মাহমুদ ফার্শিয়ান

ইরানী শিল্পী

মাহমুদ ফার্শিয়ান Mahmoud Farshchian (ফার্সি: محمود فرشچیان, Mahmud Faršciyân একজন জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী। তার জন্ম ১৯৩০ সালের ২৪শে জানুয়ারি। তিনি ফার্সি চিত্রশিল্পের একজন কিংবদন্তি। ইরানের ইস্ফাহান নগরী অনেক পূর্ব থেকে চিত্রশিল্প এবং চিত্রশিল্পীদের জন্য বিখ্যাত ছিলো। আর এখানেই জন্মগ্রহণ এবং চিত্রশিল্প,ভাস্কর্য বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন ফার্শিয়ান।

মাহমুদ ফার্শিয়ান
Mahmoud Farshchian
জন্ম (1930-01-24) ২৪ জানুয়ারি ১৯৩০ (বয়স ৯৪)
জাতীয়তাইরানি
পরিচিতির কারণচিত্রশিল্প

তার বিখ্যাত কাজ গুলি বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। তাছারা বিশ্বব্যাপী তার উল্লেখ যোগ্য কাজ গুলির প্রদর্শনী হয়েছে। [১] মিনিয়েচার আর্টের ক্ষেত্রে জীবন্ত কিংবদন্তি ধরা হয় তাকে। প্রাচীন পারসিয়াতে এই শিল্পের শুরু হয়, যা পরবর্তীতে মধপ্রাচ্য এবং বিশেষ করে চীনতুর্কিস্তানে ব্যপক জনপ্রিয় হয়।

শৈশব ও শিক্ষাকাল

ফার্শিয়ানের বাবা একজন কম্বল ব্যবসায়ী ছিলেন। এর সংগে সংগে চিত্রশিল্পের প্রতি ছিলো তার গভীর অনুরাগ। আর এটিই ছোট্ট মাহমুদ ফার্শিয়ানকে অনুপ্রানিত করে। অল্প বয়সেই ফার্শিয়ানের চিত্রশিল্পের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পেতে শুরু করে। তিনি হাজি মির্জা আগা ইমামি এবং ইসা বাহাদুরির কাছে বেশ কয়েক বছর ছবি আঁকা শেখেন।[২] ইস্ফাহান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চিত্রকলায় ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ার পর তিনি ইউরোপে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি বড় বড় চিত্রশিল্পীদের কাজ গুলি দেখার এবং গবেষণা করার সুযোগ পান। আর এর কিছু পরেই তিনি চিত্রশিল্পে এমন একটি ধারা প্রতিষ্ঠিত করেন যা ব্যপক সাড়া ফেলে দেয়।

কর্মজীবন

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ইরানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ফাইন আর্টসে কাজ করেন। যা বর্তমানে ইরানের শিল্প ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এরপর তিনি তেহরান স্কুল অব ফাইন আর্টসে প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন।

অন্যান্য

এ পর্যন্ত ফার্শিয়ানের ৫৭টির ও বেশি একক এবং ৮৬টির ও বেশি সম্মিলিত প্রদর্শনী ইরান, ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থেকে দশটির ও বেশি পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ফার্সি চিত্রশিল্প এবং ইসলামি চিত্রকলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হাই কাউন্সিল অব কালচার এন্ড আর্ট থেকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তার বিখ্যাত কর্ম গুলি নিয়ে কালচারাল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন তেহরানের সা'দাবাদ কালচারাল কমপ্লেক্সে একটি জাদুঘর তৈরি করেছে। যার নাম দ্যা মিউজিয়াম অব মাস্টার মাহমুদ ফার্শিয়ান

এছাড়া তিনি ৮ম শিয়া ইমামের( ইমাম আলি ইবনে মুসা আর রিজা) মাজার শরীফের সৌন্দর্য্য বর্ধনে গঠিত কমিটির নেতৃত্ব দেন।

বর্তমানে তিনি নিউ জার্সিতে অবস্থান গ্রহণ করছেন। তার পুত্র আলি মুরাদ ফার্শিয়ান একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এবং কন্যা লাইলা ফার্শিয়ান একজন আচরণ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন।

বই

  • পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং (১৯৭৬)
  • মাস্টার ফার্শিয়ান'স পেইন্টিং ইন শাহনামা অব ফেরদৌসী (১৯৯১)
  • পেইন্টিং অব দ্যা গ্রেট হিরোজ অব শাহনামা (১৯৯১)
  • মাহমুদ ফার্শিয়ান ভলিউম ২ সিলেক্টেড বাই ইউনেস্কো (১৯৯১)
  • মাস্টার ফার্শিয়ান'স পেইন্টিংস ইন দিবান অব হাফিজ (২০০২)
  • মাস্টার ফার্শিয়ান'স পেইন্টিংস ইন রুবাইয়াৎ অব ওমর খৈয়াম (২০০৪)
  • মাহমুদ ফার্শিয়ান ভলিউম ৩ সিলেক্টেড বাই ইউনেস্কো (২০০৪)

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী