বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশ | |||||||||||
১৯১২–১৯৩৬ | |||||||||||
![]() ১৯১২ সালের ব্রিটিশ ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের মানচিত্র | |||||||||||
রাজধানী | পাটনা | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে পৃথক করে প্রদেশ গঠন | ১৯১২ | ||||||||||
• বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের দ্বিখণ্ডন | ১৯৩৬ | ||||||||||
| |||||||||||
বর্তমানে যার অংশ |
বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ ছিল ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ।[১] বর্তমান ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পুরোটা এবং ওড়িশার উত্তরাংশ এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮ ও ১৯ শতকে ব্রিটিশরা এসব অঞ্চল করায়ত্ব করে। ১৯১২ সালে নতুন প্রদেশ গঠনের আগে এসব অঞ্চল ব্রিটিশ ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল।
১৯১২ সালের ২২ মার্চে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বিহার ও উড়িষ্যা উভয় বিভাগই বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ হিসাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে পৃথক করা হয়। এরপর ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিলে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করে বিহার প্রদেশ ও উড়িষ্যা প্রদেশ নামে দুটি পৃথক প্রদেশ গঠন করা হয়।
১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার আমলে বিহার ও উড়িষ্যা (বর্তমান বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড) ছিল বাংলার অংশ। পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেলেও ১৭৬৫ সালের বক্সারের যুদ্ধের পর তারা দিল্লির সম্রাটের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার আনুষ্ঠানিক দিওয়ানি (খাজনা আদায়ের ক্ষমতা) লাভ করে।[১] উড়িষ্যার কিছু অংশে মারাঠাদের প্রভাব থাকলেও ১৮০৩ সালের ১৪ অক্টোবরে ব্রিটিশ রাজ উড়িষ্যা থেকে মারাঠাদের পুরোপুরি হঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে এই অঞ্চলটি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি বা বাংলা প্রদেশের অংশ ছিল। ১৯১২ সালের ১ এপ্রিলে বিহার ও উড়িষ্যা উভয়ই বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ হিসাবে বাংলা থেকে পৃথক হয়। বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা ছিল নবগঠিত প্রদেশের রাজধানী।[২] উড়িষ্যার করদ রাজ্যগুলো সহ বেশ কয়েকটি দেশীয় রাজ্য প্রাদেশিক গভর্নরের অধীনে ছিল।
মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কারের মাধ্যমে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত ভারত সরকার আইনের অধিনে গঠিত বিহার ও উড়িষ্যা আইন পরিষদের আসন ৪৩ থেকে বাড়িয়ে ১০৩ সদস্য করা হয়। এর ফলে ২ জন উপ-কার্যনির্বাহী কাউন্সিলর, ২৫ জন মনোনীত সদস্য (১২ জন কর্মকর্তা, ১৩ জন বেসরকারী) এবং ৭৬ জন নির্বাচিত সদস্যের সমন্বয়ে আইন পরিষদ গঠন করা হয়। ৭৬ জন নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে ছিলেন ৪৮ জন অমুসলিম, ১৮ জন মুসলিম, ১ জন ইউরোপীয়, ৩ বাণিজ্য ও শিল্প, ৫ জমিদার এবং ১ জন বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত।[৩] এই সংস্কারের মাধ্যমে দ্বৈত-শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে কৃষিক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং স্থানীয় সরকার হিসাবে কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্বাচিত মন্ত্রীদের নিকট স্থানান্তরিত হয় এবং বাকি ক্ষমতা গভর্নরের হাতে ন্যাস্ত থাকে।
মন্ত্রী | কার্যকাল | বিভাগ |
---|---|---|
খান বাহাদুর সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন | ১৯২১ জানুয়ারী থেকে ৬ মে ১৯৩৩ | শিক্ষা, কৃষি, সমবায় ঋণ শিল্প, ধর্মীয় অনুদান, আবগারি |
মধুসূদন দাস | ১৯২১ জানুয়ারী থেকে ৯ মার্চ ১৯২৩ | স্থানীয় স্ব-সরকার, মেডিকেল জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত |
গণেশ দত্ত | রাজত্বের শেষ অবধি ১৯৩৩ সালের মার্চ | স্থানীয় স্ব-সরকার, মেডিকেল জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত |
খান বাহাদুর সৈয়দ মুহাম্মদ হুসেন | ৬ মে ১৯৩৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩৩ | শিক্ষা, কৃষি, সমবায় ঋণ শিল্প, ধর্মীয় অনুদান, নিবন্ধন |
সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল আজিজ | ১৫ জানুয়ারী ১৯৩৪ থেকে দ্বৈত-শাসন ব্যবস্থা শেষ অবধি | শিক্ষা, কৃষি, সমবায় ঋণ শিল্প, ধর্মীয় অনুদান, নিবন্ধন |
১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিলে প্রদেশটিকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়। প্রদেশের উত্তরাংশ নিয়ে বিহার প্রদেশে গঠিত হয়। এর মধ্যে বর্তমান বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণের এবং উড়িষ্যা প্রদেশ এবং ওডিয়ার ভাষ্য রাজ্য রাজ্যগুলি পূর্ব রাজ্য সংস্থার অধীনে রাখা হয়েছিল।
১৯১২ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত প্রদেশটিতে প্রাদেশিক সরকারের প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। ১৯২০ সালে পদটি গভর্নরের পদে উন্নীত হয়। সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিনহা (প্রথম ব্যারন সিনহা) বিহার ও উড়িষ্যার প্রথম গভর্নর নিযুক্ত হন।[৪]
ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশ | |
---|---|
প্রেসিডেন্সি |
|
প্রদেশ |
|
|