মেশেজ অব দি আফটারনুন
মেশেজ অব দি আফটারনুন ১৯৪৩ সালের মার্কিন পরীক্ষামূলক নির্বাক সাদাকালো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ১৪ মিনিট স্থিতিকালের চলচ্চিত্রটি রচনা, প্রযোজনা, পরিচালনা এবং সম্পাদনা করেছেন মার্কিন আভা-গার্দ এবং পরাবাস্তববাদী চলচ্চিত্র নির্মাতা মায়া ডেরেন, এবং সহ-পরিচালনা এবং চিত্রগ্রহণ করেছেন আলেক্সান্ডার হামিদ। অভিনয়ে ছিলেন মায়া ডেরেন এবং আলেক্সান্ডার হামিদ। ১৯৫৯ সালে চলচ্চিত্রটিতে তিজি ইটো পরিচালিত সঙ্গীত স্কোর যুক্ত করা হয়।[১] এটি ডেরেন-হামিদ দম্পতি নির্মিত প্রথম কাজ।
মেশেজ অব দি আফটারনুন | |
---|---|
![]() চলচ্চিত্রের দৃশ্যে ডেরেন | |
মূল শিরোনাম | Meshes of the Afternoon |
পরিচালক |
|
প্রযোজক | মায়া ডেরেন |
রচয়িতা | মায়া ডেরেন |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | তিজি ইটো (১৯৫৯ সালে সংযোজিত) |
চিত্রগ্রাহক | আলেক্সান্ডার হামিদ |
সম্পাদক | মায়া ডেরেন |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক |
নির্মাণব্যয় | মার্কিন$২৭৫ |
চলচ্চিত্রের বর্ণনাটি বৃত্তাকার এবং এতে একাধিক মোটিফ রয়েছে, যার মধ্যে একটি দীর্ঘ ড্রাইভওয়েতে একটি ফুল, একটি চাবির পতন, একটি দরজা খোলা, রুটির টুকরোর মধ্যে একটি ছুরি, একটি রহস্যময় গ্রিম রিপার বা মৃত্যুর নরত্বারোপ–একটি মুখোশের সঙ্গে আয়নায় দৃশ্য, টেলিফোনের হুক এবং সমুদ্র। ১৯৭০-এর দশকের আভা-গার্দ এবং পরাবাস্তববাদী চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসাবে চলচ্চিত্রটি প্রায় দূর্বোধ্য। ডেরেনের সৃজনশীল সম্পাদনা, স্বতন্ত্র ক্যামেরা আঙ্গিক এবং ধীর গতির মাধ্যমে, অতিপ্রাকৃত চলচ্চিত্রটি এমন একটি বিশ্বকে চিত্রিত করে, যেখানে বাস্তবতাকে ধরা আরো কঠিন হয়ে ওঠে।
১৯৯০-এর দশকে, রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত হবার জন্য দ্বিতীয় বছরে ভোটের মাধ্যমে মেশেজ অব দি আফটারনুন, লাইব্রেরি অব কংগ্রেস কর্তৃক "সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিকভাবে, বা নান্দনিকভাবে উল্লেখযোগ্য" হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়। ২০১৫ সালে বিবিসি চলচ্চিত্রটিকে সর্বকালের সেরা মার্কিন চলচ্চিত্রের তালিকায় ৪০তম স্থানে অন্তর্ভুক্ত করেছে।[২]
অভিনয়ে
- মায়া ডেরেন - মহিলা
- আলেক্সান্ডার হামিদ - পুরুষ
পটভূমি এবং উৎপাদন
সমষ্টিগত স্কোর | |
---|---|
উৎস | মূল্যায়ন |
রটেন টম্যাটোস | ১০০%[৩] |
পর্যালোচনা স্কোর | |
উৎস | মূল্যায়ন |
অলমুভি | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
রটেন টম্যাটোস | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
ডেরেন এবং হামিদ একটি ব্যক্তিগত আভা-গার্দ চলচ্চিত্র নির্মানের ইচ্ছা পোষণ করেছিল যেখানে ধ্বংসাত্মক মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাগুলির মোকাবিলা করবে, আনেকটা ১৯২০-এর দশকের ফরাসি পরাবাস্তববাদী চলচ্চিত্রগুলির মতো, যেমন সালভাদোর দালি এবং লুইস বুনুয়েলের আন শিঁয়েন আন্দালিও (১৯২৯) এবং ল'এজ দি'ওর (১৯৩০)।
ডেরেন এবং হামিদ একসঙ্গে চলচ্চিত্রটি রচনা, পরিচালনা এবং এতে অভিনয় করেছেন। যদিও ডেরেনকে এখানে প্রধান শৈল্পিক সৃষ্টিকর্তা হিসাবে চিত্রিত করা হয়, তবে চলচ্চিত্র নির্মাতা স্ট্যান ব্রাখেজ, যিনি এই দম্পতিটিকে জানতেন, তার ফিল্ম অ্যাট উইটস এন্ড (Film at Wit's End) গ্রন্থে দাবি করেছেন যে মেশেজ আসলে হামিদের সৃষ্টি ছিল, এবং তাদের বিবাহ ভোগান্তির কারণে ডেরেন এক্ষেত্রে অধিক কৃতিত্ব লাভ করেছিল। অন্য সূত্রগুলি দাবি করে যে মেশেজ অব দি আফটারনুন নির্মাণে আলেকজান্ডার হামিদের ভূমিকা মূলত ক্যামেরাপারসন হিসাবে ছিলো। মায়া ডেরেন তার সমস্ত চলচ্চিত্রের জন্য ক্যামেরা নির্দেশনা এবং ক্যামেরার প্রভাব সহ বিস্তৃত স্টোরিবোর্ড তৈরি করেছিলেন। পেশাদার ফিল্মমেকিং ম্যাগাজিনগুলিতে তিনি এই কৌশলগুলি সম্পর্কে লিখেছিলেন। চলচ্চিত্রটির ধারণা এবং সম্পাদনের বেশিরভাগই ডেরেনের কৃতিত্ব দাবী করা যায়। হামিদও তার বক্তব্যে ডেরেনকে মেশেজ অব দি আফটারনুন-এর একক নির্মাতা হিসাবেও স্বীকার করেছেন।[৬]
১৬ মিলিমিটারের মূল চলচ্চিত্রে কোন সুর-সঙ্গীত ছিল না। যদিও, ১৯৫৯ সালে ডেরেনের তৃতীয় স্বামী, তিজি ইটো কর্তৃক শাস্ত্রীয় জাপানি সঙ্গীত প্রভাবিত একটি সঙ্গীত স্কোর এতে যোগ করা হয়েছিল।[১][৭][৮]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
- অলমুভিতে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- আলোসিনেতে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ফরাসি)
- এলোনেটে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- পোর্ট.এইচইউতে মেশেজ অব দি আফটারনুন (হাঙ্গেরি)
- ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- লেটারবক্সডে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)
- সুইডিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ডাটাবেসে মেশেজ অব দি আফটারনুন (ইংরেজি)