ব্রেন্ডন ফ্রেজার

মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা (জন্ম ১৯৬৮)

ব্রেন্ডন জেমস ফ্রেজার (ইংরেজি: Brendan James Fraser; /ˈfrzər/ FRAY-zər;[১] জন্ম: ৩ ডিসেম্বর ১৯৬৮)[২] একজন মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা।[৩] ফ্রেজার হাস্যরসাত্মক ও নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি দ্য মমি ত্রয়ী (১৯৯৯-২০০৮)-এ রিক ওকনেল চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন।

ব্রেন্ডন ফ্রেজার
Brendan Fraser
২০২২ সালে ফ্রেজার
জন্ম
ব্রেন্ডন জেমস ফ্রেজার

(1968-12-03) ৩ ডিসেম্বর ১৯৬৮ (বয়স ৫৫)
নাগরিকত্ব
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  • কানাডা
মাতৃশিক্ষায়তনকর্নিশ কলেজ অব দি আর্টস (বিএ)
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৯০-বর্তমান
কর্ম
পূর্ণ তালিকা
দাম্পত্য সঙ্গীআফটন স্মিথ
(বি. ১৯৯৮; বিচ্ছেদ. ২০০৯)
সন্তান
আত্মীয়জর্জ জেনেরো (মামা)
ওয়েবসাইটbrendanfraser.com

১৯৯০ সালে কর্নিশ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি ডগফাইট (১৯৯১) দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ফ্রেজার তার অভিনয় জীবনের শুরুতে এনসিনো ম্যান (১৯৯২), এয়ারহেডস (১৯৯৪), জর্জ অব দ্য জাঙ্গল (১৯৯৭), ডুডলি ডো-রাইট (১৯৯৯), ব্লাস্ট ফ্রম দ্য পাস্ট (১৯৯৯), বিড্যাজলড (২০০০), মাঙ্কিবোন (২০০১) ও লুনি টিউনস: ব্যাক ইন অ্যাকশন (২০০৩)-সহ অসংখ্য হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে এবং কল্পনাধর্মী জার্নি টু দ্য সেন্টার অব দি আর্থ (২০০৮) ও ইঙ্কহার্ট (২০০৮) অভিনয় করেন। এই সময়ে তিনি নাট্যধর্মী স্কুল টাইস (১৯৯২), উইথ অনার্স (১৯৯৪), গডস অ্যান্ড মনস্টার্স (১৯৯৮), দ্য কোয়ায়েট আমেরিকান (২০০২), ক্র্যাশ (২০০৪), ও এক্সট্রাঅর্ডিনারি মেজার্স (২০১০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

২০০০-এর দশকের শেষভাগ থেকে ২০১০-এর দশকের মধ্য পর্যন্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা, ব্যক্তিগত কারণ এবং হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি ফিলিপ বার্ক কর্তৃক যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ফলে তার অভিনয়ের ব্যপ্তি কমে যায়। তিনি টেলিভিশনে হিস্ট্রি চ্যানেলের মিনি ধারাবাহিক টেক্সাস রাইজিং (২০১৫) ও শোটাইমের নাট্যধর্মী ধারাবাহিক দি অ্যাফেয়ার (২০১৬-২০১৭),[৪][৫] এফএক্সের ধারাবাহিক ট্রাস্ট (২০১৮),[৬] এপিক্সের ধারাবাহিক কন্ডর (২০১৮), ও ডিসি ইউনিভার্স / এইচবিও ম্যাক্সের ধারাবাহিক ডুম পেট্রোল (২০১৯-বর্তমান)[৭]-এ কাজ করেন। পরবর্তীকালে স্টিভেন সোডারবার্গের নো সাডেন মুভ (২০২১) ও ড্যারেন অ্যারোনফ্‌স্কির দ্য হোয়েল (২০২২) চলচ্চিত্র দিয়ে তার কর্মজীবনের পুনর্জাগরণ ঘটে। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার,[৮] ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কার[৯]স্যাগ পুরস্কার অর্জন করেন এবং বাফটা পুরস্কারসঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

ফ্রেজার ১৯৬৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপলিস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পিটার ফ্রেজার ও মাতা ক্যারল ম্যারি (জন্ম: জেনেরো; ১৯৩৭-২০১৬) দুজনেই কানাডীয়।[১০] তার পিতা সাংবাদিক ছিলেন ও পরে পর্যটন অফিসে কানাডীয় পররাষ্ট্র কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন এবং তার মাতা একজন বিক্রয় উপদেষ্টা ছিলেন।[১১][১২] তার মামা জর্জ জেনেরো ১৯৫২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে একমাত্র কানাডীয় স্বর্ণপদক বিজয়ী।[১৩] তার বড় তিন ভাই কেভিন, রেগান ও শন।[১৪] তিনি আইরিশ, স্কটিশ, জার্মান, চেক ও ফরাসি-কানাডীয় বংশোদ্ভূত।[১৫] তিনি কানাডীয় ও মার্কিন দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী।[১৬]

তিনি ১৯৯০ সালে সিয়াটলের কর্নিশ কলেজ অব দি আর্টস থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[১২][১৭] তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে একটি ছোট অভিনয়ের কলেজে অভিনয় শুরু করেন। তিনি সাউদার্ন মেথডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিনয় নিয়ে চারুকলায় স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের পরিকল্পনা করেন, কিন্তু হলিউডে চলচ্চিত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।[১৮]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী