ব্যাসিল উইলিয়ামস
আলভাডন ব্যাসিল উইলিয়ামস (ইংরেজি: Basil Williams; জন্ম: ২১ নভেম্বর, ১৯৪৯ - মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর, ২০১৫) জ্যামাইকার সেন্ট ক্যাথেরিনের কেমানাস এস্টেট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ মেয়াদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলেন। দলে তিনি মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলভাডন ব্যাসিল উইলিয়ামস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেমানাস এস্টেট, সেন্ট ক্যাথেরিন, জ্যামাইকা | ২১ নভেম্বর ১৯৪৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ আটলান্টা, জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | শটগান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭০) | ৩১ মার্চ ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ নভেম্বর ২০১৫ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেন ব্যাসিল উইলিয়ামস। আক্রমণধর্মী ব্যাটিং উপহার দেয়ায় তিনি ‘শটগান’ নামে পরিচিতি পান।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ সালে জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ দলে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত খেলেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের শেল শীল্ড প্রতিযোগিতায় সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর কারণে তাকে টেস্ট দলে ডাকা হয়। ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে সাতটি টেস্টে অংশ নিয়েছেন তিনি। এ সময়ে অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ক্যারি প্যাকারের পরিচালনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করলে দল বেশ দূর্বল হয়ে পড়ে। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৯.০৮ গড়ে ৪৬৯ রান তুলে নিজের দক্ষতা মেলে ধরেন তিনি।
১৯৭৮ সালে জর্জটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে চমকপ্রদ সেঞ্চুরি করেন। জেফ থমসনের বলে সেঞ্চুরির কোটায় পৌঁছলেও পরের বলেই ফাইন লেগে কট আউটের শিকার হন তিনি।[৩] ১১৮ বলে ১০০ রান তুলে দশম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করার বিরল গৌরব অর্জন করেন। সিরিজ শেষে ৪২.৮৩ গড়ে ২৫৭ রান তোলেন। এরফলে ঐ বছরের শেষদিকে ভারত সফরে যান। কলকাতায় অনুষ্ঠিত টেস্টে তিনি ১১১ রান করেন। ভারতে সিরিজে ২১২ রান তোলেন ৩৫.৩৩ গড়ে। কিন্তু ক্যারি প্যাকারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ শেষে খেলোয়াড়গণ ফিরে আসলে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এলেইন উইলিয়ামসের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে ব্যাসিল উইলিয়ামস, জার্মেইন উইলিয়ামস ও নামীয় দুই সন্তান রয়েছে। এছাড়াও, গ্যাব্রিয়েল উইলিয়ামস নাম্নী এক কন্যা সন্তান ছিল। তন্মধ্যে, ‘ক্যানিবাস’ ডাকনামে পরিচিত জার্মেইন উইলিয়ামস মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশনসহ অভিনয়কর্মের সাথে জড়িত। ৬৫ বছর বয়সে জর্জিয়ার আটলান্টায় ব্যাসিল উইলিয়ামসের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ব্যাসিল উইলিয়ামস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ব্যাসিল উইলিয়ামস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)