রাউজান উপজেলা

চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা

রাউজান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা।১৯৪৭ সালে রাউজান থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৮৪ তে রাউজান থানা উপজেলায় উন্নীত হয়।

রাউজান
উপজেলা
চুয়েট প্রবেশপথ
চুয়েট প্রবেশপথ
মানচিত্রে রাউজান উপজেলা
মানচিত্রে রাউজান উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৩২′৩″ উত্তর ৯১°৫৬′১১″ পূর্ব / ২২.৫৩৪১৭° উত্তর ৯১.৯৩৬৩৯° পূর্ব / 22.53417; 91.93639 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাচট্টগ্রাম জেলা
প্রতিষ্ঠাকালআগস্ট, ১৯৪৭
সংসদীয় আসন২৮৩ চট্টগ্রাম-৬
সরকার
 • সংসদ সদস্যএবিএম ফজলে করিম চৌধুরী
 • উপজেলা চেয়ারম্যানএ.কে.এম. এহেছানুল হায়দর চৌধুরী
আয়তন
 • মোট২৪৬.৫৮ বর্গকিমি (৯৫.২১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট৩,২২,৮৪০
 • জনঘনত্ব১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬৮.১৪%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৪৩৪০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১৫ ৭৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ইতিহাস ও নামকরণ

রাউজান উপজেলার প্রাচীন ইতিহাসের সাথে বৌদ্ধ উপনিবেশের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জানা গেছে যে, রাউজানে আদি বসতি স্থাপনকারী হলো বৌদ্ধরা। বিনাজুরীতে প্রায় ৪ শত বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। রাউজান এলাকার নামকরণের সাথেও বৌদ্ধ ঐতিহ্য জড়িত। কারণ মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান কর্তৃক ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিজয়ের প্রায় ১০০০ বছর পূর্ব থেকে সারা চট্টগ্রাম অঞ্চলই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মগ বা আরাকানীদের অধিকারে ছিল। ফলে রসিকতা করে অনেকে চট্টগ্রামকে মগের মুল্লুকও বলতেন। সে অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, রাউজানও একসময় আরাকান রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। আরাকানী ভাষায় এটিকে বলা হত রজোওয়াং বা রাজ পরিবারের ভূমি। আর এ নামের অপভ্রংশ থেকেই রাউজান নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে বিশিষ্ট পণ্ডিতগণের ধারণা।[২]

অবস্থান ও আয়তন

রাউজান উপজেলা চট্টগ্রাম জেলার উত্তর-পূর্বাংশে ২২°২৫´ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫১´ থেকে ৯১°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত।[৩] চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।[৪] এ উপজেলার উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলারাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা, দক্ষিণে বোয়ালখালী উপজেলাকর্ণফুলী নদী, পূর্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলারাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা, পশ্চিমে হাটহাজারী উপজেলাফটিকছড়ি উপজেলা

রাউজান উপজেলার আয়তন ২৪৬.৫৮ বর্গ কিলোমিটার।[৩]

প্রশাসনিক এলাকা

১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে রাউজান থানার কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হল।[৩] ২০০০ সালে রাউজান পৌরসভা ঘোষিত হয়।

রাউজান উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ রাউজান উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম রাউজান মডেল থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

[৫]

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাউজান উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,২৫,৩৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৬৩,৯৬৩ জন এবং মহিলা ১,৬১,৪২৬ জন।মোট জনসংখ্যার ৭৫% মুসলিম, ১৮% হিন্দু, ৬% বৌদ্ধ ও ১% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে। এ উপজেলায় মারমা, ত্রিপুরা, মগ প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।[৩]

শিক্ষা

রাউজান উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৮.১৪%। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সহ এ উপজেলায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ৩টি স্নাতক কলেজ, ৩টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ৪টি স্কুল এন্ড কলেজ, ২টি কামিল মাদ্রাসা, ৪টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৪টি আলিম মাদ্রাসা, ১২টি দাখিল মাদ্রাসা, ৫টি এমপিও বিহীন দাখিল মাদ্রাসা, ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহপাঠ), ৩টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৪]

পত্রিকা ও সাময়িকী

  • মাসিক : সুপ্রভাত রাউজান, মাসিক অঙ্গীকার, রাউজান নিউজ, স্বপ্নের রাউজান, রাউজানের প্রিয়কাগজ,
  • বার্ষিক : কম্পাস, সন্তর্পণ, সম্ভাবা।[৩]

অর্থনীতি

কৃষি

চট্টগ্রামের মরিচের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ঐ মরিচের আকার, রং ও স্বাদে খুবই অতুলনীয়। রাউজানের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে প্রচুর মরিচ জন্মে। মরিচ ছাড়াও ধনিয়া, পিঁয়াজ, বাদাম, আখ, তরমুজ, শসা, সরিষা, কলাই, ফেলন প্রভৃতি উৎপাদিত হয়। রাউজান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে হলদিয়া ও পাহাড়তলী এলাকার পাহাড়ে আদা, রসুন, পিঁঁয়াজ, হলুদ, তেজপাতা, দারুচিনি, কলা, নারিকেল, আনারস, সুপারী, জলপাই ইত্যাদির চাষ করা হচ্ছে। রাউজান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের বিভিন্ন বীজ উৎপাদন করে এবং দশ হাজার জাতের বীজ সংরক্ষণ করে।[৬] রাবার চাষের ক্ষেত্রে রাউজান বাংলাদেশের অন্যতম উপজেলা। রাউজানের হলদিয়া, ডাবুয়া, ঢালার মুখ এলাকায় প্রচুর রাবার বাগান রয়েছে। রাবার উৎপাদনে রাউজানের অবদান উল্লেখযোগ্য।

অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য

হালদা নদীর মুখে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মদুনাঘাট জিয়া বাজারে প্রচুর শুটকি উৎপন্ন হত। বাঁশখালীর লোকেরা গদুনা নৌকা করে প্রচুর শুটকি ও লবণ হালদা নদী হয়ে খালের মধ্যে প্রবেশ করে বেচা কেনা করত। বাঁশ, বেত ও পাটি পাতার তৈরী কুটির শিল্পের জন্য রাউজান বিখ্যাত ছিল। হাল চাষের জন্য লাঙ্গল জোয়াল, ইত্যাদিতে কাঠ পাহাড়ে উৎপন্ন হতো। রাউজানে কুটির শিল্পের বিশেষতঃ লাঙ্গল জোয়াল তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল। কোরবানীর জন্য রাউজানের চৌধুরী হাট, সুদূর ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে নামকরা বাজার ছিল। কোরবানী গরুর জন্য ব্রাহ্মণ হাট এখন উত্তর চট্টগ্রামে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।[৬]

উত্তর-পূর্ব রাউজানের ঢালার মুখ এলাকায় প্রায় ১১০ একর জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল।

ব্যাংক

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি হলো ব্যাংক এবং এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। রাউজান উপজেলায় অবস্থিত ব্যাংকসমূহের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:

ক্রম নংব্যাংকের ধরনব্যাংকের নামশাখাব্যাংকিং পদ্ধতিঠিকানা
০১রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকঅগ্রণী ব্যাংকআমিরহাট শাখা[৭]সাধারণগফুর শাহ বাণিজ্য বিতান (১ম তলা), আমিরহাট বাজার, হলদিয়া
০২গহিরা শাখা[৮]গহিরা এফ কে জে মাদ্রাসা, রাউজান
০৩রাউজান শাখা[৯]ফকিরহাট বাজার, রাউজান
০৪জনতা ব্যাংকগহিরা শাখা[১০]গহিরা, রাউজান
০৫জলিল নগর শাখা[১১]জলিল নগর, রাউজান
০৬রূপালী ব্যাংকউরকিরচর শাখা[১২]উরকিরচর, রাউজান
০৭চুয়েট শাখা[১৩]জব্বার মার্কেট, পাহাড়তলী, রাউজান
০৮পথেরহাট শাখা[১৪]নোয়াপাড়া পথেরহাট, রাউজান
০৯রাউজান শাখা[১৫]সিটি প্লাজা (২য় তলা), মুন্সির ঘাটা, রাউজান
১০সোনালী ব্যাংককাগতিয়া হাট শাখা[১৬]কাগতিয়া, রাউজান
১১চুয়েট শাখা[১৭]চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১২রাউজান শাখা[১৮]থানা রোড, ফকিরহাট, রাউজান
১৩বেসিক ব্যাংকপথেরহাট শাখা[১৯]বিশেষায়িতইবরাহীম সোবহান টাওয়ার, পথেরহাট, নোয়াপাড়া, রাউজান
১৪বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকআইএফআইসি ব্যাংকগহিরা উপশাখা[২০]সাধারণরাঙ্গামাটি রোড, ৩নং ওয়ার্ড, রাউজান পৌরসভা, চট্টগ্রাম
১৫নোয়াজিশপুর উপশাখা[২১]সিকদার প্লাজা, নোয়াজিশপুর, রাউজান, চট্টগ্রাম
১৬রাউজান উপশাখা[২২]আলম প্লাজা, বাসা নং ৭৮৫, পৌরসভা রোড, ৮নং ওয়ার্ড, রাউজান পৌরসভা, চট্টগ্রাম
১৭ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকগহিরা শাখা[২৩]গহিরা, রাউজান পৌরসভা, চট্টগ্রাম
১৮নোয়াপাড়া (চট্টগ্রাম) শাখা[২৪]পথেরহাট, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম
১৯রাউজান এসএমই/কৃষি শাখা[২৫]জি টি শপিং কমপ্লেক্স, মুন্সিঘাটা, ৮নং ওয়ার্ড, রাউজান পৌরসভা, চট্টগ্রাম
২০কদলপুর উপশাখা[২৬]আশরাফ আলী হাট মার্কেট, কদলপুর, রাউজান, চট্টগ্রাম
২১ইস্টার্ন ব্যাংকরাউজান শাখা[২৭]ভারতশ্বরী মার্কেট, কাপ্তাই রোড, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম
২২এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকরাউজান শাখা[২৮]ফিরোজ টাওয়ার, রঞ্জন আলী চৌধুরী হাট, রাউজান, চট্টগ্রাম
২৩ফকিরহাট রাউজান উপশাখা[২৯]এইচ এন মার্ট, ৭নং ওয়ার্ড, উপজেলা রোড, ফকিরহাট, রাউজান পৌরসভা, চট্টগ্রাম
২৪রাউজান রেজিঃ উপশাখা[৩০]রাউজান ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস, রাউজান, চট্টগ্রাম
২৫আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকগহিরা শাখা[৩১]ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিকএবিএম ফজলে করিম চৌধুরী অডিটোরিয়াম, গহিরা ডিগ্রী কলেজ, রাউজান, চট্টগ্রাম
২৬পথেরহাট শাখা[৩২]পথেরহাট, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম
২৭ইউনিয়ন ব্যাংকপাহাড়তলী শাখা[৩৩]এম ওয়াই প্লাজা, পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজার, রাউজান, চট্টগ্রাম
২৮রাউজান শাখা[৩৪]নুরুল আমিন টাওয়ার (১ম ও ২য় তলা), জলিলনগর বাস স্টেশন, রাউজান, চট্টগ্রাম
২৯ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশরাউজান শাখা[৩৫]২০১, চৌধুরী মার্কেট, ফকিরহাট, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩০এক্সিম ব্যাংকরাউজান পাহাড়তলী শাখা[৩৬]হাজী মকবুল টাওয়ার (১ম তলা), কাপ্তাই রোড, পাহাড়তলী চৌমুহনী, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩১গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকপথেরহাট শাখা[৩৭]স্টেশন মার্কেট, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩২গশ্চি নয়াহাট উপশাখা[৩৮]মসজিদ মার্কেট, দেওয়ানপুর, পাহাড়তলী, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩৩ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকপথেরহাট শাখা[৩৯]খায়েজ আহমেদ শপিং সেন্টার, নোয়াপাড়া পথেরহাট, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩৪পাহাড়তলী চৌমুহনী শাখা[৪০]গ্রীন রোড (চুয়েটের কাছে), পাহাড়তলী চৌমুহনী, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩৫রাউজান শাখা[৪১]হাজী নূর সেন্টার, ফকিরহাট, রাউজান, চট্টগ্রাম
৩৬কাগতিয়া বাজার উপশাখা[৪২]দুলাল চৌধুরী মার্কেট, কাগতিয়া, বিনাজুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম

নদ-নদী

রাউজান উপজেলার দক্ষিণ পাশ দিয়ে কর্ণফুলি নদী ও পশ্চিম পাশ দিয়ে হালদা নদী বয়ে চলেছে।[৩]

হাটবাজার ও মেলা

রাউজান উপজেলায় মোট ২৪টি হাটবাজার রয়েছে ও বাৎসরিক ১২টি মেলা বসে।[৩]

উল্লেখযোগ্য হাট
  • লাম্বুর হাট
  • ফকিরহাট বাজার
  • রমজান আলী চৌধুরী হাট
  • অলি মিয়া হাট
  • নোয়াপাড়া পথের হাট
উল্লেখযোগ্য মেলা
  • মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা (রাউজান কলেজ মাঠ)
  • বৈশাখী মেলা (রাউজান কলেজ মাঠ)
  • বড় মৌলানার ওরশের মেলা (হাজীপাড়া)
  • দাওয়াতখোলা ওরশের মেলা (আইলিখিল)
  • চাঁদশাহ ওরশের মেলা (নাতোয়ান বাগিচা)
  • চৈত্র সংক্রান্তি মেলা
  • মাঘী পূর্ণিমার মেলা
  • মহামুনি মেলা (পাহাড়তলী)
  • বারুণী স্নান মেলা (রাউজান)
  • রথের মেলা
  • গোবিন্দ ঠাকুরের মেলা (ইদিলপুর)
  • মহাপরিনির্বাণ মেলা (রাউজান)

[৩]

দর্শনীয় স্থান

  • মাস্টারদা সূর্যসেনের বাস্তুভিটা ও স্মৃতিসৌধ
  • জগৎপুর আশ্রম
  • মহাকবি নবীনচন্দ্র সেনের বাস্তুভিটা ও স্মৃতিসৌধ
  • শাহ বিবির মসজিদ[৪৩]
  • মইস্যা বিবির মসজিদ[৪৪]
  • মহামুনি বৌদ্ধবিহার
  • রামধন জমিদার বাড়ি (ডাবুয়া ধরের বাড়ি)
  • যদুনাথ চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
  • জগন্নাথ দেবালয় ও তোড়ন (ডাবুয়া)
  • কৈলাসেশ্বর শিবমন্দির ও শিবমূর্তি (ডাবুয়া, উনিশ শতক)
  • চুলামনি বৌদ্ধ বিহার (লাঠিছড়ি)
  • আবুরখীল বৌদ্ধ বিহার
  • আর্যমৈত্রেয় বৌদ্ধ বিহার (শায়িত মূর্তি)
  • রায়মুকুট দীঘি
  • লস্কর উজির দীঘি
  • ঈসা খাঁ দীঘি
  • বৃন্দাবন
  • লাম্বুর হাট (কর্ণফুলী নদীর পাড়)

[৩]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল পাকবাহিনী উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তরপাড়ায় ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায় এবং ৪৮ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। একই দিন রাউজানস্থ চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমানে চুয়েট) সামনে সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, অধ্যাপক দিলীপ কুমার চৌধুরী, শেখ মোজাফ্ফর আহমদ, আবদুর রব ও ইউনূস। উক্ত স্থানে শহীদদের স্মৃতি ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল ১৯৭১ সালে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে তার প্রতিষ্ঠানের সামনে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা নৃশংসভাবে হত্যা করে। এছাড়াও রাউজান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জগৎমল্লাপাড়ার ৩৫ জনকে পাকবাহিনীরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে।[৩]

স্মৃতিচিহ্ন
  • বধ্যভূমি: ৩টি (ঊনসত্তরপাড়া, জগৎমল্লাপাড়া, গহিরা-শিলাপাড়া)
  • স্মৃতিস্তম্ভ: ১টি (পৌরসভা চত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক)[৩]

সংসদীয় আসন

সংসদীয় আসনজাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪৫]সংসদ সদস্য[৪৬][৪৭][৪৮][৪৯][৫০]রাজনৈতিক দল
২৮৩ চট্টগ্রাম-৬রাউজান উপজেলাএবিএম ফজলে করিম চৌধুরীবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সংসদ সদস্যগণের তালিকা
ক্রম নংনির্বাচন সননির্বাচিত সংসদ সদস্যরাজনৈতিক দল
১ম১৯৭৩অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২য়১৯৭৯প্রথমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী

পরে উপনির্বাচনে

জহির উদ্দীন খান

মুসলিম লীগ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

৩য়১৯৮৬সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীজাতীয় পার্টি
৪র্থ১৯৮৮জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলুজাতীয় পার্টি
৫ম১৯৯১সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)
৬ষ্ঠ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি)গোলাম আকবর খোন্দকারবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
৭ম১৯৯৬ (জুন)গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরীবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
৮ম২০০১এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৯ম২০০৮এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
১০ম২০১৪এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত)বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
১১শ২০১৮এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

[৫১]

উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন

ক্রম নংপদবীনাম
০১উপজেলা চেয়ারম্যানএ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী[৫২]
০২ভাইস চেয়ারম্যাননুর মোহাম্মদ[৫৩]
০৩মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানবেগম ফৌজিয়া খানম[৫৪]
০৪উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাআব্দুস সামাদ শিকদার
উপজেলা চেয়ারম্যানগণের তালিকা
ক্রম নংউপজেলা চেয়ারম্যানের নামসময়কাল
০১এস এম আবদুল্লাহ১৯৮৫-১৯৮৬
০২লোকমান হাকিম১৯৮৬-১৯৯১
০৩এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী২০০৯-বর্তমান

[৫৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী