ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লি

ভারতীয় সরকারি প্রকৌশল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান

ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লি বা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি দিল্লি (সংক্ষেপিত আইআইটি দিল্লি বা আইআইটিডি) হল একটি সরকারী প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান, যা ভারতের রাজধানী দিল্লি র হাউজ খাস এলাকাতে অবস্থিত।

ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লি
ধরনপাবলিক প্রকৌশল বিদ্যালয়
স্থাপিত১৯৬১
চেয়ারম্যানকুমার মঙ্গলম বিড়লা[১]
পরিচালকভি রামগোপাল রাও[১]
অবস্থান
হৌজ খাস [২]
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
আদ্যক্ষরআইআইটিডি
ওয়েবসাইটwww.iitd.ac.in
মানচিত্র

বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যম হিসাবে ভারত ও বিশ্বে অবদান রাখা এবং শিল্প ও সমাজের জন্য মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করার লক্ষ্যে সকল ভারতীয়দের জন্য গর্বের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৬১ সালের আগস্ট মাসে এই প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির। প্রতিষ্ঠানে ১৯৬১ সালে প্রথম ভর্তি শুরু করা হয়েছিল। [৩] বর্তমান ক্যাম্পাসটিতে ৩২০ একর (১.৩ বর্গ কিমি) এলাকা রয়েছে এবং এর পূর্বদিকে শ্রী অরবিন্দ মার্গ, পশ্চিমে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লেক্স, দক্ষিণে জাতীয় শিক্ষা গবেষণা এবং অনুশীলন পরিষদ এবং উত্তরে নতুন রিং রোড ছাড়া কুতুব মিনার এবং হৌজ খাসের স্মৃতিসৌধ দ্বারা ক্যাম্পাসটি পরিবেষ্টিত। [২]

পরে ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্ট, ১৯৬৩-এর অধীন এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ঘোষিত হয় এবং নিজস্ব শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মপন্থা প্রস্তুত করার ক্ষমতা, নিজস্ব পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষমতা ও নিজস্ব ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা সহ পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। [৩]

ইতিহাস

আইআইটির ধারণাটি প্রথম এসেছিল ১৯৪৫ সালে এডুকেশন অন ভাইসরয়'স এক্সেকিউটিভ কাউন্সিল-এর সদস্য শ্রী এন. এম সরকারের প্রতিবেদন থেকে। তার সুপারিশ অনুসরণ করে, প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিটি ১৯৫০ সালে খড়গপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই রিপোর্টে, "শ্রী সরকার" সুপারিশ করেছিলেন যে, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু করা উচিত। কেন্দ্র সরকার কমিটির এই সুপারিশ গ্রহণ ক'রে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সহযোগিতায় আরও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইউএসএসআর থেকে সাহায্যের প্রথম প্রস্তাবটি এসেছিল বোম্বেতে ইউনেস্কোর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরীতে সহযোগিতা করার জন্য। এটি অনুসরণ করে মাদ্রাজ, কানপুর এবং দিল্লিতে ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি গড়ে ওঠে যথাক্রমে পশ্চিম জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার মাধ্যমে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, গুয়াহাটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রূরকি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০১ সালে আইআইটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। [৩]

শিক্ষা কার্যক্রম

আইআইটি দিল্লি বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকনোলজিতে স্নাতক কার্যক্রমের পাশাপাশি দ্বৈত বি.টেক-এম.টেক ডিগ্রি প্রদান করে। এই কার্যক্রমগুলিতে ভর্তি করা হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন - অ্যাডভান্সড-এর মাধ্যমে। [৪]

আইআইটি দিল্লি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে; এম.টেক (পাঠ্যক্রমের দ্বারা), এম.এস. (গবেষণা দ্বারা), এমএসসি, এম ডিস, এমবিএ বিভিন্ন বিভাগ এবং কেন্দ্র দ্বারা। এম.টেক এবং এম. ডিস প্রোগ্রামে ভর্তি করা হয় প্রধানত গ্রাজুয়েট অ্যাপটিটুড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (গেট) এর ভিত্তিতে। এমএসসি ভর্তি হয় "জয়েন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট ফর মাস্টার্স" (জ্যাম) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এবং এমবিএ ভর্তি জন্য সাধারণ ভর্তি পরীক্ষা'র (ক্যাট) এর মাধ্যমে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী