গাড়ি

এক থেকে আটজন যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত চার চাকাযুক্ত মোটরযান
(মোটরগাড়ি থেকে পুনর্নির্দেশিত)

গাড়ি বা মোটরগাড়ি চাকাযুক্ত একপ্রকার মোটরযান। এটি মূলত সড়কপথে চলাচল করে, এক থেকে আটজন যাত্রীকে বহন করতে পারে এবং সাধারণত মাল পরিবহনের তুলনায় যাত্রী পরিবহনেই বেশি ব্যবহৃত হয়।[১][২] বাংলা ভাষায় অন্যান্য প্রকারের যানবাহন বোঝাতেও "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যেমন গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, রেলগাড়ি ইত্যাদি। এই নিবন্ধটি মূলত মোটরগাড়ি নিয়ে আলোচনা করছে।

গাড়ি
১৯৬৬ সাল থেকে উৎপাদনশীল টয়োটা করোলা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মোটরগাড়ির মধ্যে অন্যতম।
শ্রেণীবিভাগমোটরযান
শিল্পবিভিন্ন
প্রয়োগমূলত যাত্রী পরিবহন
জ্বালানী উৎস
চালিতহ্যাঁ
স্ব-চালিতহ্যাঁ
চাকা৩টি থেকে ৬টি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪টি
অক্ষ২টি, কিছুক্ষেত্রে ৩টি
উদ্ভাবককার্ল বেঞ্জ
উদ্ভাবন১৮৮৬; ১৩৮ বছর আগে (1886)
কার্ল বেঞ্জের তৈরি "ভেলো" মডেল (১৮৯৪) — গাড়ি নির্মাণ প্রতিযোগিতায় পদার্পণ

১৭৬৯ সালে ফরাসি উদ্ভাবক নিকোলা-জোসেফ কুগনো প্রথম বাষ্পচালিত সড়ক যানের উদ্ভাবন করেছিলেন। ১৮০৮ সালে সুইস উদ্ভাবক ফ্রাঁসোয়া ইজাক দ্য রিভাজ প্রথম অন্তর্দহন ইঞ্জিন চালিত মোটরগাড়ি তৈরি করেছিলেন। ১৮৮৬ সালে দৈন্দিন ব্যবহার্য আধুনিক মোটরগাড়ির উদ্ভাবন করা হয়েছিল, যখন জার্মান উদ্ভাবক কার্ল বেঞ্জ তাঁর বেঞ্জ পাটেন্ট-মোটরভাগেনের কৃতিস্বত্ব সংরক্ষিত করেছিলেন। বিংশ শতাব্দী জুড়ে বাণিজ্যিক মোটরগাড়ি বহুল প্রচলিত হয়েছিল। ১৯০৮ সালে ফোর্ড মডেল টি চালু হয়েছিল, যা সাধারণ জনগণের ক্রয়যোগ্য প্রথম মোটরগাড়ির মধ্যে অন্যতম। ফোর্ড মোটর কোম্পানি এই মার্কিন গাড়িটি তৈরি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে মোটরগাড়ি বহুল প্রচলিত হয়েছিল, যা আগেকার ঘোড়ার গাড়ির জায়গা দখল করেছিল।[৩] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে মোটরগাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল।[৪] মোটরগাড়িকে উন্নত অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মনে করা হয়।

মোটরগাড়িতে চালনানির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং বিভিন্নরকম বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে। বিগত কয়েক দশকে গাড়িতে আরও বৈশিষ্ট্য ও ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে, যার ফলে এটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে পিছনে দেখার ক্যামেরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, দিক নির্ণয় ও বিনোদন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। ২০২০-এর দশকের শুরুতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গাড়ি অন্তর্দহন ইঞ্জিনজীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত। মোটরগাড়ির ইতিহাসের প্রারম্ভেই উদ্ভাবিত বৈদ্যুতিক গাড়ি ২০০০-এর দশকের বাণিজ্যিকভাবে লভ্য হয়ে উঠেছিল এবং ২০২৫ সালের আগে এর খরচ পেট্রলচালিত গাড়ির চেয়ে কম হওয়ার কথা।[৫][৬] জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর মূলত জলবায়ু পরিবর্তন উপশম করার একটি উপায় বলে মনে করা হচ্ছে।[৭]

গাড়ি ব্যবহারে লাভ ও ক্ষতি রয়েছে। ব্যক্তিগত ক্ষতির মধ্যে রয়েছে গাড়ি কেনা, সুদ পরিশোধ (ধার করে কেনা গাড়ির ক্ষেত্রে), মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, অবচয়, চালানোর সময়, গাড়ি রাখার ফি ও বীমা।[৮] সামাজিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, জমির ব্যবহার, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জনস্বাস্থ্য এবং জীবনকালের শেষে গাড়িকে পরিত্যাগ করা। সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[৯] ব্যক্তিগত লাভের মধ্যে রয়েছে চাহিদামাফিক পরিবহন, সচলতা, স্বাধীনতা ও বিভিন্নরকম সুবিধা।[১০] সামাজিক লাভের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক লাভ (যেমন মোটরগাড়ি শিল্প থেকে জীবিকা ও সম্পত্তি সৃষ্টি), পরিবহনে সংস্থান, অবসরযাপন ও ভ্রমণে সুযোগ এবং কর আদায়ের মাধ্যমে অর্থ লাভ।[১১]

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মোটরগাড়ি রয়েছে। মূলত চীন, ভারত ও অন্যান্য নতুন শিল্পোন্নত দেশে মোটরগাড়ির ব্যবহার সচরাচর বৃদ্ধি পাচ্ছে।[১২]

ব্যুৎপত্তি

বাংলা "গাড়ি" শব্দটি প্রাকৃত "গড্ডী" (𑀕𑀟𑁆𑀟𑀻) শব্দ হতে উদ্ভূত, যা আবার সংস্কৃত "গন্ত্রী" (गन्त्री) বা "গান্ত্রী" (गान्त्री) শব্দ হতে উদ্ভূত। বর্তমানে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় মূলত একপ্রকার মোটরযান বোঝানোর জন্য "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যদিও অন্যান্য প্রকারের যানবাহনের নামে "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, রেলগাড়ি ইত্যাদি।

ইতিহাস

প্রচালন ও জ্বালানি

জীবাশ্ম জ্বালানি

পরিবহন খাত বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণজলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম অবদানকারী।[১৩] ২০২০-এর দশকের শুরুতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গাড়ি অন্তর্দহন ইঞ্জিনে দহন করা পেট্রল দ্বারা চালিত। কিছু দেশ পুরনো পেট্রলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করে এবং কিছু দেশ ভবিষ্যতে পেট্রলচালিত গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে। তবে কিছু পরিবেশবাদী সংগঠনের মতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের ব্যবহার ক্রমশ বন্ধ করা উচিত। ২০১৭ সালে পেট্রলচালিত গাড়ির উৎপাদন সর্বোচ্চ।[১৪][১৫]

ব্যাটারি

২০১১ নিসান লিফ বৈদ্যুতিক গাড়ি

আলো

হলুদ: হেডলাইট বা সামনের আলো
লাল: পিছনের আলো

গাড়িতে সাধারণত বিভিন্নরকম আলো বসানো থাকে। এর মধ্যে হেডলাইট বা সামনের আলো উল্লেখযোগ্য, যা সামনের দিককে আলোকিত করে এবং গাড়িকে অন্যান্যদের কাছে দৃশ্যমান করে, যার ফলে রাতের বেলায় গাড়ি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া লাল রঙের আলোর মাধ্যমে কখন ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে তা বোঝানো যায়; হলুদাভ বাদামি রঙের আলোর মাধ্যমে চালকের সম্ভাব্য দিক পরিবর্তনকে ইঙ্গিত করা হয়। চালক ও যাত্রীদের জন্য গাড়ির অভ্যন্তরে আলো বসানো থাকে।

ওজন

বিংশ শতাব্দীর শেষে ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্যাটারি,[১৬] আধুনিক ইস্পাতের সুরক্ষা খাঁচা, অ্যান্টি-লক ব্রেক, এয়ারব্যাগ এবং আরও ক্ষমতাশালী ও দক্ষ ইঞ্জিনের জন্য গাড়ির ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।[১৭] ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, গাড়ির ওজন সাধারণত ১ থেকে ৩ টন (১,০০০ থেকে ৩,০০০ কিলোগ্রাম; ২,২০০ থেকে ৬,৬০০ পাউন্ড)-এর মধ্যে।[১৮] সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ভারী গাড়ি চালকের পক্ষে আরও নিরাপদ কিন্তু অন্যান্য যানবাহন ও সড়ক ব্যবহারকারীর পক্ষে আরও ভয়ঙ্কর।[১৭]

কিছু অঞ্চলে ভারী গাড়িতে অতিরিক্ত করারোপের জন্য[১৯] এবং পথচারীদের নিরাপত্তা উন্নীত করার জন্য গাড়ি প্রস্তুতকারকদের ইস্পাতের জায়গায় রিসাইকেল করা অ্যালুমিনিয়ামের মতো পদার্থ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছে।[২০]

সুরক্ষা

একটি ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার ফলাফল।

সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[৯] বর্তমানে নতুন গাড়ির জন্য সুরক্ষার পরীক্ষা প্রক্রিয়া রয়েছে, যেমন ইউরো ও মার্কিন এনসিএপি পরীক্ষা[২১] এবং ইন্স্যুরেন্স ইনস্টিউট ফর হাইওয়ে সেফটি (আইআইএইচএস) দ্বারা বিভিন্ন পরীক্ষা।[২২]

লাভ ও ক্ষতি

যানজট বিভিন্ন বড় শহরে একটি প্রধান সমস্যা (চিত্রে কলকাতা শহরের ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস)।[২৩]

গাড়ি ব্যবহারের খরচের মধ্যে রয়েছে গাড়ি কেনা, সুদ পরিশোধ (ধার করে কেনা গাড়ির ক্ষেত্রে), মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, অবচয়, চালানোর সময়, গাড়ি রাখার ফি ও বীমা।[৮] অন্যদিকে, লাভের মধ্যে রয়েছে চাহিদামাফিক পরিবহন, সচলতা, স্বাধীনতা ও বিভিন্নরকম সুবিধা।[১০]

একইভাবে, গাড়ি ব্যবহারে সামাজিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, জমির ব্যবহার, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জনস্বাস্থ্য এবং জীবনকালের শেষে গাড়িকে পরিত্যাগ করা। সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[৯] সামাজিক লাভের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক লাভ (যেমন মোটরগাড়ি শিল্প থেকে জীবিকা ও সম্পত্তি সৃষ্টি), পরিবহনে সংস্থান, অবসরযাপন ও ভ্রমণে সুযোগ এবং কর আদায়ের মাধ্যমে অর্থ লাভ।[১১]

পরিবেশগত প্রভাব

মোটরগাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।

গাড়ি শহরে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ[২৪] এবং সমস্তপ্রকার গাড়ি ব্রেক, টায়ার ও সড়ক ক্ষয় থেকে ধুলোবালি উৎপন্ন করে।[২৫] গাড়িকে চালানোর জন্য বিভিন্নরকম জ্বালানি ব্যবহার করা হলেও বেশিরভাগ গাড়ি পেট্রল বা ডিজেল ব্যবহার করে এবং ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের তৈল উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পেট্রল ও ডিজেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[১৪] পেট্রল ও ডিজেল উভয় গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়ির চেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টি করে।[২৬] ২০২১ সালে গাড়ি ও ভ্যান সরাসরি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণের ৮ শতাংশের জন্য দায়ী।[২৭]

২০২০-এর দশকে নির্মিত গাড়ির কাঙ্ক্ষিত জীবনকাল প্রায় ১৬ বছর বা প্রায় ২০ লাখ কিলোমিটার (১২.৪ লাখ মাইল) যদি অনেকটা চালানো হয়।[২৮] এসইউভি গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি জ্বালানি অর্থনীতির পক্ষে খারাপ।[১৪] ইউরোপের অনেক শহর পুরনো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়িকে নিষিদ্ধ করেছে এবং ২০৩০ সাল থেকে আমস্টারডামে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত সমস্ত গাড়িকে নিষিদ্ধ করা হবে।[২৯] চীনের অনেক শহর জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির লাইসেন্স দেওয়াকে সীমিত করেছে[৩০] এবং ২০২৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক দেশ এইধরনের গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে।[৩১]

গাড়ি উৎপাদনের জন্য প্রচুর সম্পদ লাগে এবং বর্তমানে অনেক প্রস্তুতকারক তাদের কারখানার পরিবেশগত কর্মসম্পাদন নথিবদ্ধ করে, যার মধ্যে শক্তির ব্যবহার, বর্জ্য ও পানির অপচয় অন্তর্গত।[৩২] প্রত্যেক কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যাটারি প্রস্তুত করতে যতটা কার্বন নির্গত হয়, এক ট্যাংকপূর্ণ পেট্রলকে দহন করলে ঠিক ততটাই কার্বন নির্গত হয়।[৩৩] গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে শহরগুলো অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠে, যা আরও অনেকজনকে গাড়িতে করে ভ্রমণ করতে উৎসাহিত করে, যার ফলে মানুষদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা ও স্থূলতা দেখা দেয়, যা আবার বিভিন্নরকম রোগ সৃষ্টি করতে পারে।[৩৪]

বিকল্প যানবাহন

ভারতের চেন্নাই শহরে কয়েকটি ভাড়া সাইকেল। সাইকেলকে অনেকসময় মোটরগাড়ির একটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসাবে মনে করা হয়।

বর্তমানে মোটরগাড়ির একাধিক বিকল্প রয়েছে, যেমন গণপরিবহন (বাসরেলগাড়ি), সাইকেলহাঁটা। সাইকেল ভাড়া ব্যবস্থা চীন ও ইউরোপের বিভিন্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেমন আমস্টারডামকোপেনহেগেন। যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরেও অনুরূপ প্রকল্পের কাজ চলছে।[৩৫][৩৬] এছাড়া ব্যক্তিগত দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মোটরগাড়ির বিকল্প হতে পারে যদি এটি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে।[৩৭]

নতুন গাড়ি প্রযুক্তি

যদিও ২০২০-এর দশকে প্রচলিত ব্যাটারিচালিত গাড়ির যথেষ্ট উন্নয়নকাজ চলছে,[৩৮] অন্যান্য উন্নয়নশীল গাড়ি প্রচালনশক্তির মধ্যে রয়েছে তারবিহীন চার্জিং,[৩৯] হাইড্রোজেন গাড়ি[৪০] ও হাইড্রোজেন/বৈদ্যুতিক সংকর গাড়ি।[৪১] বিকল্প জ্বালানি গবেষণার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি কোষে হাইড্রোজেনের পরিবর্তে অ্যামোনিয়ার ব্যবহার।[৪২]

গাড়ির প্রচলিত ইস্পাতনির্মিত গঠনকে প্রতিস্থাপনকারী পদার্থের মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম,[৪৩] ফাইবারগ্লাস, কার্বন তন্তু, বায়োকম্পোজিট ও কার্বন ন্যানোটিউব[৪৪]

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি।

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বা রোবোট্যাক্সি[৪৫][৪৬][৪৭] সীমিত মানব ইনপুট বা কোনো মানব ইনপুট ছাড়াই পরিচালিত হয়।[৪৮][৪৯] এইধরনের গাড়ি নিজেই সমস্ত গাড়ি চালনার কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ, যেমন পরিবেশকে অনুভব করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থার পর্যালোচনা করা এবং গাড়িকে নিয়ন্ত্রিত করা, যার মধ্যে রয়েছে সূচনা বিন্দু থেকে গন্তব্যে পৌঁছনো।[৫০] স্বয়ংক্রিয় গাড়ি এখনও সাধারণ জনগণের ব্যবহার থেকে দূরেই রয়েছে।[৫১]

উন্মুক্ত উৎসের গাড়ি

আরও দেখুন

  • গাড়ির শ্রেণীবিভাগ
  • সমাজে গাড়ির প্রভাব

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

  • উইকিমিডিয়া কমন্সে গাড়ি সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
  • উইকিঅভিধানে গাড়ি-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী