ভারতের সামরিক বাহিনী

ভারতীয় মিশ্র সামরিক বাহিনী

ভারতের সামরিক বাহিনী বলতে বোঝায় ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতীয় নৌবাহিনীভারতীয় বিমানবাহিনী এবং একাধিক অন্যান্য আন্তঃ-পরিষেবাদাতা সংস্থাকে নিয়ে গঠিত ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সামরিক বাহিনীকে।

ভারতীয় সামরিক বাহিনী

ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পতাকা
সার্ভিস শাখাIndian Army seal ভারতীয় সেনাবাহিনী

Indian Navy seal ভারতীয় নৌবাহিনী
 ভারতীয় বিমানবাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনী
ভারতের আধাসামরিক বাহিনী
স্ট্রাটেজিক নিউক্লিয়ার কম্যান্ড
ইন্টিগ্রেটেড স্পেস সেল

নেতৃত্ব
সর্বাধিনায়করাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাজনাথ সিং
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফজেনারেল অনিল চৌহান
লোকবল
সেনাবাহিনীর বয়স১৬+
বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগনেই
সামরিক বাহিনীতে
সেবাদানে সক্ষম
৩১২,৯০৫,৯৮৯ পুরুষ, বয়স ১৬-৪৯ (২০১০ প্রাককলন),
২৯১,৭৫৫,১০০ মহিলা, বয়স ১৬-৪৯ (২০১০ প্রাককলন)
সেনাবাহিনীতে যোগদানের
উপযুক্ত
২৪৪,৭২৭,৪০৬ পুরুষ, বয়স ১৬-৪৯ (২০১০ প্রাককলন),
২৩৫,৬৬২,৭৫০ মহিলা, বয়স ১৬-৪৯ (২০১০ প্রাককলন)
বছরে সামরিক
বয়সে পৌছায়
১২,০১১,২১৭ পুরুষ (২০১০ প্রাককলন),
১০,৬৩৯,১৫৮ মহিলা(২০১০ প্রাককলন)
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ১,৩২৫,০০০ (২০০৬ প্রাককলন)[১] (ranked ৪র্থ)
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ১,১৫৫,০০০ (২০০৬ প্রাককলন)[১]
ব্যয়
বাজেট ৫.৯৪ ট্রিলিয়ন (US$ ৭২.৬১ বিলিয়ন) (২০২৩–২৪)[২]
(৩য় অবস্থান)
শতকরা জিডিপি২% (২০২২–২৩)[২]
উদ্যোগ
স্থানীয় সরবরাহকারীহেভি ভেহিকলস ফ্যাক্টরি
ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড
জব্বলপুর গান ক্যারেজ ফ্যাক্টরি
হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকস লিমিটেড
ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি অর্গ্যানাইজেশন
টাটা মোটরস
হেভি অ্যালয় পেনেট্রেটর প্রোজেক্ট
ম্যাজাগন ডক লিমিটেড
কোচিন শিপইয়ার্ড
ভারত ডায়নামিকস
বৈদেশিক সরবরাহকারী ইসরায়েল
 রাশিয়া
 ফ্রান্স
 যুক্তরাষ্ট্র
 যুক্তরাজ্য
 সুইডেন
 বেলজিয়াম
 জার্মানি
 ইতালি
 ব্রাজিল
 রোমানিয়া[৩]
সম্পর্কিত নিবন্ধ
ইতিহাসভারতের সামরিক ইতিহাস
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী
আজাদ হিন্দ ফৌজ
মর্যাদাক্রমবিমানবাহিনী
স্থলসেনা
নৌবাহিনী

ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট ১,৩২৫,০০০ জন নিয়মিত সেনা,[১] ১,১৫৫,০০০ জন সংরক্ষিত সেনা,[১] এবং ১,২৯৩,৩০০ জন[১] আধাসামরিক সেনা রয়েছে। ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বমোট সেনা জওয়ানের সংখ্যা ৩,৭৭৩,৩০০ জন। ২০০৬ সালের হিসেব অনুযায়ী, ভারতের সামরিক বাহিনী গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের পরেই[৪] বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী।[৫] ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড সেনাবাহিনীর প্রধান সহকারী বাহিনী। ভারতের সরকারি প্রতিরক্ষা বাজেট ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৬] তবে সামরিক খাতে আরও অনেক অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে।[৭] বর্তমানে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ চলছে।[৮] ভারতীয় সামরিক বাহিনী সক্রিয়ভাবে সামরিক মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে।[৯] এছাড়া ভারতের সামরিক বাহিনী একটি মিশাইল প্রতিরক্ষা শিল্ড [১০] ও পারমাণবিক ট্রায়াড ক্ষমতাও গড়ে তুলছে। ভারতের সামরিক বাহিনীর ভাণ্ডারে পরমাণু অস্ত্র, কম ও মাঝারি দুরত্বের ব্যালিস্টিক মিশাইল এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনক্ষম বিমান ও নৌযান রয়েছে।

ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর লক্ষাধিক কর্মচারীর নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ৯,৯৭০.১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ডেডিকেটেড, উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত, স্টেট-অফ-দি-আর্ট অপটিক্যাল ফাইবার কেবল (ওএফজি) নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীই কেবল এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে।[১১]

সামরিক ইতিহাস

মৌর্য সাম্রাজ্য সর্বাধিক প্রসারিত হয়েছিল মহামতি অশোকের রাজত্বকালে।
প্রথম রাজেন্দ্র চোলের রাজত্বকালে (১০৩০ খ্রি.) চোল সাম্রাজ্যের বিস্তার।

ভারতের সামরিক ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন। এদেশের প্রথম সেনাবাহিনীর উল্লেখ পাওয়া যায় বেদে। সেনাবাহিনীর উল্লেখ আছে রামায়ণমহাভারত মহাকাব্যদুটিতেও। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতে একাধিক শক্তিশালী রাজ্য ও সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল। এগুলি হল: ষোড়শ মহাজনপদ, রাজপুত, মৎস্য রাজ্য, শিশুনাগ সাম্রাজ্য, গঙ্গারিডাই সাম্রাজ্য, নন্দ সাম্রাজ্য, মৌর্য সাম্রাজ্য, শুঙ্গ সাম্রাজ্য, খারবেল সাম্রাজ্য, কুনিন্দ রাজ্য, চোল সাম্রাজ্য, চের সাম্রাজ্য, পাণ্ড্য সাম্রাজ্য, সাতবাহন সাম্রাজ্য, পশ্চিম সত্রপ সাম্রাজ্য, কুষাণ সাম্রাজ্য, বাকাটক সাম্রাজ্য, কলভ্র রাজ্য, গুপ্ত সাম্রাজ্য, পল্লব সাম্রাজ্য, কদম্ব সাম্রাজ্য, পশ্চিম গঙ্গ রাজ্য, বিষ্ণুকুণ্ডিনা সাম্রাজ্য, চালুক্য সাম্রাজ্য, হর্ষ সাম্রাজ্য, শাহী রাজ্য, পূর্ব চালুক্য রাজ্য, প্রতিহার সাম্রাজ্য, পাল সাম্রাজ্য, রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্য, পরমার রাজ্য, যাদব সাম্রাজ্য, সোলাঙ্কি রাজ্য, পশ্চিম চালুক্য সাম্রাজ্য, হোয়সল সাম্রাজ্য, সেন সাম্রাজ্য, পূর্ব গঙ্গ সাম্রাজ্য, কাকতীয় রাজ্য, কলচুরি সাম্রাজ্য, দিল্লি সুলতানি, দাক্ষিণাত্য সুলতানি, অহোম রাজ্য, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, মহীশূর রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্য, শিখ সাম্রাজ্য, মারাঠা সাম্রাজ্য ইত্যাদি। প্রাচীন ভারতের ধনুর্বিদ্যা ও মার্শাল আর্ট সাধারণত ধনুর্বেদ নামে পরিচিত ছিল।

ভারতের নৌ-ইতিহাস পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন।[১২][১৩][১৪][১৫] ২৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ অধুনা গুজরাত উপকূলের ম্যানগ্রোল বন্দরের কাছে সিন্ধু সভ্যতার লোথালে দেশের প্রথম টাইডাল ডকটি গড়ে উঠেছিল।[১৬][১৭] ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে রচিত ঋগ্বেদে বরুণকে সমুদ্রপথ সম্পর্কে অবগত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই গ্রন্থে নৌ-অভিযানেরও বর্ণনা রয়েছে। প্লব নামে জাহাজের একপ্রকার পার্শ্বপক্ষের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা ঝড়ের মধ্যে জাহাজকে স্থির রাখতে সাহায্য করত। খ্রিষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে মৎস্য যন্ত্র নামে একপ্রকার কম্পাসের ব্যবহারও প্রচলিত ছিল।

খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে দেশের প্রথম সুসংহত নৌবাহিনী গড়ে ওঠে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থের একটি অধ্যায়ে নৌ-অধ্যক্ষ-এর অধীনস্থ একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের বর্ণনা পাওয়া যায়।[১] এই গ্রন্থে নৌ দ্বীপান্তরগমনম্ শব্দটি এবং বৌধায়ন ধর্মসূত্র নামক বৌদ্ধগ্রন্থে সমুদ্রসাম্যনম শব্দটি থেকে সেযুগে নৌ-অভিযানের অস্তিত্বের কথা জানা যায়।

কয়েক শতাব্দীকাল ধরে সমুদ্রপথে ভারতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য চলত। এমনকি অন্যান্য দেশের উপর ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রেও প্রধান ভূমিকাটি গ্রহণ করেছিল এই সমুদ্রপথগুলিই। মৌর্য, সাতবাহন, চোল, বিজয়নগর, কলিঙ্গ, মারাঠা ও মুঘলদের শক্তিশালী নৌবাহিনীর অস্তিত্ব ছিল।[১৮] চোলদের সমুদ্রবাণিজ্য ও সমুদ্রাভিযানের পরিধি প্রশস্ত হয়েছিল চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত।

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে মারাঠা ও কেরল নৌবাহিনীর সম্প্রসারণ ঘটে। এই দুই বাহিনী ছিল সেযুগের শ্রেষ্ঠ নৌশক্তি। একাধিকবার ইউরোপীয় নৌবাহিনীকেও পরাজিত করেছিল এরা (কোলাচেলের যুদ্ধ দেখুন)। মারাঠাদের নৌপ্রদর্শনী হয়েছিল রত্নগিরি দুর্গে। এখানে পাল ও কালবাট জাহাজদুটিও অংশগ্রহণ করে।[১৯] সামুথিরির মারাঠা নৌ-সেনানায়ক কাহ্নোজি আংড়ে ও কুঞ্জলি মারাক্কার ছিলেন সেযুগের দুই শ্রেষ্ঠ নৌযোদ্ধা।

১৮৫৭-১৯৪৭ সময়পর্ব

ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৮ সালে রয়্যাল ইন্ডিয়ান মেরিনে ইঞ্জিনিয়ার অফিসার হিসেবে যোগ দেন সাব-লেফটানেন্ট ডি. এন. মুখার্জি। তিনিই প্রথম ভারতীয় যাঁকে কমিশন অনুমোদন করা হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনীর নাবিকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবিদ্রোহ নামে পরিচিত এই বিদ্রোহ সারা ভারতে ব্যপ্ত হয়। ৭৮টি জাহাজ, ২০টি বন্দর প্রতিষ্ঠান ও ২০,০০০ নাবিক এই বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন নামকরণ হয় ভারতীয় নৌবাহিনী। এর জাহাজগুলি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ বা ইন্ডিয়ান ন্যাভাল শিপস (আইএনএস) নামে পরিচিত হয়। ১৯৫৮ সালের ২২ এপ্রিল ভাইস অ্যাডমিরাল আর. ডি. কাটারি প্রথম ভারতীয় হিসেবে নৌ-সেনাধ্যক্ষের পদে বৃত হন।এছাড়াও ভারতের অন্যতম বিমান রাফাল ।

গঠন

কম্যান্ড সংগঠন

নীতি

কর্মী


শাখা

ভারতীয় সেনাবাহিনী

ভারতীয় নৌবাহিনী

ভারতীয় বিমানবাহিনী

ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংস্থাসমূহ

পরমাণু কমান্ড কর্তৃপক্ষ

ভারতীয় ব্যালিস্টিক মিশাইল প্রতিরক্ষা কর্মসূচি

হল একটি মিশাইল যা সর্বত্র যেতে সক্ষম

নিরাপত্তা চুক্তি ও বৈদেশিক বেস

বাজেট

শৌর্য পুরস্কার

প্রাক্তন কর্মী

ভবিষ্যত

কর্মীনিয়োগ ও প্রশিক্ষণ

ভারতীয় শান্তিরক্ষা ও জলদস্যুতা নিরসন মিশন

জলদস্যুতা নিরসন মিশন

বায়ুসেনার ত্রাণকার্য

সূর্যগ্রহণ সংক্রান্ত গবেষণায় বায়ুসেনার অবদান

আরও পড়ুন

তথ্যসূত্র

অতিরিক্ত পাঠ্য

বহিঃসংযোগ

Armed forces, a forgotten lot: A debate by NDTV.com [৩]

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী