রাউজান সরকারি কলেজ
রাউজান সরকারি কলেজ একটি সরকারি এমপিওভুক্ত, সম্মান-স্তরের, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার একটি ডিগ্রি কলেজ। এটি ১৯৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য একেএম ফজলুল কবির চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। [১]
![]() | |
নীতিবাক্য | শেখার অগ্রগতি |
---|---|
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৯৬৩ |
প্রতিষ্ঠাতা | মরহুম আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী |
শিক্ষার্থী | ৪০০০+ |
স্নাতক | ২০০০+ |
অবস্থান | , ২২°৩২′০৩″ উত্তর ৯১°৫৪′৪৫″ পূর্ব / ২২.৫৩৪২° উত্তর ৯১.৯১২৫° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | ৩ |
ওয়েবসাইট | raozancollege |
![]() |
২০১৭ সালে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই বেসরকারী কলেজকে জাতীয়করণ করে।[২]
কলেজের ক্যাম্পাসটি চট্টগ্রাম-রাউজান পৌরসভার সুলতানপুরে, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫০ মিটার (২৪৬০ ফুট) দক্ষিণে চারতলা তথ্য প্রযুক্তি ভবন নির্মাণের জন্য ১২.১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।[৩]কলেজের অবকাঠামোগত দিক অনেক উন্নত। এছাড়া প্রতিবছর এই কলেজের মাঠে বৈশাখী মেলা,বিজয় মেলা,বানিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়। রাউজান উপজেলার মধ্যে এটিই চুয়েট কলেজের পর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত।
অবস্থান ও যোগাযোগ
চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত রাউজান উপজেলাটি সর্বাধিক পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যার আয়তন ২৪৬.৫৮ বর্গ কি.মি। কর্ণফুলি এবং হালদা রাউজান উপজেলার পার্শ্বস্থ দুটি বড় নদী। রাউজানের উত্তরে ফটিকছড়ি, দক্ষিণে রাঙ্গুনিয়া ও কর্ণফুলি নদীর পার্শ্বস্থ বোয়ালখালী, পূর্বে রাঙ্গামাটির কাউখালী, পশ্চিমে হাটহাজারী উপজেলা অবস্থিত। রাউজান উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। সড়কপথে দেশের যে কোন স্থান থেকে চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর অথবা অক্সিজেন মোড় থেকে বাস যোগে রাউজান কলেজ (মুন্সির ঘাটা) আসা যায়। রাউজান উপজেলা থেকে ১০৭ কি.মি. উত্তরে আছে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ, ৩১ কি.মি দক্ষিণে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, ১২৬ কি.মি পশ্চিমে সরকারি হাজী এবি কলেজ, সন্দীপ এবং ৩৬.৭ কি.মি পূর্বে অবস্থান করছে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ। এছাড়া রাউজান উপজেলার নামে নামকরণকৃত রাউজান কলেজটি চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের পাশে রাউজান উপজেলা সদর থেকে ৭৫০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত।
কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিধিবিধান
১। কলেজ ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ডঃ
ক. ছাত্রদের জন্য সাদা শার্ট ও কালো রঙের প্যান্ট। খ. ছাত্রীদের জন্য সাদা রঙের অ্যাপ্রোন/বোরকা/স্কার্ফ ও সাদা থ্রি পিছ পরিধান করতে হবে।গ. কলেজ প্রদত্ত আইডি কার্ড শিক্ষার্থীকে অবশ্যই গলায় ঝুলিয়ে কলেজে প্রবেশ করতে হবে এবং আইডি কার্ড ছাড়া শিক্ষার্থীকে বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করে প্রশাসন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২। কলেজে উপস্থিতিঃ
ক. ক্লাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য বর্তমানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা নেয়া শুরু হয়েছে এবং তা অভিভাবক মোবাইলের মাধ্যমে অবহিত হতে পারছেন।খ. শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপিস্থিতি ৬০% এর উপরে কিন্তু ৭৫% এর নিচে হলে নন-কলেজিয়েট হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব অনুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট হারে জরিমানা প্রদান করে বোর্ডের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে ।গ. ক্লাসে উপস্থিতি মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের ৬০% এর নিচে থাকলে ডিস-কলেজিয়েট হিসেবে গণ্য করা হয় এবং বোর্ডের বিধি মোতাবেক চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয় না।
৩। আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
অত্র কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মূলত একাদশ শ্রেণিতে ২টি এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২টি পরীক্ষার মাধ্যমে কোর্স সমাপ্ত হয়। প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। স্নাতক (পাস) ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের সমুদয় কোর্স পরীক্ষার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। তাছাড়া স্নাতক (পাস) পর্যায়ে (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষে) প্রতি বিষয়ে ইনকোর্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্নাতক (অনার্স) কোর্স সমূহে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাসমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার মোতাবেক যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হয়।
৪। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফলঃ
ক. একাদশ শ্রেণিতে উপস্থিতি এবং পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক না হলে কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয় না। উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়। এতে কোনো শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে অনুপস্থিত থাকলে তাকে চূড়ান্তভাবে অকৃতকার্য দেখানো হয়।খ. পরীক্ষার ফলাফল সম্বলিত রিপোর্ট কার্ড কাউন্সিলিং ক্লাসে অভিভাবক সমেত উপস্থিত হয়ে সংশিষ্ট কাউন্সিলরের নিকট হতে ছাত্র-ছাত্রী নিজে গ্রহণ করবে।
৫। নিয়ম-শৃঙ্খলাঃ
ক. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে প্রতিদিন ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি ভিজিল্যান্স টিম রয়েছে। টিমের সদস্যগণ শ্রেণি কক্ষসমূহে ক্লাস ঠিকমত হচ্ছে কিনা তদারকি করেন এবং কলেজ চত্বরে যাতে কোনো অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন।খ. কলেজ ক্যাম্পাসে যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রী অসদাচরণ করে তার বিরুদ্ধে যথাযথব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গ. শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।ঘ. কলেজের প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীদের ভদ্র, শালীন এবং আদর্শ শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ বাঞ্ছনীয়। ক্লাশে যথাসময়ে উপস্থিতি, পাঠাগার ও গবেষণাগারে নীরবতা, পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা একান্তভাবে কাম্য। ছাত্র/ছাত্রীদের নিম্নোক্ত বিধি মেনে চলা আবশ্যক।
i. জুনিয়ররা সিনিয়রদেরকে মান্য করবে এবং তদনুযায়ী আচরণ করবে।
ii. সিনিয়ররা জুনিয়রদেরকে স্নেহের চোখে দেখবে এবং তদনুযায়ী আচরণ করবে।
iii. শিক্ষকদের সাথে সার্বিক আচরণ ভদ্র, শালীন ও মার্জিত হওয়া বাঞ্ছনীয় ।
iv. কলেজের যাবতীয় সম্পদ পবিত্র আমানত রূপে গণ্য করা উচিত এবং তা রক্ষণাবেক্ষণে যথাযথ সহযোগিতা কাম্য।
৬। শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ
কলেজের প্রত্যেক শিক্ষার্থী ওপরে বর্ণিত নিয়ম শৃঙ্খলা ও বিধিসমূহ কঠোরভাবে মেনে চলতে হয় । কোনো ছাত্র/ছাত্রীকে নিয়ম শৃঙ্খলা বিধি পরিপন্থী কোন কাজে লিপ্ত দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবগত করানো হয়। অনুরূপ কার্যাদি গর্হিত বিবেচিত হলে কর্তৃপক্ষ যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ।
৭। গ্রুপভিত্তিক মিটিংঃ
ক. শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অগ্রগতি যাচাইকল্পে কলেজে তিন মাস অন্তর গ্রুপ মিটিং বা কাউন্সিলিং ব্যবস্থা রয়েছে।খ. একজন শিক্ষকের অধীনে ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী থাকে এবং শিক্ষার্থীর যে-কোনো ধরনের অভাব-অভিযোগের সমাধানে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।গ. কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার নম্বরফর্ম ও ক্লাসে উপস্থিতির বিবরণী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
৮। বেতন পরিশোধঃ
কলেজের বেতন ও অন্যান্য পাওনা অনার্স'র শিক্ষার্থীদের জন্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান ব্যাংক মুন্সীরঘাটায় শাখায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিশোধ করতে হয়।
৯। অনুসন্ধান ও যোগাযোগঃ
শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধান ও যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে কলেজের নোটিশ বোর্ড। তবে কিছু কিছু প্রয়োজনীয় নোটিশ ক্লাশে দেয়া হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকগণ সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের সাথে কলেজ চলাকালিন সময়ে বা কলেজ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
১০। ভৌত সুযোগ সুবিধাদিঃ
ক) লাইব্রেরিঃ কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য সহায়ক বই সম্বলিত একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এখানে পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান। এছাড়া হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জন্য আলাদা সেমিনার লাইব্রেরি রয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মাফিক প্রয়োজনীয় বই পেতে পারে।খ) বিজ্ঞানাগার ও অত্র কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য সংরক্ষিত বিজ্ঞানাগারগুলি যুগ উপযোগী ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সজ্জিত। বিজ্ঞানাগারে শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতা কাম্য।গ) ছাত্র-ছাত্রী মিলনায়তনঃ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক মিলনায়তনের ব্যবস্থা রয়েছে। এ মিলনায়তনে দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও বিবিধ ইনডোর গেমের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্লাশ বিরতিকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনের সুযোগ সুবিধাদি গ্রহণ করতে পারে।ঘ) মুজিব কর্ণারঃ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করার জন্য কলেজে সুসজ্জিত মুজিব কর্ণার রয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই দেয়ালিকা ও ঐতিহাসিক ছবি রয়েছে। এ মুজিব কর্ণার শিক্ষার্থীদের জন্য সার্বক্ষনিক উন্মুক্ত থাকে।ঙ) শহীদ মিনারঃ রাউজানের মাটি ও মানুষের নেতা মাননীয় সাংসদ জনাব এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়।চ) মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমঃ প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে সরকার প্রদত্ত উন্নত প্রজেক্টর রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন মাল্টিমিডিয়ায় শ্রেনি কার্যক্রম (পাঠদান) পরিচালনা করা হয়।
১১। বৃত্তি ও বিশেষ পুরস্কারঃ
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তিকৃত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হয়। বর্তমানে কলেজে প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী, আলহাজ্ব হেদায়েত হোসেন চৌধুরী, রশিদা বেগম স্মৃতি বৃত্তি, বকুল শিক্ষা বৃত্তি, সরকার প্রদত্ত বৃত্তি চালু রয়েছে। এছাড়াও মাননীয় সাংসদ জনাব এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী মহোদয় কর্তৃক প্রতিবছর ১০০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
১২। বিতর্ক প্রতিযোগিতাঃ
কলেজে বিভিন্ন সময়ে বিভাগ ভিত্তিক ও পর্যায় ভিত্তিক সাত সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষকদের একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল উৎসাহে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। বিজয়ী/বিজিত ও অংশগ্রহণকারী সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়।
১৩। খেলাধুলা কার্যক্রমঃ
শুধুমাত্র সিলেবাস ভিত্তিক পাঠগ্রহণের ফলে যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একঘেয়েমী না আসে সেজন্য শ্রেণিভিত্তিক / শাখাভিত্তিক ফুটবল/ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ইনডোর ও আউটডোর খেলার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ী/বিজিত উভয় পক্ষকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও প্রতি বৎসর ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে বার্ষিক শিক্ষা-সাহিত্য ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪। সাংস্কৃতিক দলঃ
সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি দক্ষ কমিটি পরিচালিত সাংস্কৃতিক দল রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গান, নৃত্য, আবৃত্তি, তবলার চর্চা করা হয় এবং রবীন্দ্র জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী,বসন্ত উৎসব, বর্ষবরণসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।
১৫। রেঞ্জার দলঃ
দক্ষ Ranger Guider এর পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাফল্যজনক ভাবে রেঞ্জার দল এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ এ জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার শিক্ষক এর সুনাম অর্জন করেন এ কলেজের রেঞ্জার গাইডার শিক্ষক।
১৬। রোভার স্কাউট / গার্ল ইন রোভারঃ
ছাত্রদের জন্য রোভার স্কাউট, ছাত্রীদের জন্য গার্ল ইন রোভার কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাফল্যজনক ভাবে এগিয়ে চলেছে।
অনুমোদিত বিষয়সমূহ
উচ্চ মাধ্যমিক:
বাংলা, ইংরেজী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, অর্থনীতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, যুক্তিবিদ্যা, | ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা ।
স্নাতক (পাস):
বাাংলা জাতীয় ভাষা, ইংরেজী, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান ও গণিত।
স্নাতক (সম্মান):
হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
স্নাতক পর্যায়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সিট এর সংখ্যা
রাউজান সরকারি কলেজের আসন সংখ্যার বিবরণ
একাদশ শ্রেণীর আসন সংখ্যাঃ- বিজ্ঞান = ১৫৫টি, মানবিক = ২৭৮টি, ব্যবসায় শিক্ষা = ৪০০ টি।
দ্বাদশ শ্রেণীর আসন সংখ্যাঃ- বিজ্ঞান = ২০০টি, মানবিক = ৩৫০টি, ব্যবসায় শিক্ষা = ৫০০টি।
ডিগ্রী (পাস) আসন সংখ্যাঃ- বি.এ = ১০০টি, বি.এস.এস = ৫০টি, বি.এস.সি = ৫০টি, বি.বি.এস = ২০০টি।
অনার্স কোর্সের আসন সংখ্যাঃ- = হিসাববিজ্ঞান বিভাগ = ১০০টি, ব্যবস্থাপনা বিভাগ = ১০০টি, অর্থনীতি বিভাগ = ৫০টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ = ৫০টি।
কাউন্সেলিং সম্পর্কিত নির্দেশনা
একজন শিক্ষার্থীর সর্বোত্তম ফলাফল করার জন্য কাউন্সেলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউন্সেলিং এর প্রথম শর্ত শিক্ষার্থীদের ১০০% উপস্থিতি নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থী কলেজে অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবক অবশ্যই টেলিফোন, মোবাইল করে স্ব স্ব কাউন্সিলরকে জানাবেন। পর পর ০৩ (তিন) দিন কোন শিক্ষার্থী কলেজে অনুপস্থিত থাকলে অধ্যক্ষ বরাবরে আবেদন করতে হবে। আবেদনের মাধ্যম স্ব স্ব কাউন্সিলর থাকবেন। যদি কোন শিক্ষার্থী একটানা ০৭ (সাত) দিন অনুপস্থিত থাকে তাহলে স্ব স্ব কাউন্সিলরগণ কলেজের হেল্পলাইন ব্যবহার করে উক্ত শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণ অবগত হবেন। যথাযথ কারণ ব্যতীত ১০ (দশ) দিন অনুপস্থিত থাকলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ঐ সকল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাউন্সেলিং এ নিম্নোক্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। যেমন- বিগত কাউন্সিলের ক্রমোন্নতি যাচাই, পরীক্ষার ফলাফল, সিলেবাসের অগ্রগতি, দৈনিক পাঠগ্রহণ কার্যক্রম, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যাদি, নৈতিক মূল্যবোধ, কলেজে উপস্থিতি, সহ-শিক্ষা পাঠ্যক্রম, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ, পরিচ্ছন্নতা, ধর্মীয় অনুশাসন ও শৃংখলাবোধ ইত্যাদি। সর্বোপরি, শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক ক্রমোন্নতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
কাউন্সিলরগণ কাউন্সেলিং এর সার-সংক্ষেপ রিপোর্ট আকারে সংরক্ষণ করবেন।