মিনি ড্রাইভার

অ্যামেলিয়া ফিওনা "মিনি" ড্রাইভার (ইংরেজি: Amelia Fiona "Minnie" Driver; জন্ম: ৩১ জানুয়ারি ১৯৭০)[১] হলেন একজন ইংরেজ-মার্কিন অভিনেত্রী ও গীতিকার। তিনি গুস ভ্যান স্যান্টের গুড উইল হান্টিং (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে স্কাইলার চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল স্লিপার্স, বিগ নাইট, গ্রস পয়েন্ট ব্ল্যাংক, টারজান, রিটার্ন টু দি অপেরা, কনভিকশন, বার্নিস ভার্শন, এবং বিয়ন্ড দ্য লাইটস্‌

মিনি ড্রাইভার
Minnie Driver
২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে ড্রাইভার
জন্ম
অ্যামেলিয়া ফিওনা ড্রাইভার

(১৯৭০-০১-৩১)৩১ জানুয়ারি ১৯৭০
মেরিলবোন, ওয়েস্টমিন্‌স্টার, ইংল্যান্ড
জাতীয়তাব্রিটিশ
মার্কিন
নাগরিকত্বব্রিটিশ
মার্কিন
মাতৃশিক্ষায়তনওয়েবার ডগলাস একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট
পেশাঅভিনেত্রী, গায়ক-গীতিকার
কর্মজীবন১৯৯০-বর্তমান
সন্তান
ওয়েবসাইটminniedriver.com

তিনি দ্য রিচেস (২০০৭-২০০৮) ধারাবাহিকে অভিনয় করে নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার ও একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি রিটার্ন টু জিরো মিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করে আরেকটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২] তিনি এনবিসির সিটকম অ্যাবাউট আ বয়-এ ফিওনা বোইয়া এবং বর্তমানে এবিসির সিটকম স্পিচলেসএ মায়া ডিমেও চরিত্রে অভিনয় করছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

অ্যামেলিয়া ফিওনা জেসিকা ড্রাইভার ১৯৭০ সালের ৩১শে জানুয়ারি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তার ডাকনাম মিনি রাখেন তার বড় বোন কেট ড্রাইভার।[৫][৬] তার মাতা গেনর চার্চওয়ার্ড (বিবাহপূর্ব মিলিংটন) ফ্যাব্রিক ডিজাইনার এবং সাবেক কচার মডেল। তার পিতা চার্লস রোনাল্ড ড্রাইভার ওয়েলসের সোয়ানসিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইংরেজ ও স্কটিশ বংশোদ্ভূত।[৭] তিনি হেলিগোলান্ড বাইটের যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ডিস্টিংগুইশড ফ্লাইং মেডেল লাভ করেন,[৮] এবং তিনি লন্ডন ইউনাইটেড ইনভেস্টমেন্টসের পরিচালক ছিলেন।[৭][৯][১০]

তার পিতামাতা বিয়ে করেননি।[৮] তার মায়ের সাথে সম্পর্ক থাকাকালীনই তার পিতা অন্য একজনকে বিয়ে করেছিলেন। মিনির বয়স যখন ছয় তখন তার পিতামাতা আলাদা হয়ে যান।[৬] এর কিছুদিন পর মিনিকে হ্যাম্পশায়ারের বেডালেস স্কুলে ভর্তি করানো হয়।[৬] রোনাল্ড ড্রাইভার বার্বাডোসে চলে যান, মিনি বিদ্যালয়ের ছুটির দিনগুলো সেখানে কাটাতেন। তিনি এরপর ওয়েবার ডগলাস একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে[১১] এবং কেনিংস্টনের স্বাধীন কলেজ কলিংহাম কলেজে পড়াশোনা করেন।[১২] মিনির বড় বোন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবস্থাপক ছিলেন। মিনির দুইজন সৎ ভাই রয়েছে, তাদের মধ্যে তার পিতার পরবর্তী বিবাহ থেকে চার্লি ড্রাইভার এবং তার মায়ের পরবর্তী বিবাহ থেকে এড চার্চওয়ার্ড।[৬]

কর্মজীবন

ড্রাইভার ১৯৯১ সালে রাইট গার্ড ডিওডোরেন্টের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের মধ্যে দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[১৩] একই বছর তিনি মঞ্চনাটকেও অভিনয় শুরু করেন এবং উপার্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জ্যাজ কণ্ঠশিল্পী ও গিটারবাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি কৌতুকাভিনেতা স্টিভ কুগান ও আরমান্দো লাননুচ্চির সাথে ব্রিটিশ টেলিভিশনে কাজ করেন এবং ক্যাজুয়াল্টি, দ্য হাউজ অব এলিয়ট, লাভজয় এবং পিক প্র্যাকটিস-এ ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। ড্রাইভার ১৯৯৫ সালে সার্কল অব ফ্রেন্ডস ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন। পরবর্তী কালে তাকে জেমস বন্ড চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের গোল্ডেনআই (১৯৯৫), স্লিপার্স (১৯৯৬), বিগ নাইট (১৯৯৬) ও গ্রস পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক (১৯৯৭)-এ পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যায়। তিনি ম্যাট ডেমনের বিপরীতে নাট্যধর্মী গুড উইল হান্টিং (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে স্কাইলার চরিত্রে অভিনয় করেন, এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে অস্কার[১৪]স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৫]

২০১০ সালে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ড্রাইভার

১৯৯৮ সালে ড্রাইভার দ্য গভর্নেস চলচ্চিত্রে সান্ড্রা গোল্ডবেকার চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৬] একই বছর তাকে ক্রিশ্চিয়ান স্ল্যাটার ও মরগান ফ্রিম্যানের সাথে মারপিঠধর্মী থ্রিলার চলচ্চিত্র হার্ড রেইন-এ দেখা যায়। তিনি কয়েকটি অ্যানিমেটেড পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও কণ্ঠ দিয়েছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ডিজনির ১৯৯৯ সালে টারজান এবং ১৯৯৯ সালে জাপানি চলচ্চিত্র প্রিন্সেস মনোনকি-এর ইংরেজি সংস্করণে লেডি এবোশি চরিত্রে। ২০০৩ ও ২০০৪ সালে তিনি উইল অ্যান্ড গ্রেস-এ ক্যারেন ওয়াকার ও ক্যারেনের প্রেমিকার কন্যার রুপান্তর লরেইন ফিনস্টার চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৭]

২০০৭ সালে ড্রাইভার এফএক্স নেটওয়ার্কের অনুষ্ঠান দ্য রিচেস-এ কাজ করেন। এই কাজের জন্য তিনি ২০০৭ সালে একটি এমি পুরস্কার[১৮] এবং ২০০৮ সালে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি দ্য সিমসন্স মুভি-এ কাজ করেন, কিন্তু তার অংশটুকু চূড়ান্ত সংস্করণ থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে জানুয়ারি মাসে তাকে মডার্ন ফ্যামিলি ধারাবাহিকের "মুন ল্যান্ডিং" পর্বে দেখা যায়। তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক দ্য ডিপ,[১৯] জীবনীনির্ভর নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র কনভিকশন (২০১০) এবং হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র বার্নিস ভার্শন (২০১০)-এ অভিনয় করেন। বার্নিস ভার্শন-এ তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জিনি পুরস্কার অর্জন করেন।[২০]

২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি দ্য ক্র্যাশ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেন,[২১] এটি ২০১৭ সালের ১৩ই জানুয়ারি মুক্তি পায়। ড্রাইভার এবিসির সিটকম স্পিচলেস-এ প্রধান চরিত্রে কাজ শুরু করেন। এতে তাকে তিন সন্তানের মায়ের চরিত্রে দেখা যায়, যাদের একজন সেরেব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ও হুইলচেয়ার ব্যবহার করে। ধারাবাহিকটি ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রচার শুরু হয় এবং তিন মৌসুম চলার পর ২০১৯ সালের মে মাসে পরিত্যক্ত হয়।[২২]

ব্যক্তিগত জীবন

২০০১ সালে অল্প কিছুদিন জশ ব্রোলিনের সাথে ড্রাইভারের সম্পর্ক ছিল।[২৩] টেলিভিশন লেখক ও প্রযোজক টিমথি জে. লিয়ার সাথে তার সম্পর্কের ফলে তার এক পুত্র জন্মগ্রহণ করে,[২৪] তার নাম হেনরি (জন্ম ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮)।[২৫][২৬] ২০১৯ সাল থেকে অ্যাডিসন ওডিয়ার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে।[২৭][২৮]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী