মধুমতি (১৯৫৮-এর চলচ্চিত্র)
মধুমতি হল বিমল রায় পরিচালিত ও প্রযোজিত ১৯৫৮ সালের ভারতীয় অতিপ্রাকৃত প্রণয়মূলক চলচ্চিত্র। এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ঋত্বিক ঘটক। চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার ও বৈজয়ন্তীমালা, এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রাণ ও জনি ওয়াকার। চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যায় আনন্দ নামে এক আধুনিক মনন-সম্পন্ন ব্যক্তি মধুমতি নামে এক আধিবাসী নারী প্রেমে পড়েন, কিন্তু তারা এই জীবনে সম্পর্কে জড়াতে পারেন না এবং তাদের পুনর্জন্ম হয়।
মধুমতি | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | বিমল রায় |
প্রযোজক | বিমল রায় |
চিত্রনাট্যকার | ঋত্বিক ঘটক |
কাহিনিকার | ঋত্বিক ঘটক |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | সলিল চৌধুরী |
চিত্রগ্রাহক | দিলীপ গুপ্ত |
সম্পাদক | হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় |
প্রযোজনা কোম্পানি | বিমল রায় প্রডাকশন্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬৬ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি উর্দু |
আয় | প্রা.₹৪ কোটি |
মধুমতি পুনর্জন্মের ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রথম দিকের চলচ্চিত্রের একটি। এই চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তী কালে পুনর্জন্মের ঘটনা নিয়ে অসংখ্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ সাতটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে, যা সে সময়ে একক চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাপ্তির রেকর্ড।
কুশীলব
- দিলীপ কুমার - দেবিন্দর / আনন্দ
- বৈজয়ন্তীমালা - মধুমতি / মাধবী / রাধা
- প্রাণ - রাজা উগ্র নারায়ণ
- জনি ওয়াকার - চরণদাস
- জয়ন্ত - পবন রাজা, মধুমতির পিতা
- রামায়ণ তিওয়ারি - বীর সিং
- তরুণ বসু - দেবিন্দরের সহকর্মী
- মিশ্র
- বাইজ শর্মা
- ভুডো আডভানি - বাবা
- জগদীশ
- সাগর
- রণজিৎ সুদ
- শেওজিভাই
বক্স অফিস
মধুমতি ১৯৫৮ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্র।[২] এটি প্রায় ₹৪ কোটি আয় করে,[২][৩] তন্মধ্যে নীট আয় ₹২ কোটি।[২] মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করলে চলচ্চিত্রটির আয় ২০১৬ সালের ₹৪৭৮ কোটির ($৭৪ ) সমতুল্য।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মধুমতি (ইংরেজি)