মরিস ফার্নান্দেজ

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

মরিয়াস পাচেকো মরিস ফার্নান্দেজ (ইংরেজি: Maurice Fernandes; জন্ম: ১২ আগস্ট, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ৮ এপ্রিল, ১৯৮১) ব্রিটিশ গায়ানার ডেমেরারা এলাকার জর্জটাউনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মরিস ফার্নান্দেজ
১৯২৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মরিস ফার্নান্দেজ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মরিয়াস পাচেকো ফার্নান্দেজ
জন্ম(১৮৯৭-০৮-১২)১২ আগস্ট ১৮৯৭
জর্জটাউন, ডেমেরারা, ব্রিটিশ গায়ানা
মৃত্যু৮ মে ১৯৮১(1981-05-08) (বয়স ৮৩)
জর্জটাউন, ডেমেরারা, গায়ানা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকামাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক, অধিনায়ক
সম্পর্কলেসলি ফার্নান্দেজ (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
২৩ জুন ১৯২৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২২ – ১৯৩২ব্রিটিশ গায়ানা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টএফসি
ম্যাচ সংখ্যা৪৬
রানের সংখ্যা৪৯২,০৮৭
ব্যাটিং গড়১২.২৫২৮.২০
১০০/৫০০/০৪/৯
সর্বোচ্চ রান২২১৪১
বল করেছে৩২১
উইকেট –
বোলিং গড় –৩৬.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট –
ম্যাচে ১০ উইকেট –
সেরা বোলিং –২/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং০/–৩০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ব্রিটিশ গায়ানার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণে এগিয়ে আসতেন মরিস ফার্নান্দেজ

প্রারম্ভিক জীবন

জর্জটাউনে মরিস ফার্নান্দেজ ১২ আগস্ট, ১৮৯৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।[১] কিশোর বয়সেই ডেমেরারা ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। শুরুতেই চমৎকার ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি পান।[১]

আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা

১৯২২ সালের আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। তবে, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বিপক্ষে মাঠে নেমে শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রান তুলেন তিনি।[২]

অক্টোবর, ১৯২৫ সালে আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।[ম ১] ঐ প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ গায়ানার প্রত্যেক খেলায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রান তুলেছিলেন। বার্বাডোসের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮৯ রান তুলে দলকে ১৪৪ রানে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন। পরবর্তীতে তার দল আট উইকেটে জয় তুলে নেয়।[৫] পরের খেলায় ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ১২৪ রান তুলেন। কিন্তু দলীয় সঙ্গীদের যথাযথ সহায়তার অভাবে তিনজনের একজন হিসেবে অল্পের জন্য অর্ধ-শতকের ইনিংস গড়া থেকে বঞ্চিত হন। খেলায় ব্রিটিশ গায়ানা দুই উইকেটে হেরে যায়।[৬]

১৯২৯ সালের আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় ফার্নান্দেজ তার প্রথম-শ্রেণীর খেলায় নিজস্ব সর্বোচ্চ রান তুলেন। সাতদিনের ঐ খেলায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল বার্বাডোস। অধিনায়ক মরিস গ্রীন শুরুতেই বিদায় নিলে জেরেমি ম্যাকেঞ্জি’র সাথে ক্রিজে যোগ দেন। দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজন ১৭৭ রান তুলেন। ম্যাকেঞ্জি ৭৪ রানে রান আউটের শিকার হন। এরপর ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্সের সাথে আরও একটি শতরানের জুটি গড়ে ১৪১ রানে আউট হন।[৭] ব্রিটিশ গায়ানা খেলায় ৩৯১ রানের বিরাট ব্যবধানের জয় পেয়ে চূড়ান্ত খেলায় উপনীত হয়। দলটি ত্রিনিদাদের মুখোমুখি হয়। উভয় ইনিংসে অর্ধ-শতকের দেখা পান। প্রথম ইনিংসে ৮৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রান তুলে দলের চার উইকেটের জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[৮]

এমসিসি দলের সফর

পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি মাসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসে। বার্বাডোস, ত্রিনিদাদ, ব্রিটিশ গায়ানা ও জ্যামাইকায় দলটি খেলে।[৯] জ্যামাইকা বাদে বাদ-বাকী জায়গায় একটি করে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্বকারী দলের সদস্যরূপে ব্রিটিশ গায়ানায় সফরকারী দলের বিপক্ষে খেলেন।[১০] শেষেরদিকের খেলাগুলোয় তিনি ব্রিটিশ গায়ানার অধিনায়ক নির্বাচিত হন। ড্র হয়ে যাওয়া একমাত্র ইনিংসে ১২০ রান সংগ্রহ করেন।[১১]

১৯২৭ সালে বার্বাডোসের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায়ও অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ঐ খেলায় প্রতিপক্ষীয় দল ৭১৫/৯ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল।[১২]

১৯২২ থেকে ১৯৩২ সময়কালে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে খেলেছেন। ৪৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৮.২০ গড়ে ২,০৮৭ রান তুলতে পেরেছেন। ডেমেরারা ক্রিকেট ক্লাবে কিশোর অবস্থাতেই খেলতেন। ১৯২২ সালে ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।

ইংল্যান্ড গমন

১৯২৩ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ১৯২৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। কাউন্টি দল ও প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন মরিস ফার্নান্দেজ।[১৩] অর্ধেকেরও বেশি খেলায় অংশ নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর প্রতিপক্ষীয় দলগুলোর বিপক্ষে তিনবার অর্ধ-শতকের কোটা অতিক্রম করেছিলেন।[১৪] তন্মধ্যে, নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ইনিংস ঘোষণাকালীন তিনি ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।[১৫] পরের খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রান করেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি। ৪৯ রানে আউট হয়ে যান।[১৬] সফরে নিজস্ব প্রথম সেঞ্চুরি করেন লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে। তিনি ১১০ রানে আউট হন।[১৭]

এইচ. এস. অ্যাল্থাম ও ই. ডব্লিউ. সোয়ানটন সফরকারী দলকে নিজেদের সেরা হিসেবে দাবীদারের মর্যাদায় আসীন করে।[১৮] দলটি অনেকাংশেই জর্জ চ্যালেনরের ব্যাটিংয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। চ্যালেনরের ছয় শতকের পাশে ফার্নান্দেজ ব্যাটিং গড়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। ৩৪.৮৬ গড়ে ৫২৩ রান তুলেন। চ্যালেনর বাদে অন্য দুইজন খেলোয়াড়ের একজনরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে শতরান করেছিলেন।[১৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

১৯২৮ ও ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুইটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড সফরে যায়। ১৯২৩ সালের সফলতম সফরের পর তিনটি খেলা টেস্ট খেলার মর্যাদা লাভ করে। দলটি ৩০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়। কিন্তু পূর্ববর্তী সফরের তুলনায় তারা মাত্র পাঁচটি খেলায় জয়লাভে সমর্থ হয়। অ্যাল্থাম ও সোয়ানটন দলের বিষয়ে মন্তব্য করে লিখেন যে, ’২৩-এর তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কম শক্তিধর ছিল।[১৮] এ সফরে নিয়মিত উইকেট-রক্ষকের ঘাটতি ছিল। ফলশ্রুতিতে ফার্নান্দেজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক কার্ল নুনেস যৌথভাবে এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, তিন টেস্টের সবগুলোতেই নুনেস উইকেট-রক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। উভয়েই মাঝে-মধ্যে নিজেদের সেরা খেলা উপহার দিতে পারেননি।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফার্নান্দেজ এক ইনিংসে ২৫টি বাই রান দিয়েছিলেন।[১৯] অন্যদিকে, নুনেসও সমসংখ্যক রান নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে দিয়েছিলেন।[২০] পাঁচ বছর পূর্বের তুলনায় এবার তার ব্যাটিং বেশ অকার্যকর ছিল। তিনবার অর্ধ-শতকের সন্ধান পান। ৭৩ রান করেছেন দুইবার - আয়ারল্যান্ড,[১৯] কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়,[২১] এবং ৫৪ রান করেছেন মিডলসেক্সের বিপক্ষে।[২২]

২৩ জুন, ১৯২৮ তারিখে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট অভিষেক ঘটে মরিস ফার্নান্দেজের। তিন টেস্টে গড়া সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে খেলার সুযোগ পান। লর্ডসে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে স্বাগতিক দল ছিল ইংল্যান্ড। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে উভয় ইনিংসে নামেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রান ও ফলো-অনের কবলে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আট রান তুলেন। ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৫৮ রানে জয় পায়।[২৩] সফরের ২০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মরিস ফার্নান্দেজ। ১৮.১৫ গড়ে ৫৮১ রান তুলেন তিনি।[২৪]

অধিনায়কত্ব লাভ

পরবর্তী বছরের শুরুতে ১৯২৯-৩০ মৌসুমে দূর্বলতম ইংরেজ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসে।[২৫] দলটি চার টেস্ট ও অন্য আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়।[২৬] এমসিসি দলের বিপক্ষে উভয় খেলায় ফার্নান্দেজের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ গায়ানা দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়।[২৭][২৮] সচরাচর ঐ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত নিজ খেলায় আয়োজক উপনিবেশিক দল আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করায় খেলোয়াড় ও অধিনায়ক নির্বাচন করে।[২৯] বোর্দা, জর্জটাউন ও ব্রিটিশ গায়ানায় ফার্নান্দেজকে অধিনায়ক মনোনীত করা হয়েছিল।[৩০] প্রথম দুই টেস্ট ড্র হয় ও একটিতে ইংরেজ দল জয় পায়।[৩১][৩২]

প্রত্যেক উপনিবেশে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে একজনকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের নিয়ম থাকায় ফার্নান্দেজ তার দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন। খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জয় পায়। এ খেলার পর ফার্নান্দেজ আর মাত্র একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন ও ১৯৩২ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান।

চতুর্থ টেস্টে ফার্নান্দেজের দল টসে জয় লাভ করে ও ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ক্লিফোর্ড রোচএরল হান্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৪৪ রান তুলেন। ৫৩ রানে হান্ট আউট হবার পর জর্জ হ্যাডলি রোচের সাথে যোগ দিয়ে ৩৩৬ রানে নিয়ে যান। রোচ আউট হবার পূর্বে তিনি দ্বি-শতক তুলে নেন। ফার্নান্দেজ ও হ্যাডলি দলীয় সংগ্রহকে ৪০০-তে নিয়ে যান। এতে ফার্নান্দেজ ২২ রান যোগ করেন। বাদ-বাকী ব্যাটসম্যানেরা আরও ৭১ রান যুক্ত করে দলকে ৪৭১ রানে নিয়ে যেতে সমর্থ হন। ইংল্যান্ড দল ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় ও ৩২৬ রানে পিছিয়ে পড়ে। ফলো-অনের সুবিধা না নিয়ে ফার্নান্দেজ দলকে আরও ২৯০ রানে নিয়ে যান। চতুর্থ ইনিংসে জয়ে জন্য ৬১৭ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ইংরেজ দল মাঠে নামে। প্যাটসি হেনড্রেন সফরকারীদের মধ্যে সেঞ্চুরি ইনিংস উপহার দেন। অন্য কোন ব্যাটসম্যানই ৫০ রানের কোটা অতিক্রম করতে পারেনি। খেলা শেষ হবার মাত্র চার মিনিট পূর্বে ২৮৯ রানের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের অভিষেক টেস্ট জয় তুলে নেয়।[১][৩৩]

অবসর

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অধিনায়কত্ব করার পর আর কোন টেস্টে অংশ নেননি। ১৯৩২ সালে আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে আর একটি খেলায় অংশ নিয়ে ৭৮ ও ৭ রান তুলেন।[৩৪]

তার একমাত্র পুত্র লেসলি ফার্নান্দেজ ১৯৬০-৬১ মৌসুমে ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[৩৫] মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ১৯৭৮ সালে লেসলি গাড়ী দূর্ঘটনায় মৃতুবরণ করে। এরপর মরিস ফার্নান্দেজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। হতদরিদ্র ও উন্মাদ অবস্থায় ৮ এপ্রিল, ১৯৮১ তারিখে ৮৩ বছর বয়সে ডেমেরারার জর্জটাউনে তার দেহাবসান ঘটে।

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
নেলসন বেটানকোর্ট
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯২৯-৩০
উত্তরসূরী
কার্ল নুনেস
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী