মি অ্যান্ড আর্ল অ্যান্ড দ্য ডায়িং গার্ল

মার্কিন চলচ্চিত্র

মি অ্যান্ড আর্ল অ্যান্ড দ্য ডায়িং গার্ল ২০১৫ সালের আমেরিকান হাস্যরসাত্মক-নাটকীয় চলচ্চিত্র। এর পরিচালক আলফোনসো গোমেজ-রিজন এবং রচয়িতা জেসি অ্যান্ড্রিউস। চলচ্চিত্রটি জেসি অ্যন্ড্রিউসের লেখা প্রথম উপন্যাস মি অ্যান্ড আর্ল অ্যান্ড দ্য ডায়িং গার্ল এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন টমাস মান, অলিভিয়া কুক, আর জে সাইলার এবং জোন বার্নথাল। চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সানডান্স চলচ্চিত্র উত্‍সবে প্রথমবার মুক্তি পায়।[৪]

মি অ্যান্ড আর্ল অ্যান্ড দ্য ডায়িং গার্ল
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকআলফোনসো গোমেজ রিজন
প্রযোজক
  • জেরেমি ডসন
  • ড্যান ফোজেলম্যান
  • স্টিভেন এম. রেলস
চিত্রনাট্যকারজেসি অ্যান্ড্রিউস
উৎসজেসি অ্যন্ড্রিউস কর্তৃক 
মি অ্যান্ড আর্ল অ্যান্ড দ্য ডায়িং গার্ল
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকার
  • ব্রায়ান ইনো
  • নিকো মুহলি
চিত্রগ্রাহকচাং-হুন চাং
সম্পাদকডেবিড ট্রেছটেনবার্গ
প্রযোজনা
কোম্পানি
ইন্ডিয়ান পেইন্টব্রাশ
পরিবেশকফক্স সার্চলাইট পিকচার্স
মুক্তি
  • ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ (2015-01-25) (২০১৫ সানডান্স চলচ্চিত্র উত্‍সব)
  • ১২ জুন ২০১৫ (2015-06-12) (যুক্তরাষ্ট্র)
স্থিতিকাল১০৫ মিনিট[১]
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$ ৮ মিলিয়ন[২]
আয়$ ৯.১ মিলিয়ন[৩]

কাহিনি সংক্ষেপ

অদ্ভুতুড়ে, ঢেঙ্গা, এবং স্ব-ঘৃণাকারী ১৮ বছর বয়সী গ্রেগ গেইনস (টমাস মান, যে নিজের চেহারাকে " একটি ছোট গ্রাউন্ড হগের" মত বলে বর্ণনা করে, পিটসবার্গ হাই স্কুলের একজন জ্যেষ্ঠ্য ছাত্র। "who appears to drift through life while only seeming to broadly associate himself with the various cliques within Schenley's halls." সে জানতে পারে তার এক সহপাঠী ও শৈশবের সাবেক বন্ধু রেচেল কুশনার (অলিভিয়া কুক) লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। গ্রেগের বাবা মা (নিক অফারম্যান এবং কোনি ব্রিটন) রেচলের দরকারের সময় তার সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য তাকে জোরাজোরি করে। রেচেলের সিড়ির গোড়ায় খুবই অদ্ভুত প্রথম দেখায় তারা কেউই পরস্পরের সঙ্গ পেতে চায়নি, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রেগ রেচেলের বালিশের সংগ্রহ নিয়ে আলাপ জমায়। রেচেল তার বিচিত্র ব্যক্তিত্বকে প্রীতিকর মনে করে এবং তারা নিয়মিত দেখা করার পরিকল্পনা করে।

চিকিৎসায় চুল হারানোর পূর্বে গ্রেগ একসময় রেচেলের সাথে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী আর্লের (আর জে সাইলার) পরিচয় করায়, যার সাথে সে জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের প্যারোডি করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরী করে। গ্রেগের অনিচ্ছা সত্ত্বেও, আর্ল চলচ্চিত্রগুলো রেচেলকে দেখানোর জন্য তাকে রাজি করায়, রেচেল যেগুলোকে আনন্দদায়ক হিসেবে পায়। কেমোথেরাপি শুরু করার পর রেচেলের অসুখ আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করে এবং গ্রেগও স্কুলে কম সময় কাটিয়ে তার সাথেই বেশি থাকতে শুরু করে ও তার খেয়াল রাখে।

অভিনয়শিল্পী

  • টমাস মান (অভিনেতা) - গ্রেগ গেইনস
    • গেভিন ডাইয়েটজ - শিশু গ্রেগ
  • অলিভিয়া কুক - রেচেল কুশনার
  • আরজে সাইলার - আর্ল জ্যাকসন
    • এডওয়ার্ড ডিব্রুস তৃতীয় - শিশু আর্ল
  • নিক অফারম্যান - মিস্টার গেইনস
  • মলি শ্যানন - ডেনিস কুশনার
  • জন বার্নথাল - মিস্টার ম্যাকার্থি
  • কোনি ব্রিটন - মিসেস গেইনস
  • চেলসি টি. জ্যাং - নওমি
  • ক্যাথরিন সি. হিউস - ম্যাডিসন
  • নাটালি মার্চেলেটা - এ্যানা
  • ম্যাট বেনেট - স্কট মেহিউ
  • ববি জে. থম্পসন - ডেরিক
  • হিউ জ্যাকম্যান - নিজেই (কন্ঠ)
  • কারিম সামি - লিমো চালক
  • মার্কো জাপালা - থিয়েটার ডর্ক
  • ইটা কক্স - অধ্যক্ষ
  • মাসাম হোল্ডেন - অসুস্থ ফিল
  • কাজা মারি আয়ার্সম্যান - রেচেলের বন্ধু
  • চেরিল ক্লাইন - রাব্বি
  • জোয়ান অগাস্টিন - শেষকৃত্যে অংশগ্রহণকারী বৃদ্ধ ব্যক্তি
  • মার্ক গ্রানাটাইর - প্রশংসাকারী শিক্ষার্খী #১
  • কায়ান হোয়াইট - প্রশংসাকারী শিক্ষার্খী #২
  • লিন্ড কেনিরুস্কি - প্রশংসাকারী শিক্ষার্খী #৩
  • ড্রিউ পালাসা - প্রশংসাকারী শিক্ষার্খী #৪
  • ইলি সিলভারস্টাইন - প্রশংসাকারী শিক্ষার্খী #৫
  • নিকোল টাবস - শিশুদের হাসপাতালের সেবিকা

মুক্তি

মি অ্যান্ড আর্ল অ্যান্ড দ্য ডায়িং গার্ল ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সালে সানডান্স চলচ্চিত্র উত্‍সবে প্রদর্শিত হয় যেখানে দর্শকরা দাড়িয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।[৪] প্রদর্শনীর পর নিলামে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফক্স সার্চলাইট পিকচার্স এর সত্ত্ব কিনে নেয়[৫] এবং উত্‍সবে চলচ্চিত্রটি ইউএস গ্রান্ড জুরি প্রাইজ অর্জন করে।[৬] ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঘোষণা করা হয় যে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্রটি সীমিত পরিসরে মুক্তি দেওয়া হবে।[৭] কিন্তু ১০ই মার্চে আরেক ঘোষণায় বলা হয় চলচ্চিত্রটি নতুন তারিখ ১২ জুন ২০১৫ সালে মুক্তি দেওয়া হবে।[৮] চলচ্চিত্রটি প্রথমে ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হলেও পরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৬৮ করা হয় এবং পরে আরও বাড়িয়ে ৩৫০ টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়। ৪ঠা জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের সময় ৮৭০ টি প্রেক্ষাগৃহে বৃহত্‍ পরিসরে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।[৯] ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে চলচ্চিত্রটি যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়।[১০]

বাজারজাতকরণ

চলচ্চিত্রটির আনুষ্ঠানিক ট্রেইলার মুক্তি পায় ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল [১১] এবং আনুষ্ঠানিক পোস্টার প্রকাশ করা হয় ২০ এপ্রিল তারিখে।[১২] দুইটি দৃশ্য ২০১৫ সালের মে মাসে[১৩][১৪] এবং একই মাসের ২০ তারিখে আন্তর্জাতিকভাবে ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়।[১৫][১৬]

অর্জন

পুরস্কার তালিকা
পুরস্কার / চলচ্চিত্র উত্‍সবশ্রেণীগ্রহীতাফলাফলতথ্যসূত্র
ক্যাস্টিং সোসাইটি অব আমেরিকাচলচ্চিত্র স্টুডিও অথবা ইনডিপেনডেন্ট কমেডিঅ্যাঙ্গেলা ডেমো, ন্যান্সি মুসের এবং কেটি শ্যানটবিজয়ী
২১তম এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডবেস্ট কমেডিমনোনীত[১৭][১৮]
সেরা পুরুষ উদীয়মানথমাস মেনমনোনীত
সেরা নারী উদীয়মানঅলিভিয়া কুকমনোনীত
জর্জিয়া ফিল্ম ক্রিটিকস্ অ্যাসোসিয়েশনসেরা চলচ্চিত্রমনোনীত
ফিনিক্স ফিল্ম ক্রিটিকস সোসাইটিদ্য ওভারলুকড ফিল্ম অব দ্য ইয়ারবিজয়ী
সান ডিয়েগো ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডবেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর, নারীঅলিভিয়া কুকমনোনীত
বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর, পুরুষআরজে সাইলারমনোনীত
২০১৫ সানডান্স চলচ্চিত্র উত্‍সবগ্রান্ড জুরি প্রাইজ
(ইউএস ড্রামা)
আলফোনসো গোমেজ-রিজনবিজয়ী[১৯]
অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড
(ইউএস ড্রামা)
বিজয়ী
২০১৫ টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডসচয়েস মুভি: কেমিস্ট্রিথমাস মেন এবং আরজে সাইলারমনোনীত[২০]
চয়েস মুভি: ব্রেকআউট স্টারথমাস মেনমনোনীত
চয়েস সামার মুভিমনোনীত

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী