ভাষা থেকে জন্ম নেওয়া বিভিন্ন ভাষার মানুষ এদেশে একত্রে বাস করে। ধর্ম হিসাবে, শুরু থেকেই সমগ্র ভারত সর্বদা পৃথিবীর সমস্ত বড় ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি সমভূমি। ইংল্যান্ডের মানুষের অনেক আগেই ত্রিভাঙ্কুরের ভারতীয়রা খ্রিস্টান হয়েছিল, এবং সম্ভবত মুহাম্মাদ বেঁচে থাকাকালীনই মোপলাসদের মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রবেশ ঘটেছিল। একইভাবে, জোরোস্টারের অনুসারীরা দশম শতাব্দী থেকেই ভারতে বসতি স্থাপন করে আসছে। আরব মুসলমানরা যখন ইরান দখল করে সেখানে তাদের নিজস্ব ধর্ম প্রচার করতে শুরু করেছিল, সেখানকার পারসি সম্প্রদায় ইরান থেকে পালিয়ে এসে ভারতে বসতি স্থাপন করে। যখন ইহুদি মন্দিরগুলি রোমান অত্যাচারে ধ্বংস হতে থাকে, বহু ইহুদি তাদের ধর্মবিশ্বাস বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছিল, এবং তখন থেকেই তারা দক্ষিণ ভারতে সুখে বসবাস করছে। সুতরাং, খ্রিস্টান, ইসলাম, ইহুদি এবং পারসি ধর্মাবলম্বীদেরও ভারতবর্ষের ওপর হিন্দুধর্ম বা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মত সমান দাবী আছে।

ভারতের পূর্ববর্তী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক অনুঘটক প্রক্রিয়ায় গঠন দিনকর প্রস্তাবিতভাবে চারটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব এবং গুণগত প্রবণতার পণ্য হিসাবে অঙ্কিত করেছেন: (ক) আর্য-দ্রাবিড় (মঙ্গোলয়েড) জাতিগত সমষ্টি এবং ইন্দো-ইউরোপীয়/দ্রাবিড়িয়ান/(তিব্বত-বর্মা) ভাষাগত সংমিশ্রণ, আগ্রাসন এবং রূপান্তর; (খ) বৈদিক বা ব্রাহ্মণীয় মূলভিত্তিক বিশ্বদর্শন এবং জৈন, বৌদ্ধ, ভক্তি, শিখ, সুফি, এবং বিভিন্ন ধরনের নব্য-হিন্দু সংস্কার আন্দোলন; (গ) হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ, যুগপৎ অবস্থান, এবং অভিস্রাবণ; এবং (ঘ) ভারত-ইউরোপ যোগাযোগ এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ভারত বিজয়।[১৫] দিনকরের ইতিহাস লিখনধারায় ভারতের সম্মিলিত সংস্কৃতির বিস্তৃত সর্বদিক পরিদর্শন এক হিসেবে ডারউইনীয় বিবর্তনবাদের প্রান্তস্থিত হয়ে আছে।[১৫] দিনকরের কল্পনায় ভারতের ধারণা স্মরণ করিয়ে দেয় আমেরিকান অন্তর্ভুক্ত জাতীয়তাবাদের 'মেল্টিং পট' (গলিত পাত্র) গঠন।[১৫]

প্রধান কাব্য রচনাসমগ্র

দিনকরের প্রথম প্রকাশিত কাব্য রচনাটি বিজয় সন্দেশ (১৯২৮)। তার অন্যান্য কাজগুলি হল:

  • প্রাণ-ভঙ্গ (১৯২৯)
  • রেণুকা (১৯৩৫)
  • হুঙ্কার (মহাকাব্য) (১৯৩৮)
  • রসবন্তী (১৯৩৯)
  • দ্বন্দ্বগীত (১৯৪০)
  • কুরুক্ষেত্র (১৯৪৬)
  • ধূপ ছায় (১৯৪৬)
  • সামধেনি (১৯৪৭)
  • বাপু (১৯৪৭)
  • ইতিহাস কে আঁশু (১৯৫১)
  • ধূপ অর ধুঁয়া (১৯৫১)
  • মির্চ কা মজা (১৯৫১)
  • রশ্মিরথী (১৯৫২)
  • দিল্লি (১৯৫৪)
  • নিম কে পত্তে (১৯৫৪)
  • সুরজ কা বিয়া (১৯৫৫)
  • নীল কুসুম (১৯৫৪)
  • চক্রভাল (১৯৫৬)
  • কবিশ্রী (১৯৫৭)
  • সিপি ঔর শঙ্খ (১৯৫৭)
  • নয়ে সুভাষিত (১৯৫৭)
  • রামধারী সিং দিনকর'
  • ঊর্বশী (১৯৬১)
  • পরশুরাম কি প্রতিক্ষা (১৯৬৩)
  • কয়লা ঔর কবিত্ব (১৯৬৪)
  • মৃত্তি তিলক (১৯৬৪)
  • আত্মা কি আঁখে (১৯৬৪)
  • হরে কো হরিনাম (১৯৭০)
  • ভগবান কে ডাকিয়ে(১৯৭০)

সঞ্চয়ন

  • লোকপ্রিয় কবি দিনকর (১৯৬০)
  • দিনকর কি সুক্তিয়াঁ (১৯৬৪)
  • দিনকর কে গীত (১৯৭৩)
  • সঞ্চয়িতা (১৯৭৩)
  • রশ্মিলোক (১৯৭৪)
  • উর্বশী তথা অন্য শৃংগারিক কবিতায়েঁ (১৯৭৪)
  • অমৃতমন্থন, লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • ভগ্ন বিনা, লোকভারতী প্রকাশন, নয়াদিল্লি, ২০০৮।
  • সপ্নোঁ কা কা ধুঁয়া, লোকভারতী প্রকাশন, নয়াদিল্লি, ২০০৮।
  • সমানান্তর, লোকভারতী প্রকাশন, নয়াদিল্লি, ২০০৮।
  • রশ্মিমালা, লোকভারতী প্রকাশন, নয়াদিল্লি, ২০০৮।

গদ্যপ্রধান রচনাগুলি

  • মিট্টি কি ঔর (১৯৪৬)
  • চিত্তৌর কা সাকা(১৯৪৮)
  • অর্ধনারীশ্বর (১৯৫২)
  • রেতি কি ফুল (১৯৫৪)
  • হামারি সংস্কৃতিক একতা (১৯৫৪)
  • ভারত কী সাংস্কৃতিক কাহানী (১৯৫৫)
  • রাষ্ট্রভাষা ঔর রাষ্ট্রীয় একতা (১৯৫৫)
  • উজলি আগ (১৯৫৬)
  • সংস্কৃতি কে চার অধ্যায়(১৯৫৬)
  • কাব্য কি ভূমিকা (১৯৫৮)
  • পন্ত, প্রসাদ ঔর মৈথিলিশরণ (১৯৫৮)
  • বেনু বান (১৯৫৮)
  • ধর্ম, নৈতিকতা ঔর বিজ্ঞান (১৯৫৯)
  • বট-পীপল (১৯৬১)
  • লোকদেব নেহরু (১৯৬৫)
  • শুদ্ধ কবিতা কি খোজ (১৯৬৬)
  • সাহিত্যমুখী (১৯৬৮)
  • হে রাম! (১৯৬৮)
  • স্মরণ ঔর শ্রদ্ধাঞ্জলিয়াঁ (১৯৭০)
  • মেরী যাত্রায়েঁ (১৯৭১)
  • ভারতীয় একতা (১৯৭১)
  • দিনকর কি ডায়েরী (১৯৭৩)
  • চেতনা কি শিলা (১৯৭৩)
  • বিবাহ কি মুসিবতেঁ (১৯৭৩) এবং
  • আধুনিক বোধ (১৯৭৩)।

সাহিত্য সমালোচনা

  • সাহিত্য ঔর সমাজ, লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • চিন্তন কে আয়াম , লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • কবি ঔর কবিতা , লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • সংস্কৃতি ভাষা অর রাষ্ট্র , লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • কবিতা অর শুদ্ধ কবিতা , লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।

জীবনীসমূহ

  • শ্রী অরবিন্দ: মেরি দৃষ্টি মেঁ, লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • পণ্ডিত নেহেরু ঔর অন্য মহাপুরুষ , লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • স্মরণাঞ্জলি , লোকভারতী প্রকাশন, নতুনদিল্লি, ২০০৮।
  • দিনকরনামা , ডাঃ দিবাকর, ২০০৮।

অনুবাদসমূহ

হিন্দি এবং অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ

  • দিনকরের উর্বশী: এ সাগা অব হিউম্যান লাভ অ্যান্ড বেদান্ত। অনুবাদ করেছেন কৃষ্ণ কুমার বিদ্যার্থী। (নতুনদিল্লি: সিদ্ধার্থ পাবলিকেশনস, ১৯৯৪)। ১৬৫ পৃষ্ঠা)
  • রিফ্লেকশনস অন মেন অ্যান্ড থিংগস (প্রবন্ধ)। (আজমের: কৃষ্ণা ব্রাদার্স, ১৯৬৮। ৮০ পৃষ্ঠা।)
  • কুরুক্ষেত্র। অনুবাদক আর.কে. কাপুর। লন্ডন: এন.পি., ১৯৬৭।
  • [রশ্মিরথি] সূর্য সারথী। অনুবাদক আর. ডি. ডুন্ডা, ডি. নেলসন এবং পি. স্ট্যানস্লো। (মিনেসোটা: নাগারি প্রেস, ১৯৮১।)
  • ভয়েসেস অব হিমালয়াস: কবিতা। অনুবাদক লেখক, কমলা রত্নম, ভি.কে. গোকক এবং অন্যান্য। (বোম্বাই: এশিয়া পাবলিশিং হাউস, ১৯৬৬। ৭০ পৃষ্ঠা)
  • হিমালয় ক্সোট্রোস কবিতা (স্প্যানিশ), ত্রিশটি কবিতার সংকলন, প্রকাশক - ইউনিভার্সিটি অফ কনসিয়ন, চিলি।
  • সাইনিং পোটোস [ব্লু লোটাস] (রাশিয়ান), ষাটটি কবিতার সংগ্রহ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, রাশিয়া
  • কুরুক্ষেত্র: অ্যান আফটারমাথ অব ওয়ার, এ নিউ সার্চ ফর পিস ফ্রম দ্য ক্লাসিকাল থট : লাইট রেডিয়েটস থ্রু ডায়ালগ; অনুবাদ করেছেন উইনান্ড এম কল্যাওয়ার্ট, পি আডেসওয়ার রাও; হেরিটেজ প্রকাশনা বিভাগ, ১৯৯৫।
  • রামধারী সিং দিনকর, রিফ্লেকশনস অন মেন অ্যান্ড থিংগস, কৃষ্ণা ব্রাদার্স।, ১৯৬৮।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Jnanpith Awardটেমপ্লেট:Sahitya Akademi Award For Hindi

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী