রানীক্ষেত
ভারতের উত্তরাখন্ডের আলমোরা জেলার অন্তর্গত রানীক্ষেত একটি শৈল এবং সেনানিবাস শহর।
| রানীক্ষেত रानीखेत রানীর ক্ষেত্র | |
|---|---|
| শহর | |
 রাতের রানীক্ষেত | |
| ডাকনাম: রানীক্ষেত | |
  রানীক্ষেত  রানীক্ষেত | |
| স্থানাঙ্ক: ২৯°৩৯′ উত্তর ৭৯°২৫′ পূর্ব / ২৯.৬৫° উত্তর ৭৯.৪২° পূর্ব | |
| দেশ |  ভারত |
| রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
| জেলা | আলমোড়া |
| উচ্চতা | ১,৮৬৯ মিটার (৬,১৩২ ফুট) |
| জনসংখ্যা (২০১২) | |
| • মোট | ৫৫,০০০ |
| ভাষাসমূহ | |
| • সরকারী | হিন্দী, কুমায়ুনী, সংস্কৃত |
| • স্থানীয় | কুমায়ুনী |
| সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
| যানবাহন নিবন্ধন | ইউ কে ০১ |
| ওয়েবসাইট | uk |
রানীক্ষেতের উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ১,৮৬৯ মিটার (৬,১৩২ ফু) এবং হিমালয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিখরের দৃষ্টিমধ্যে।
রানীক্ষেত নেপালী শাসনাধীন ছিল, এবং ১৮১৬ -র কাছাকাছি সময়ে ব্রিটিশদের সহায়তায়, কুমায়ুনীরা (কুমায়ুন অঞ্চলের মানুষ) তাদের সক্ষম জেনারেল কাশীনাথ অধিকারীর নেতৃত্বে এটি জেতেন – যার নামে কাশীপুর টাউনের নামকরণ হয় (যেটি কোন এক সময়ে পাহাড়ের মুখ্য প্রবেশদ্বার ছিল এবং বর্তমানে একটি শিক্ষামূলক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্র।) – এখন এটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত।
ইতিহাস
রানীক্ষেত, যার মানে হিন্দিতে রানীর তৃণভূমি, এটি একটি স্থানীয় কিংবদন্তি থেকে নামকরণ হয়, যে এখানে, রাজা সুধরদেব তার রানী পদ্মিনীর হৃদয় জয় করেছিলেন, যিনি পরবর্তীকালে তার বসবাসের জন্য এই স্থানটি বেছে নেন, এটির নাম দেন, রানীক্ষেত,[১] যদিও এখানে কোন প্রাসাদ নেই। ভারতীয় গ্রীষ্মের তাপ থেকে বাঁচবার জন্য এই শৈলশহরটি ব্যবহার করত।
ভৌগোলিক উপাত্ত
রানীক্ষেতের গড় উচ্চতা১,৮৬৯ মি (৬,১৩২ ফু)। গ্রামের জলবায়ু খুবই শীতল। সেনানিবাস, দুটি ঢালু জুড়ে ছড়িয়ে আছে, প্রথমটি, ৫,৯৮৩ ফু (১,৮২৪ মি) উচ্চতায় রানিক্ষেত শৈলশিরা এবং দ্বিতীয়টি ৬,৯৪২ ফু (২,১১৬ মি) উচ্চতায়, চৌবাতিয়া শৈলশিরা।
সামরিক গুরুত্ব
১৯১৭ সালে [২] ব্রিটিশরা এখানে কুমায়েন রেজিমেন্টের সদর দপ্তরটি প্রতিষ্ঠা করে । কুমায়েন রেজিমেন্টে প্রথা মেনে এখনো কুমায়ুন ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের নির্বাচিত করা হয়। ১৯৭০ সালে এখানে নাগা রেজিমেন্ট গঠিত হয়। মূলত নাগাল্যান্ড বসতিদের নির্বাচিত করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত কুমায়ুন রেজিমেন্টের (KRC) এবং নাগা রেজিমেন্টের সামরিক হাসপাতাল এখানে আছে।
বিদ্যালয়
- শিব দত্ত পল্লীওয়াল আন্তঃ সরকারী কলেজ (পালি)
- কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, রানীক্ষেত
- অশোক হল বালিকা 'আবাসিক বিদ্যালয়
- জি ডি বিড়লা মেমোরিয়াল স্কুল
- আর্মি পাবলিক স্কুল, রানীক্ষেত
- জাতীয় আন্তঃ কলেজ, রানীক্ষেত
- ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, রানীক্ষেত
- ক্যানোসা কনভেন্ট স্কুল, রানীক্ষেত
- বীরশিব উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, রানীক্ষেত
- রানীক্ষেত (মিশন) ইন্টার কলেজ
- সরস্বতী শিশু মন্দির, রানীক্ষেত
- প্রস্তুতিমূলক পাবলিক জুনিয়র হাই স্কুল ঝালরি(রানীক্ষেত)
- মাউন্ট সিনাই স্কুল, রানীক্ষেত
- রীনা শিশু একাডেমী জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়, রানীক্ষেত
- শ্রী রাম সংস্কৃত বিদ্যাপীঠ রাম মন্দির রানীক্ষেত
প্রচার মাধ্যম
রানীক্ষেতে ''আকাশবাণী রানীক্ষেত'' নামক আকাশবাণীর সম্প্রচার কেন্দ্র আছে। এটি এফএম ফ্রিকোয়েন্সি উপর সম্প্রচারিত হয়।