যুদ্ধাপরাধ
যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে কোন যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত চলাকালে কোন ব্যক্তি কর্তৃক বেসরকারী জনগণের বিরুদ্ধে সংগঠিত, সমর্থিত ও নির্দিষ্ট সংজ্ঞায়িত অপরাধ কর্মকাণ্ডসমূহ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে যুদ্ধকালীন সংঘাতের সময় বেসরকারী জনগনকে খুন, লুন্ঠন, ধর্ষণ; কারাগারে অন্তরীন ব্যক্তিকে হত্যা; নগর, বন্দর, হাসপাতাল কোন ধরনের সামরিক উস্কানি ছাড়াই ধ্বংস প্রভৃতি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।[১] ১৮৯৯ ও ১৯০৭ সালের হেগ কনভেনশন সর্বপ্রথম যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আইনসমূহ লিপিবদ্ধ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সংগঠিত হওয়া নূরেমবার্গের হত্যাকাণ্ড ও অপরাধ বিচার সবচেয়ে আলোচিত যুদ্ধাপরাধ বিচার। আধুনিক যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞা প্রদানের ক্ষেত্রে ১৯৪৫ সালের লন্ডন ঘোষণাকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/bn/thumb/4/42/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF_%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9.jpg/220px-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF_%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/7/77/My_Lai_massacre.jpg/250px-My_Lai_massacre.jpg)
ইতিহাস
রোমান যুগ
১৪৭৪ সালে হলি রোমান সাম্রাজ্যে জার্মান ও আলসেইক সেনাবাহিনীর কমান্ডার পিটার ভন হ্যাজেনব্যাকের যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়। এই ট্রাইবুনালকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম যুদ্ধাপরাধের বিচারের স্বীকৃতি দেয়া হয়।[২][৩]
লিপজিগ যুদ্ধাপরাধ বিচার
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য ১৯২১ সালে কতিপয় জার্মান সামরিক বাহিনীর কমান্ডারকে জার্মান সুপ্রীম কোর্টে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।[৪]
লন্ডন ঘোষণা/ নূরেমবার্গ ট্রায়াল
১৯৪৫ সালের ৮ আগস্ট প্রকাশিত লন্ডন ঘোষণাতে নূরেমবার্গের গণহত্যার বিচার সংক্রান্ত ধারাতে যুদ্ধাপরাধ সর্ম্পকে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়। নূরেমবার্গের বিচার কয়েকটি সামরিক ট্রাইবুন্যালের সমন্বয়ে ১৯৪৫-১৯৪৬ সালে সংগঠিত হয়। এই বিচার জার্মানির বেভারিয়াতে নূরেমবার্গের বিশেষ আদালতে করা হয়। ২৪ জন গ্রেফতার হওয়া নাৎসি জার্মানের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে নূরেমবার্গ আন্তর্জাতিক আদালতে নাৎসী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়। যাদেরকে আদালতে হাজির করা হয় তাদের শাস্তি দেয়া সম্ভব হলেও পলাতকদের গ্রেফতারের পর বিচারের রায় কার্যকর হয়।
সংজ্ঞা
নুরেমবার্গ ট্রায়াল হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫-১৯৪৬ সালে জার্মানির বাওয়ারিয়া রাজ্যর নুরেমবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত বিচার প্রক্রিয়ার নাম।